করোনার প্রভাবে নিম্নআয়ের শ্রমজীবী মানুষের দুর্ভোগ

আলামিন ফরাজী, রাংগাবালী, পটুয়াখালী :

করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে গত কয়েক দিন ধরে সারাদেশের সাথে দক্ষিণ বঙ্গের সর্বশেষ মৌডুবী ইউনিয়নের ও সব কিছু বন্ধ রয়েছে। নিম্ন আয়ের মানুষের সকল উপার্জন বন্ধ। দিনে এনে দিনে খাওয়া এসব শ্রমজীবী মানুষের চরম অর্থভাবে পড়ে গেছে।

ইতোমধ্যে অর্থাভাবে তাদের ঘরে ডাল-ভাতের সংকট সৃষ্টি হয়েছে। দেশজুড়ে ‘লকডাউন’ অব্যাহত থাকায় সব দৈনিক ভিত্তিতে করা নিম্ন আয়ের মানুষগুলোই বেশি বিপাকে পড়ে গেছে।

অনেক শ্রমজীবী মানুষ জানান, তারা কৃষি ও মৎস্য শিকার এর উপর নির্ভরশীল। সারাদেশে লকডাউন এর কারনে তাদের সব কার্যক্রম বন্ধ। এই পরিস্থিতিতে অর্থের সংকটে পড়ে গেছেন এসব কাজে নিয়োজিত শ্রমিকেরা। কারণ যারা দৈনিক ভিত্তিতে কাজ করেন তাদের দিনের আয় দিনেই শেষ হয়ে যায়।

/

মৌডুবী ইউনিয়ন এর নিয়মিত ক’জন শ্রমিক জানান , ঘড়বাড়ির মেরামত, পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা, মাটি কাটা, মাটি ভরাটসহ যেকোনো কাজ করি। দৈনিক সর্বনিম্ন ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা দিয়ে কাজ করি। আবার অনেক সময় আরো কম টাকায় করতে হয়। কিন্তু পাঁচ-ছয়জনের একটি সংসারে খরচ করে এসব টাকার মধ্যে আর জমা রাখা যায় না। করোনার কারণে কাজ বন্ধ রয়েছে। তার আগে কেনা চাল-ডাল এখন শেষ হয়ে গেছে। এতে পরিবারের সদস্যদের খাবারে সংকট তৈরি হয়েছে।

সাধারণ মানুষের একটাই কথা সরকার এর পক্ষ থেকে যদি কোনো সাহায্য না আশে তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে না খেয়ে মারা যেতে হবে।

শ্রমজীবী মানুষের অর্থ সঙ্কট বিষয়ে নবগঠিত মৌডুবী ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনার ১নং সদস্য নাজিমউদ্দিন সাহেব বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে এখন সব কিছু লকডাউন। দেশ মন্দা অবস্থার দিকে চলে যাচ্ছে। এতে অর্থনীতিও স্থবির হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যা করোনার চেয়েও ভয়াবহ। সাধারণ মানুষ তেমন ঘর থেকে বের হচ্ছে না। আবার যাদের বাসাবাড়িতে কাজ ছিল তারাও কাজ বন্ধ করে দিয়েছে এবং বিভিন্ন উন্নয়ন কাজও বন্ধ। তাই শ্রমজীবী মানুষ সমস্যায় আছে এটা সত্য। আমার মতে এই ইউনিয়ন এর দরিদ্র মানুষের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে তাদের প্রয়োজন মতো সহায়তা করা জরুরী।