শ্বেতী রোগ : কারণ লক্ষণ ও ঘরোয়া চিকিৎসা

দেশ বিদেশে হাজার হাজার মানুষ এ রোগে ভুগছে। এ রোগে আক্রান্ত হয়ে কেউ কেউ এক বছর থেকে দশ-পনেরো বছর পর্যন্ত বয়ে চলছেন অসুখটি।

কিন্তু অনেক সময় অনেক চিকিৎসা করেও সঠিক চিকিৎসার অভাবে এবং এ বিষয়ে সঠিক জ্ঞান ও প্রয়োগের অভাবে রোগ থেকে পরিত্রাণ পাচ্ছেন না। এই নিবন্ধে আমরা চেষ্টা করেছি সেই সঠিক তথ্যাদি আপনাদের সামনে তুলে ধরতে, যাতে আপনারা বিষয়টি সম্পর্কে সঠিকভাবে জেনে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন।

শ্বেতী রোগ আক্রান্তদের মনের কষ্ট বুঝতে পেরে তাদের সহযোগিতায় আমাদের এ ছোট্ট নিবেদন। এই প্রবন্ধের শেষের দিকে আরো কিছু রোগের কারণ ও প্রতিকারের বর্ণনা দেয়া হয়েছে। এসকল রোগ থেকে আরোগ্য লাভের নানা পন্থা সম্পর্কে বর্ণনা রয়েছে। আপনারা এ রোগ থেকে মুক্ত হন এবং অপরকে এ রোগ থেকে মুক্তি পেতে সাহায্যের জন্য সংবাদটি শেয়ার করুন-এটাই আমার কামনা।

বাংলাদেশের মতোই সারাবিশ্বে শ্বেতী – বড় অদ্ভুত একটি রোগ, তবে ভয়াবহ নয় মোটেও! শুধুমাত্র রোগটি সম্পর্কে অজ্ঞতার কারণে শ্বেতী রোগীকে দেখলে ভয়ে আঁতকে ওঠেন অনেকেই। অনেকেই ভ্রূ কুঞ্চিত করেন ভাবনায়, ছোঁয়াচে নয়তো! একবারও কি ভেবে দেখেছেন, আপনার এই অভিব্যক্তি দেখে শ্বেতী রোগীর মনে কী ধরনের প্রতিক্রিয়া হয়? কেউ হয়তো অপমানিতবোধ করেন, কেউ বা পান কষ্ট!

তাই শ্বেতী রোগীকে অনাদর, অবহেলা-অবজ্ঞা নয়- চিকিৎসায় শ্বেতী রোগ একশভাগ মুক্ত হয়। তবে এ চিকিৎসা হতে হবে ধাপে ধাপে। একদিনে এ রোগ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সহজ নয়। এ রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার একমাত্র পথ হচ্ছে ইউনানী চিকিৎসা। ইউনানী চিকিৎসায় এ পর্যন্ত পার্শ্বে উল্লেখিত শিশুটি ছাড়াও কয়েক হাজার শ্বেতী রোগী আরোগ্য লাভ করেছেন। যারা বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় অবস্থান করছেন।

যেহেতু শ্বেতী রোগের চিকিৎসা ধাপে ধাপে করতে হয় তাই এটি অনেক সময়সাপেক্ষ। ছয় মাস থেকে আঠারো মাস এমনকি এক দুই বছর ধরে ধৈর্য ধরে ধীরে ধীরে চিকিৎসা চালিয়ে গেলে এবং চিকিৎসকের পরামর্শমতে চিকিৎসা চালাতে পারলে এ রোগ সম্পূর্ণ ভালো হয়ে যায়।

এ চিকিৎসার জন্যে কারো কারো তিন থেকে ছয়মাস ঔষধ গ্রহণ করতে পারলে তা ভালো হয়ে যায়। আবার করো কারো আঠারো মাস এমনকি দু’তিন বছর পর্যন্ত ঔষধ গ্রহণ করতে হয়। চিকিৎসার ক্ষেত্রে দেহের লোমশ অংশের চিকিৎসা অনেক ক্ষেত্রেই সফল হয় কিন্তু যেসব অংশে লোম থাকে না, যেমন আঙুল, ঠোঁট ইত্যাদির চিকিৎসায় দীর্ঘসময় লেগে যেতে পারে।

