এবার বেরিয়ে এলো ডা. সাবরিনার আরো মারাত্মক জালিয়াতির খবর

প্রিয় সময় ডেস্ক :

জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নিয়েও জালিয়াতি করেছেন জেকেজিকাণ্ডে কারাবন্দি ডা. সাবরিনা। ভিন্ন তথ্য দিয়ে তৈরি করে নিয়েছিলেন দুটি এনআইডি। দুদক চিঠি দেয়ার পর বিষয়টি খতিয়ে দেখছে নির্বাচন কমিশন।

নমুনা ফেলে দিয়ে ভুয়া কোভিড রিপোর্ট তৈরির দায়ে কারাগারে জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যানে ডা. সাবরিনা ও আরিফ চৌধুরী। শুরু হয়েছে বিচারিক প্রক্রিয়াও। এবার মিললো ভিন্ন এক প্রতারণার তথ্য।

তথ্য জালিয়াতি করে দুইবার ভোটার হয়ে দুটি জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করিয়ে নেন ডা. সাবরিনা। দুটি এনআইডি কার্ডের তথ্য একেবারেই ভিন্ন। একটিতে মায়ের নামের জায়গায় লেখা রয়েছে কিশোয়ার জেসমিন। অন্যটিতে জেসমিন হুসেইন। একটি কার্ডে তার স্বামীর নাম আর এইচ হক। অন্যটিতে আরিফুল চৌধুরী। একটিতে তার জন্মসাল ১৯৭৮ সাল। ৫ বছর কমিয়ে অন্যটিতে দেয়া হয়েছে ১৯৮৩ সাল। একটি কার্ডে পেশা ডাক্তার, অন্যটিতে সরকারি চাকরি। একটি আইডি কার্ডে তার স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা মোহাম্মদপুর পিসি কালচার হাউজিং সোসাইটি। অন্যটিতে রয়েছে বাড্ডার প্রগতী সরণি। নির্বাচনী কমিশনের তথ্যভাণ্ডার বলছে, সাবরিনা প্রথম আইডি কার্ডটি নিয়েছেন ২০১৬ সালের হালনাগাদে। আর দ্বিতীয় আইডি কার্ডটি রয়েছে নতুন ভোটার তালিকায়। তবে দুটিতে স্বাক্ষর একই।

সম্প্রতি সাবরিনার একাধিক আইডি কার্ডের নাম্বার দিয়ে নির্বাচনে কমিশনকে চিঠি দেয় দুর্নীতি দমন কমিশন। বিষয়টি এখন খতিয়ে দেখছে ইসি। স্বাভাবিকভাবেই কেউ দ্বিতীয়বার কার্ড করতে আসলে আঙুলের ছাপে ধরা পড়ে যাওয়ার কথা। এক্ষেত্রে উল্টো করে আঙুলের ছাপ দিয়ে সাবরিনা প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছেন বলে ধারণা ইসি কর্মকর্তাদের।

 

ভোটার তালিকা আইন ২০০৯ বলছে, তথ্য গোপন করে কেউ ভোটার হলে ৬ মাসের জেল এবং ২ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে।