লক্ষ্মীপুরে ২৮বস্তা চাল উদ্ধার : আটক ২

মোঃ হৃদয় হোসেন, রায়পুর প্রতিনিধি :

লক্ষ্মীপুরের অভয়াশ্রম মৌসুমে জেলেদের জন্য সরকারী বরাদ্ধকৃত ২৮ বস্তা (১৪শ’ ৫ কেজি) চাল উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের স্বজন সোহাগ ও হারুন নামে দু’জনকে আটক করা হয়।

শনিবার (৯ মে) বিকেলে সদর উপজেলার চর রমোনী মোহন ইউনিয়নে ৭ ও ৯ নং ওয়ার্ডে আটককৃতদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে এ চাল উদ্ধার করা হয়।

আটককৃতরা হলেন, সোহাগ ৭নং ওয়ার্ডারে জলিলের ছেলে এবং স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবু ইউছুফ ছৈয়ালের ভাতিজী জামাতা এবং হারুন ৯নং ওয়ার্ডের আজিজ মাঝির ছেলে। সেও চেয়ারমানের অনুসারী বলে জানা যায়।

স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, জাটকা সংরক্ষনে মার্চ-এপ্রিল দু’মাস মেঘনায় মাছ ধরা বন্ধ রাখা হয়। ওই সময় সরকার তালিকা হারে প্রতি জেলেদের জন্য ৪০ কেজি হারে দুই দাপে ৮০ কেজি প্রণোদনার ব্যবস্থা করে।

অভয়াশ্রম শেষ হলেও চাল বিতরণ করেনি ইউপি চেয়ারম্যান। ওই বরাদ্ধের সরকারি চাল বিতরণে অনিয়ম ও প্রকৃত জেলেদের বাদ দিয়ে চাল আত্মসাতের অভিযোগ স্থানীয়দের।

তারা আরো জানায়, শনিবার বিকেলে অভিযোগের ভিত্তিতে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের স্বজন সোহাগ ও অনুসারী হারুন মাঝির বাড়ীসহ কয়েকটি বাড়িতে তল্লাশী চালিয়ে ২৮ বস্তা (১৪শ’ ৫ কেজি) চাল উদ্ধার করে পুলিশ।

এসময় সরকারি এসব চাল ১৫০০-১৬০০ টাকা হারে কিনে নেয়ার কথা জানান কয়েকজন। পরে খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট চালগুলো জব্দসহ আটককৃতদের নিয়ে আসে। এসময় জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. বিল্লাল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

এ ব্যাপারে সদর উপজেলার চর রমনী মোহন ইউপি চেয়ারম্যান আবু ইউছুফ ছৈয়ালকে মুঠোফোনে পাওয়া যায়নি আর সংশ্লিষ্ট উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তারা কথা বলতে রাজি হননি।

দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মামুনুর রশিদ জানান, সরকারি চাল বিক্রির দায়ে দুইজনকে আটক করা হয়েছে, চাল জব্দ করা হয়েছে। তদন্ত করে জড়িতদের প্রত্যেককে প্রচলিত আইনেন আওতায় আনা হবে বলে জানান তিনি।

তবে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. বিল্লাল হোসেন জানান, জড়িত কেউ সরকারি কর্মকর্তা হলেও ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।