আর কত ছুটলে, কীভাবে বললে সচেতন হবে রায়পুরী?

 

মো. হৃদয় হোসেন, রায়পুর প্রতিনিধি:

অর্ধেক শাটার খুলে জিনিসপত্র বিক্রি করছেন আপনারা….ম্যাজিস্ট্রেট/পুলিশ দেখলেই ক্রেতাসহ শাটার বন্ধ করে লুকোচুরি খেলছেন দোকানের ভিতর..

অযথা ঘোরাঘুরি করছেন, কেন এসেছেন বাজারে জিজ্ঞেস করলে বলছেন…ব্যাংকে, হাসপাতালে, ওষুধ কিনতে….

মানা করা সত্ত্বেও কারণে অকারণে রিক্সা, অটো রিক্সা, ভ্যান নিয়ে ঠিকই বের হচ্ছেন, যদিও ত্রাণ সহায়তায় আপনাকেই অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে….

একদিকে রায়পুরের কিছু সচেতন বা মানবিক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান অসহায়-হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিতে রাত-দিন কাজ করছেন, অন্যদিকে রায়পুরেরই কিছু কিছু ব্যবসায়ী দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি করে এলাকার জনগণের অসহায়ত্বের সুযোগও নিচ্ছেন…

দেশের সম্পদ নষ্ট করে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে কড়া নির্দেশনা অমান্য করে জেলে ত্রাণ সহায়তা পেয়েও জেলেরা জাটকা নিধন করছে…আপনাদের কেউ কেউ তা কিনছেন….ক্ষতি কি প্রশাসনের হচ্ছে? ভবিষ্যতের জন্য এলাকার জনগণের জীবিকার উপরেই এর প্রভাবটা পড়বে… ক্ষতিটা আপনাদেরই হচ্ছে….

প্রতিদিন অসংখ্য ফোন বা এসএমএস রিসিভ করা থেকে শুরু করে বিভিন্ন অভিযোগ অথবা সাহায্যের পেছনে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কাজ করতে করতে অসুস্থ হয়ে পড়ছি, মনোবল হারিয়ে ফেলছি….

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ এখন একটি সামাজিক আন্দোলন। আমার বা আপনার একক উদ্যোগ বা পরিশ্রমে রায়পুরকে ভালো রাখা যাবে না। যদি সবাই একসাথে রুখে না দাঁড়ান, সবাই এগিয়ে না আসেন…এই আন্দোলনে হার আমাদের নিশ্চিত।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের এ বিষয়ে আরেকটু আন্তরিক হতে আহবান করছি, নদী বা নদীর মাছ তথা দেশের সম্পদ রক্ষার্থে সংশ্লিষ্ট বাহিনী এবং দপ্তরকে আরো সোচ্চার হতে অনুরোধ করছি। পাশাপাশি আপনার এলাকার জনগণকে সচেতন করতে এবার আপনার ভূমিকাও জোরদার হবে বলে আশা করছি….

সচেতন হলেই, বাচঁতে পারি…
এই আন্দোলনে জিততে পারি!!

অনুরোধে-
সাবরীন চৌধুরী
উপজেলা নির্বাহী অফিসার
রায়পুর, লক্ষ্মীপুর।