রায়পুরে পৃথক স্থানে ২ গৃহবধূর লাশ উদ্ধার

মোঃ হৃদয় হোসেন, রায়পুর প্রতিনিধি :

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে পৃথক স্থান থেকে দুই গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার বিকালে উপজেলার দক্ষিন চরবংশী ইউপির চরকাচিয়া গ্রাম থেকে ছালেহা আক্তার (২০) ও চরমোহনা ইউপির দক্ষিন রায়পুর গ্রাম থেকে সীমা আক্তারকে (১৯) উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এঘটনায় সন্ধায় রায়পুর থানা ও হাজিমারা পুলিশ ফাঁড়ি কেন্দ্রে পৃথক সাধারন ডায়রি করা হয়েছে। গৃহবধু ছালেহা আক্তার তার স্বামীর সাথে অভিমান করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্নহত্যা করলেও সীমা আক্তার কিভাবে মারা গেছেন তার রিপোট না আসা পর্যন্ত বলতে পারছেন না পুলিশ।

গৃহবধু ছালেহা আক্তার চরকাছিয়া গ্রামের মহিজ উদ্দিন চৌকিদারের স্ত্রী ও ৪নং ওয়ার্ড সলিংয়ের মাথা নামক স্থানের জিন্না মোল্লার মেয়ে এবং মৃত গৃহবধু চরমোহনা গ্রামের হায়দার আলীর পুত্র রাশেদের নবাগত স্ত্রী ও দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড ছৈয়াল বাড়ির খোকনের মেয়ে।

এলাকাবাসী জানান, ছালেহা ও মহিজ উদ্দীন চৌকিদারের সংসার ভালোই চলছিলো। সংসারে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে স্বামীর সাথে অভিমান করে নীজের কক্ষে গলায় ফাস আত্নহত্যা করে। মহিজ উদ্দিনও স্বীকার করেছেন তার সাথে ঝগড়া করে একান্ড ঘটিয়েছে স্ত্রী ছালেহা।

সীমার চাচা আমির আলী জানান, দীর্ঘদিনের সম্পর্কের পর চার মাস আগে রাশেদ সীমাকে বিয়ে করে নীজ বাড়ীতে তুলেন। উভয়ের পরিবার তাদের সম্পর্ক ও বিয়ে মেনেও নিয়েছে। বিয়ের পর রাশেদ জানতে পারেন তার স্ত্রী-সীমার বাবা সুইপারের কাজ করে সংসার চালান। এনিয়ে দু’জনের মধ্য তুচ্ছ ঘটনায় মনমালিন্য ও একাধিকবার সীমাকে শারিরীক নির্যাতনও করে রাশেদ।

এঘটনায় রাশেদ মুঠোফোনে জানান, ঘটনার রাতে খাবার শেষে দু’জনে একসাথে গুমিয়ে পড়ি। কিছুক্ষণ পরে সীমার হাত পা ঠাণ্ডা হয়ে যাওয়ায় চিৎকার দিলে মা এসে বলেন সীমা মারা গেছে। আমি জ্ঞান হারাই ও সকালে আমার জ্ঞান ফিরে। সীমাকে নির্যাতন বা অবহেলা করা হয়নি। আমরা একে অপরকে ভালোবেসে বিয়ে করেছি।

রায়পুর চরবংশি ফাঁড়ি থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, ছালেহার মৃত দেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল পাঠানো হয়েছে। সাধারন ডায়রি করা হয়েছে। রায়পুর থানার এসআই মোঃ নাসিম জানান, সীমা আক্তারের লাশ উদ্বার করে সদরে হাসপাতালের পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তরর রিপোট আসলে বলা যাবে হত্যা না আত্নহত্যা। এঘটনায় সাধারন ডায়রি করা হয়েছে।