শ্বেতী রোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রে সাধারণত কোনো ল্যাবরেটরি পরীক্ষা ছাড়া শুধু রোগের লক্ষণ দেখেই এই রোগ নির্ণয় করা হয়। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা প্রয়োজন। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ ব্যবহার করা হয়।

প্রয়োজনে রোগীর বয়স, রোগের সময়কাল, রোগের স্থান এবং ব্যাপ্তিভেদে চিকিৎসা পদ্ধতি বাছাই করা হয়। সেক্ষেত্রে এ রোগ হলে প্রাথমিক অবস্থায়  Recap ক্রিম, Vitiligo Natural, Vitiligo Natural Harbs সহ ডাক্তার নির্দেশনামতে আরো কিছু ঔষধ কয়েক মাস এমনকি প্রয়োজনে কয়েক বছর ধরে নিয়মিতভাবে সেবন করতে হয়। এ চিকিৎসায় ধীরে ধীরে শ্বেতী থেকে আরোগ্য লাভ করা সম্ভব এবং সারাদেশে প্রায় এক হাজারেরও বেশি রোগী আরোগ্য লাভ করেছেন।

লক্ষ্য করুন :

– যত অল্প বয়সে শ্বেতীর চিকিৎসা করা যায় তত ভালো।
– শরীরের যেকোনো জায়গায় সাদা দাগ দেখা দিলে দ্রুত চিকিত্‍সকের সাথে যোগাযোগ করুন।
– ডায়াবেটিস, হাইপার থাইরয়েড – এসব যাদের আছে তাদের শ্বেতী হবার প্রবণতা বেশি থাকে।

এ চিকিৎসার ক্ষেত্রে আপনি নিজে সরাসরি গিয়ে ঔষধ গ্রহণ করতে পারলে তা হবে পারফেক্ট। তবে যদি কোনো কারণে তা সম্ভব না হয় তবে বাংলাদেশের যে কোনো জেলায় কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমেও দু’ থেকে তিন দিনের মধ্যেই ঔষধ গ্রহণ করতে পারবেন।

যাদের ২/৪ থেকে ৫-১০ বছর যাবত এ রোগটি শরীরে বাসা বেঁধে আছে তাদেরকে ডাক্তারের পরামর্শ মতো কমপক্ষে এক বছর থেকে দু’বছর ধরে  এ চিকিৎসা গ্রহণ করতে হয়। এতে ধৈর্য হরালে চলবে না। রীতিমতো ঔষধ সেবন করতে হয়, যাতে শরীরে পর্যাপ্ত মেলানিন উৎপন্ন হয়ে শ্বেতী আক্রান্ত স্থানে পূর্বের মতো ত্বকের বর্ণ ধারণ করতে পারে।

এ রোগ হলে প্রাথমিক অবস্থায় এ চিকিৎসা গ্রহণ করলে শরীরে মেলানিন উৎপন্য হতে শুরু করে এবং আক্রান্ত স্থান ক্রমে কমে শরীরের অন্যান্য স্থানের মতোই সুন্দর হয়ে উঠে এবং শ্বেতী রোগের পরিসমাপ্তি ঘটে। সেই সাথে ভবিষ্যতে আবার যাতে শ্বেতী আক্রান্ত না হতে হয় সেজন্য ডাক্তারের নির্দেশমতো চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হবে। ফলে পরবর্তীতে এ রোগে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা আর থাকে না।

যাদের শ্বেতী রোগ আছে তারা এ চিকিৎসা সেবা নিতে পারেন৷ এটা একটা ভাল মানের চিকিৎসা সেবা।

কারো কারো শ্বেতীরোগ চিকিৎসায় ভালো হতে একটু সময় লাগে।কারো কারো এক বছর বা দেড়-দুই বছরও সময় লাগে। কারো কারো কম সময়ে ভাল হয়। তবে শ্বেতীরোগের পরিমানের উপর সময় কম বা বেশী লাগে। তাই নিরাশ না হয়ে চিকিৎসা সেবা নিলে ভাল ফল পাবেন।

