ফরিদগঞ্জ সৌদিয়া ফার্মেসী লকডাউন নয়

মোঃ মহিউদ্দিন, ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধি :
প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ফরিদগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন নির্ঘুম দিনাতিপার করছে।

সচেতন হউন নিজে বাঁচুন পরিবারকে বাঁচান।

সম্প্রতি ফরিদগঞ্জ উপজেলার ধানুয়ায় করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যান একব্যক্তি উপজেলা প্রশাসন নমূনা সংগ্রহ করে পাঠান ঢাকায়। তিনদিন পর রিপোর্ট পজেটিভ আসে।

একই দিন ওই পরিবারটিকে লকডাউন করে দেওয়া হয়। যেন ওই পরিবারের থেকে অন্য কোন পরিবার আক্রান্ত হতে না পারে।

পরিবারের বাকি তিন সদস্যের নমূনা সংগ্রহ করা হলে তাদেরও রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে। এরই মধ্যে ঐ পরিবারের এক সদস্য জরুরী প্রয়োজনে ফরিদগঞ্জ বাজারে আসলে বাজারে কয়েকটি দোকান থেকে বিভিন্ন জিনিসপত্র ক্রয় করে ঔষধ ক্রয় করতে সৌদিয়া ফার্মেসীতে আসে সামাজিক দূরত্ব বজায়ে রেখে ফার্মেসীর বাহিরে থেকে ঔষধ ক্রয় করে। পজেটিভ আসা লোকজন কোথায় কোথায় অবস্থান করছিল।

এদিকে সোদিয়া ফার্মেসির প্রোপাইটার মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ জানান, ওইদিন আমাদের ফার্মেসিতে তিনজন কর্মচারী কর্মরত ছিল তাদের কে ১৪ দিনের জন্য হোম কোয়ারেন্টানে পাঠানো হয়েছে। আমাদের দোকানের কর্মীরা তিন থেকে চার ফুট দূরে থেকে ওষুধ বিক্রয় করছে। ওই ঘটনায আমি একদিন প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে দোকানের ভিতরে এবং বাহিরে জীবাণুনাশক স্প্রে ব্যবহার করে দোকান খুলেছি। আর পাশাপাশি প্রতি ১০ মিনিট অন্তর অন্তর আমাদের দোকানে জীবাণুনাশক স্প্রে ব্যবহার করা হয়। প্রতিটি কর্মীর হাতে গ্লাভস, মাক্স এবং ওয়ানটাইম মাক্স ব্যবহার করা হচ্ছে।


এ বিষযয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিউলি হরি শনিবার মোবাইল ফোনে জানান , জীবাণু থাকতে পারে তাই ৭২ ঘন্টা দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া জীবানু নাশক স্প্রে ছিটানোর জন্য বলা হয়েছে। দোকানে যে তিনজন কর্মী কর্মরত ছিলো তাদেরকে ১৪ দিন হোমকোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে অন্য লোকবল দিয়ে ফার্মেসী পরিচালনা করতে পারবে।