চাঁদপুরে মলমপার্টির খপ্পরে নগদ ৫০ হাজার স্বর্ণালংকার হারালো নারী

কবির হোসেন মিজি, চাঁদপুর করেসপন্ডেন্ট :

পবিত্র ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে সক্রিয় হয়ে উঠেছে মলম পার্টি, প্রতারক ও ছিনতাইকারী চক্র। চাঁদপুর শহরের বিভিন্ন স্থানে ঘটছে চুরি ও ছিনতাই এবং মলম পার্টির খপ্পরে পড়া নানা ঘটনা। এমনকি লাখ লাখ টাকার জাল নোট নিয়েও মাঠে নেমেছে প্রতারক চক্ররা।

প্রতি বছর ঈদ এলেই প্রতারক চক্র, মলম পাটি, চোর ও ছিনতাই কারীদের দৌরাত্ম বেড়ে যায়। লঞ্চঘাট, বাসস্ট্যান্ড, রেলওয়ে, ব্যাংক, হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্থানে মানুষজনকে বিভিন্নভাবে ধোকা দিয়ে নগদ অর্থসহ, স্বর্ণালন্কার, মোবাইল সেট অথবা প্রয়োজনীয় মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যায়। এবার ও ঈদুল অযহাকে সামনে রেখে তারা শহরের বিভিন্ন স্থানে চুরি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটাচ্ছে।

২৭ জুলাই সোমবার সকালে চাঁদপুর শহরের এ্যাম্বুলেন্স ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন পাটওয়ারীর স্ত্রী খাদিজা আক্তার নামে এক নারী মলম পার্টির খপ্পরে পড়ে হারিয়েছেন নগদ ৫০ হাজার টাকা, স্বর্ণের চেইন, কানের দুল সহ ২৫ হাজার টাকা দামের মোবাইল সেট। খাদিজা আক্তার জানান, সোমবার সকালে তিনি চাঁদপুর পোস্ট অফিসে টাকা জমা দিয়ে ন্যাশনাল ব্যাংকে যান। ওই সময় মলম পার্টির কয়েকজন তাকে ফলো করে তার পিছু নেয়। তিনি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ফটোকপি করতে নিচে নামলে ওই চ্ক্রটি তার সাথে বিভিন্ন ভাবে ভুলিয়ে বালিয়ে কথা বলায় লিপ্ত হয়। এক পর্যায় তার সাথে থাকা নগদ ৫০ হাজার টাকা সহ স্বর্ণালংকার তাদের কে দিয়ে দেন। তারা এসব নিয়ে উদাও হওয়ার কিছুক্ষণ পর তিনি বুঝতে পারেন যে তিনি প্রতারক চক্র মলমপার্টির খপ্পরে পড়েছেন।

গত কয়েকদিন ধরে চাঁদপুর শহরের বিভিন্নস্থানে এরম কয়েকটি ঘটনার খবর পাওয়া গেছে। বিশেষ করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের টিকেট কাউন্টারের সামনে প্রতিদিনই ঘটছে কোন না কোন চুরির ঘটনা। সেখানে যেসকল নারী রোগীরা ডাত্কার দেখাতে হাসপাতালে যান। ওইসকল নারীদের সাথে থাকা ভ্যানটি ব্যাগ থেকে চুরি হচ্ছে নগদ অর্থ, মোবাইল সেট কিংবা গলার চেইনসহ স্বর্ণালংকার।

বর্তমানে ঈদকে সামনে রেখে আরো বেশি সক্রিয় হয়ে উঠেছেন এসব প্রতারক চক্রটি। তারা মানুষকে নেশ্রা জাতীয় দ্রব্য দিয়ে টাকা পয়সা নিয়ে যান। এছাড়াও শহরের বিভিন্নস্থানে চুরি ও ছিনতাইয়ের এবং ক’জন মলম পাটির খপ্পরে পড়ার খবর পাওয়া গেছে।

ঈদকে ঘিরে বিভিন্ন জেলা থেকে মানুষজন গ্রামের বাড়িতে ঈদ করার জন্য আসতে শুরু করেছে। অনেকে গভীর রাতেও একা কিংবা পরিবার পরিজন নিয়ে রাত করে তাদের গন্তব্যে ছুটে যান।

তাই তাদের নিরাপত্তার জন্য চোর ও ছিনতাইকারীদের কবল থেকে বাঁচতে চাঁদপুর শহরের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ পাহারা জোরদারের প্রয়োজন বলে মনে করছেন সচেতনমহল।