স্বাস্থ্যবিধি না মানায় গণপরিবহনে ৩৫ মামলা, ৮২ হাজার টাকা জরিমানা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি :

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন এবং সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি না মানায় বিভিন্ন গণপরিবহনের চালক ও যাত্রীদের বিরুদ্ধে মোট ৩৫টি মামলা হয়েছে।

বুধবার (৩ জুন) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সদর উপজেলার বিশ্ব রোড মোড়, কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার কাউতলী মোড় ও বিরাসার মোড়ে পৃথক অভিযান পরিচালনা করে জরিমানা ও যানবাহন জব্দ করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

এসব মামলা থেকে অর্থদণ্ড বাবদ ৮১ হাজার ৫শ’ টাকা জরিমানা আদায় করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়া স্বাস্থ্যবিধি ভঙ্গ করে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন কারায় ১১৭টি থ্রি-হুইলার জব্দ করা হয়। এর মধ্যে ১০২টি ব্যাটারিচালিত ইজি-বাইক এবং ১৫টি সিএনজি চালিত অটোরিকশা রয়েছে।

ভ্রাম্যমাণ আদালতে নেতৃত্ব দেয়া সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পঙ্কজ বড়ুয়া জানান, সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী পঞ্চাশ ভাগ যাত্রী পরিবহনের আইন ভঙ্গ করে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করছে বিভিন্ন যানবাহনের চালকসহ সংশ্লিষ্টরা।

পাশাপাশি গণপরিবহনের চালক ও যাত্রীরা মাস্ক না পরে সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্য বিধি ভঙ্গ করেছে অনেকে। সরকারি আইন ভঙ্গের দায়ে তাদের বিরুদ্ধে মোট ৩৫টি মামলা করা হয়। মামলায় অর্থদণ্ড বাবদ মোট ৮১ হাজার ৫শ’ টাকা আদায় করা হয়।

ছাড়া সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে মহাসড়কে অধিক যাত্রী পরিবহনের দায়ে ১১৭টি থ্রি-হুইলার জব্দ করা হয়। এর মধ্যে ১০২টি ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক এবং ১৫টি সিএনজিচালিত অটোরিকশা রয়েছে। এদিকে জব্দকৃত থ্রি-হুইলার শহরের নিয়াজ মুহাম্মদ স্টেডিয়ামে রাখা হয়েছে।

করোনা পরিস্থিতি চলাকালে সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নে মাঠ পর্যায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

প্রতিটি ভ্রাম্যমাণ আদালতের নেতৃত্বে ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পঙ্কজ বড়ুয়া। এ সময় অন্যান্য ম্যাজিস্ট্রেটদের মধ্যে দায়িত্ব পালন করেন সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবিএম মশিউজ্জামান, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রশান্ত বৈদ্য ও কিশোর কুমার দাস।