পীরগাছায় বন্যা পরিস্থিতিতে হাজারো মানুষ ভুগছেন খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানি সংকটে

মো. আসিকুজ্জামান সজিব, পীরগাছা (রংপুর) প্রতিনিধি :

পীরগাছায় তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। নদী তীরবর্তী এলাকায় বসবাসকারী প্রায় চার হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। একে তো করোনা মহামারীর কারনে সবাই বিপর্যস্ত তার উপর আবার বন্যার হানা। যার কারণে পানিবন্দী পরিবারের মানুষজনের মাঝে খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি ও গবাদি পশুর গো-খাদ্যের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।

সরকারি ও বেসরকারিভাবে এখন পর্যন্ত কোনো ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়নি এসব এলাকায়। ফলে চরম বিপাকে পড়েছে বন্যা দুর্গত মানুষজন।

শনিবার (২৭ জুন) বন্যাকবলিত এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, তিস্তা নদীর তীরবর্তী গাবুড়ার চর, শিবদের চর, কিশামত ছাওলা, পূর্ব হাগুরিয়া হাশিম, ছাওলা, চর কাশিম, শিবদেব, রহমতের চর, চর তাম্বুলপুর ও চর রহমত গ্রামের প্রায় চার হাজার পরিবার পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। পানিবন্দি পরিবারের মানুষজনের মাঝে খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি ও গবাদি পশুর জন্য গো-খাদ্যের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে এসব বন্যা কবলিত এলাকায়।

চর ছাওল গ্রামের আব্দুর রহমান (৫০) বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার আবারও তিস্তার পানি বৃদ্ধি শুরু হয়। এখনো পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।’

শিবদেব চরের বাসিন্দা আব্দুস ছালাম বলেন, ‘আকস্মিক বন্যা চলে এসেছে। এ সময় বন্যার কোনো প্রস্তুতি ছিল না আমাদের। এজন্য শুকনা খাদ্য ও পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে আমাদের মাঝে।’

রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মেহেদি হাসান বলেন বরাদ্দ না থাকায় ভাঙন রোধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়নি। তবে ওইসব এলাকায় ভাঙন রোধে বরাদ্দের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে দ্রুত গতিতে ব্যবস্হা গ্রহন করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুল আজিজ বলেন, ‘বন্যা দুর্গত এলাকার খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। ক্ষয়ক্ষতি বিবেচনায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।