নোয়াখালী প্রতিনিধি :
নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জন্ম নেওয়ার একদিন পর চুরি হয়ে যাওয়া এক নবজাতক ৬ঘন্টা পর উদ্ধার করে মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিয়েছে চাটখিল থানা পুলিশ। নবজাতক চুরির ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ জুলাই) ভোরে অভিযান চালিয়ে উপজেলার নোয়াখলা গ্রাম থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছেন, লক্ষীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার উত্তরদেব নগর গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী মারজাহান বেগম (৩০), নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার মুকিল্লা গ্রামের হাবিবুল বাহারের স্ত্রী লাভলি বগেম (৩২) ও নবজাতক ক্রয়কারী চাটখিল উপজেলার নোয়াখলা গ্রামের মোশারফ হোসেন গাজী (৪২)।
নবজাতকটির পিতা রামগঞ্জের ব্যবসায়ী বেলাল হোসেন জানান, তার স্ত্রী রিনা বেগম গত ২৩ জুলাই চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একটি কন্যা সন্তান প্রসব করেন। ২৪ জুলাই প্রসূতি ও নবজাতককে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
লাভলি ও মারজাহান বেগম সম্পর্কে তার চাচী হন। প্রসূতি রিনা বেগমকে নিয়ে লালি ও মারজাহান বেগম বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে হাসপাতাল থেকে বের হয়ে আসলে কৌশলে লালি ও রিনা তার সন্তানকে নিয়ে নোয়াখলা গ্রামের মোশারফ হোসেনের কাছে ৬০হাজার টাকা বিক্রি করে দেয়।
তারা প্রসূতি রিনা বেগমকে সোনাইমুড়ী উপজেলার মুকিল্লা গ্রামের লালি বেগম এর ঘরে নিয়ে আটকে রাখে। রিনা বেগমের কাছ থেকে ৩০০টাকা মূল্যের একটি অলিখিত স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে নেয় লালি বেগম।
পুরো ঘটনা আঁচ করতে পেরে রিনা বেগম কৌশলে সোমবার রাতে লাভলির বাসা থেকে পালিয়ে চাটখিল থানায় এসে পুলিশের কাছে ঘটনার বিবরণ দেন।
সোমবার (২৭ জুলাই) রাত সাড়ে ১২টার দিকে বেলাল হোসেন বাদী হয়ে তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়ে চাটখিল থানার ওসি মো: আনোয়ারুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ রাতেই শিশুটি উদ্ধার অভিযানে নামে। মঙ্গলবার (২৮ জুলাই) ভোরে নোয়াখলা গ্রামের মোশারফ হোসেন গাজীর বাড়ি থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে সকালে তার মা-বাবার কাছে ফিরিয়ে দেয়।
চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে গ্রেফতাকৃতদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।