বর্তমান চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের নিরলস সাধনায় অনেকটা নিরাময়যোগ্য ওষুধের আবিষ্কার হয়েছে। কীভাবে বুঝবেন শ্বেতী হয়েছে? এই রোগে আক্রান্ত রোগীর চামড়া সাদা হয়ে যায়। এতে সর্বপ্রথম সাদা বিন্দুর দাগ পড়ে এবং ধীরে ধীরে অধিক স্থানজুড়ে সাদা হয়ে পড়ে।

প্রাথমিক পর্যায় হলে সম্প্রতি আবিষ্কৃত Recap নামের ঔষধ ব্যবহারে এর সফল চিকিৎসা আছে।  সেই সাথে Vitiligo Natural ব্যবহার করতে হবে। এটি শ্বেতী রোগের মহৌষধ। এছাড়াও আরো কিছু ঔষধ রয়েছে, যা পরবর্তীতে অবস্থা ভেদে প্রদান করা হয়।

রোগের বয়স দীর্ঘ বা ক্রনিক হলে দীর্ঘদিন ওষুধ সেবন করতে হয়। এক্ষেত্রে চিকিৎসক ও রোগী দু’জনকে ধৈর্যের পরিচয় দিতে হয়। কারণ শ্বেতী একটি জটিল রোগ। এ রোগ থেকে মুক্তি পেতে ধৈয্যের পরিচয় দিতে হয়।

যাদের এ রোগটি শুরুর সাথে সাথেই চিকিৎসা শুরু করা যায় অর্থাৎ ঔষধ প্রয়োগ করা যায় এবং নিম্নে বর্ণিত খাবার বিধি-নিষেধের বিষয়ে সচেতন হওয়া যায়। তাদের এ রোগ সহজেই নির্মূল হয়।

আর এ রোগটি দু’তিন বছর যারা লালন পালন করছেন। খাবার দাবার বিধি-নিষেধমতো গ্রহণ করছেন না, ঔষধ প্রয়োগ করছেন না তাদের সুস্থ হতে তিন, চার বা ছয়মাস এমনকি দু’এক বছর সময় লাগতে পারে। তবে ঔষধ প্রয়োগের বিষয়ে ধৈর্য হারাবেন না। ঔষধ ব্যবহার করতে হবে এবং খাবার-দাবারের বিষয়ে নিম্নে বর্ণিত বিধি নিষেধগুলো মেনে চলতে দ্রুত এ রোগ থেকে আরোগ্য লাভ করা যায়।

করণীয় :

কোষ্ঠকাঠিন্য দোষ থাকলে দূর করতে হবে। দুধ, ছানা, মাখন, স্নেহজাতীয়, ফলের রস ও অন্যান্য পুষ্টিকর খাদ্য বেশি বেশি খাবেন। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা ভালো।

যা বেশি বেশি খাবেন :

খুরমা খেজুর, সবুজ মটরশুটি, শালগম, পালং শাক, এপ্রিকট, মেথি, ডুমুর, সবুজ শাকশবজি, আম, পেয়াজ, পেস্তা, আলু, পিউর ঘি, মুলা, লাল মরিচ, শাকসবজি, আখরোট, গম

যা একদম খাবেন না :

জাম, অরেঞ্জ, ব্লু বেরিজ, অ্যালকোহল, মাখন, কাজুবাদাম, চকোলেট, সামুদ্রিক মাছ, রসুন, আঙ্গুর, পেয়ারা, লেবু, সামুদ্রিক তৈলজাত খাবার, পেপে, নাশপাতি, বরই, গরুর গোস্ত,  সোডা জাতীয় যে কোনো কোমল পানীয় (যেমন পেপসি, কোকাকোলা, সেভেন আপ ইত্যাদি) , টমেটো, তরমুজ। ধূমপান, এলকোহল সেবন, উগ্রমশলাযুক্ত খাবার বর্জনীয়।

