শাহরাস্তিতে গৃহবধূর রহস্য জনক মৃত্যু, ৩ জন গ্রেফতার

নিউজ ডেস্ক :

শাহরাস্তির দক্ষিণ দেবকরা গ্রামের পাঁচানী বাড়ির আবদুস ছাত্তারের পুত্র মোঃ জুয়েল রানার স্ত্রী এক সন্তানের জননী পাখি আক্তারের রহস্য জনক মৃত্যু হয়েছে।

ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার (১৫ মে) সন্ধ্যায়। বাড়ির লোক জন ও তার পারিবারিক সুত্রে জানাজায় ওই দিন রোজা রাখাবস্থায় সারাদিন ধানের কাজ করেছে, ইফতার আগে ঝড়বৃষ্টির আগে তার স্বামী বিস্কুট আনার জন্য দোকানে যায়, ঝড় বৃষ্টির শেষ বাসায় এসে দেখে ভিতর থেকে দরজা বন্ধ, দরজা ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকে অচেতনাবস্থায় পড়েআছে এবং নাকেমুখে রক্ত বেরুচ্ছে পাখি আক্তারের।

এ অবস্থা দেখে তার স্বামীর ডাক চিৎকারে বাড়ির লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে শাহরাস্তি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করেন।

মৃতার বড় ভাই জহিরুল ইসলাম (৩৫) এ প্রতিনিধিকে জানান আমার বোনকে তার ননদের জামাই শরিফুল ইসলাম পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করেছে, কারন অনেক দিন থেকে আমার বোন এর প্রতি তার কু নজর ছিল। আমার বোন তাকে পাত্তা দিতো না। ঘটনাট সময় ঝড়বৃষ্টি থাকায় সে সুযোগ পেয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছ।

তার বাড়ি চাটখিল উপজেলায় সে বিভিন্ন মামলার আসামী, সে আমার বোনের ননদকে বিয়ে করে এখানে ঘরজামাই থাকে।

এ ঘটনার পরপরই আত্মগোপনে চলে যায় তাকে শনিবার সকালে শাহরাস্তির ধামরা কৃষ্ণপুর গ্রাম এর লোকজন আটক করে গ্রামপুলিশের হাতে তুলে দিলে তাকে থানায় সোর্পদ করে। কেউ বলছেন স্বামীর বকুনী খেয়ে অভিমান করে বিষপান করে আত্মহত্যা করেছে।

পাখির ভাই আরও জানান আমার বোন যদি আত্মহত্যাই করত তাহলে বাড়ির লোকজন তাকে আমাদের কবরস্থানে দাফন করতে দিতো না। আর জানাজাও হতো না। সবমিলিয়ে এলাকাবাসীর জিজ্ঞাসা পাখির মৃত্যু হত্যা না আত্মহত্যা?

এব্যাপারে শাহরাস্তি থানার ওসি (তদন্ত) শহিদুল ইসলাম এ প্রতিনিধিকে জানান হত্যা না আত্মহত্যা তা ময়না তদন্ত ছাড়া বলা যাবেনা।

তবে আত্মহত্যার প্রচারণার বিষয়ে জহিরুল ইসলাম বাদী হয়ে চার জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করলে আমরা (১) শরিফুল ইসলাম (২) জুয়েল রানা (৩) ও মিহির এ তিনজনকে আটক করে কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে।