রাত হলেই সঞ্চিত টাকার উপহার নিয়ে কর্মহীনদের দ্বারপ্রান্তে ফাতেমা সাথী

স্টাফ রির্পোটার :

রাত হলেই নিজের সঞ্চিত টাকা ব্যায় করে সেই টাকায় উপহার ক্রয় কর কর্মহীন অসহায় মানুষের দ্বারপ্রান্তে ছুটে চলছেন গৃহিনী ফাতেমা আক্তার সাথী।

তবে কোন কিছু পাওয়ার আশা না করেই নিরবে নিভৃতে তিনি এই মানবসেবা করে চলেছেন। মানুষের প্রতি মানুষের সহানুভূতি এবং ভালোবাসাকে বুকে লালন করেই তিনি তার এই উপহার পৌছে দেয়া অব্যাহত রেখেছেন।

জানাযায়, করোনা ভাইরাস মহামারীর বর্তমান পরিস্থিতিতে চাঁদপুর শহরে বিভিন্নস্থানে রাতের আঁধারে উপহার নিয়ে কর্মহীন হয়ে পড়া বিভিন্ন অসহায় মানুষের দ্বারে দ্বারে হাজির হচ্ছেন গৃহিনী ফাতেমা আক্তার সাথী।

মানববতার সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করা এ নারীর প্রথমে নাম পরিচয় জানা না গেলেও পরবর্তীতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক পোস্টের কারনে তার পরিচয় পাওয়া যায়।

জানা যায়, নাম পরিচয় গোপন রেখেই নীরবে নিভৃতে তিনি বেশ কিছুদিন ধরে এ কাজটি করে চলেছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁর পরিচয় জানা হলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে।

তিনি ওই ওয়ার্ড যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও উক্ত ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সন্মেলনে সাধারণ সম্পাদক পদপ্রাথী মোঃ ছিডু মিজির স্ত্রী ফাতেমা আক্তার সাথী।

চলমান পরিস্থিতিতে নিজের বিবেকের তাড়নায় নিজের সঞ্চিত অর্থ ও স্বামীর সহযোগিতা নিয়ে গত এক দেড় মাস যাবত চাঁদপুর শহরের বিভিন্ন এলাকায় দিনে এবং রাতের আঁধারে নীরবে নিভৃতে একা একা ঘরে ঘরে গিয়ে তিনি এ উপহার দিয়ে আসছেন।

আর সেই উপহার হিসেবে উপহার গ্রহনকারীরা পাচ্ছেন নগদ অর্থ, বা খাদ্য সামগ্রীর প্যাকেট। তবে তার এই উপহার সামগ্রী যাদের কাছে পৌছে দিচ্ছেন তা একটু ব্যতিক্রম।

আর তা হলো যারা নিন্ম মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষ। যারা অনেক অভাব অনটনে থাকা সত্বেও সামাজিক লজ্জাবোধে মুখ খুলে কারো কাছে কিছু চাইতে পারেননি তিনি সেসব মানুষদের বিবেচনা করেই গোপনে এই উপহার পৌছে দিয়ে আসছেন। মানুষকে এই উপহার পৌছে দেয়ার তার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য একটাই।

আর তা হচ্ছে তার দেখায় যেনো সমাজের অন্যান্য বিত্তবানরা করোনা মহামারীতে তার মতো অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন।

এ ভাবেই ইতিমধ্যে তিনি কয়েক শতাধিক পরিবারের হাতে এ উপহার তুলে দিয়েছেন বলে জানা গেছে। দেশের এই সংকটময় মুর্হুতে মানুষের প্রতি এই সহানুভূতি দেখানোটা প্রকাশ করতেও তিনি আগ্রহী নন।

তাই এই বিষয়ে তিনি তেমন কিছুই বলতে চাননি। শুধু এতটুকুই জানিয়েছেন। তার সামর্থ্য অনুযায়ী দেশের চলমান পরিস্থিতিতে যতদিন তার সাধ্য থাকবে ততোদিন পর্যন্ত তিনি এভাবেই নিন্ম মধ্যবিত্ত মানুষের দ্বারপ্রান্তে এই উপহার পৌছে দিবেন। যাতে করে অন্যরাও অসহায় মানুষের কাছে এমন উপহার নিয়ে এগিয়ে আসে।