লাইফস্টাইল সম্পর্কিত :

টাইট ফিটিং, যা ত্বকে দাগ দিতে, মত স্থিতিস্থাপক অবশ্যই এড়িয়ে চলতে হবে যা ত্বক রক্তসংবহন সমস্যার সৃষ্টি করে। প্রারম্ভিক, চুলকানি অবশ্যই এড়িয়ে চলতে হবে। কোন আঘাত নতুন প্যাচ বৃদ্ধি দিতে হবে। প্লাস্টিক ও রাবার পরিধান এড়িয়ে চলা উচিত। প্লাস্টিক অলঙ্কার, Bindi বা ত্বকে কোন স্টিকার এড়িয়ে চলা উচিত।

অনুগ্রহ করে লক্ষ্য করুন যে, এই খাদ্য নিষেধাজ্ঞা বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক কারণে এবং vitiligo সম্পর্ক আমাদের অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে করা হয়। এই খাদ্য নিষেধাজ্ঞা শুধুমাত্র আমাদের চিকিৎসার স্বার্থে । চিকিৎসা শেষ হলে আবার তা নিয়মিত খেতে পারবেন।

অর্থাৎ নিষেধকৃত খাবারগুলো খেলে আপনার ত্বকে মেলানিন সৃষ্টিতে বাধাগ্রস্ত হবে। ফলে সহসাই আপনার রোগটি ভালো হবে না। তাই চেষ্টা করতে হবে এসব খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলতে।

প্রাথমিক অবস্থায় রোগটি হলে দু’তিন মাস চিকিৎসায় ভালো হয়ে যায়। তবে যাদের দু’তিন বছর বা তারও বেশি সময় ধরে শ্বেতী, তাদেরকে ৩ থেকে ৬ মাস এমনকি ২-৩ বছর পর্যন্ত এ চিকিৎসা গ্রহণ করতে হয়।

শ্বেতি শরীরের কোন অংশে হয় :

মুখমণ্ডল, কনুই, বক্ষদেশ এসব জায়গাতেই প্রথমে শ্বেতী হতে শুরু করে। কখনো কখনো শ্বেতী চোখের পাশ দিয়ে, নাকের দুপাশে বা ঠোঁটের কোণ বা উপর দিয়েও শুরু হয়। কিছু ক্ষেত্রে শ্বেতী খুব একটা ছড়ায় না, একটা বিশেষ জায়গাতেই থাকে। আবার কখনো এমনভাবে মুখে, বুকে, হাতে, পায়ে ছড়িয়ে পড়ে যে বোঝাই না এক সময় গায়ের রং আসলে কী ছিল! দ্বিতীয় ধরনের শ্বেতীর দাগই মানুষকে শ্রীহীন করে তোলে।

কোন বয়সে হয় :

সদ্যোজাত শিশুর শ্বেতী একেবারেই ধরা পড়ে না। ৫০ শতাংশ শ্বেতী ধরা পড়ে বয়স বছর দশেক হলে। বাকিদের শ্বেতী হয় বয়স দশ বছর পার হয়ে জীবনের যেকোনো সময়ে।

সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে বিশ্বস্ততার সাথে ঔষধ ডেলিভারী দেওয়া হয়।

ঔষধ পেতে যোগাযোগ করুন :

হাকীম মিজানুর রহমান 

(ডিইউএমএস)

হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর।

ইবনে সিনা হেলথ কেয়ার

একটি বিশ্বস্ত অনলাইন স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান।

মুঠোফোন🙁চিকিৎসক)

01762-240650

(সকাল দশটা থেকে রাত্র দশটা। নামাজের সময় কল দিবেন না।)

ই-মেইল : ibnsinahealthcare@gmail.com

সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসে ঔষধ পাঠানো হয়।

শ্বেতীরোগ একজিমাযৌনরোগ, পাইলস (ফিস্টুলা) ও ডায়াবেটিসের চিকিৎসক।

আরো পড়ুন : শ্বেতী রোগের কারণ, লক্ষ্মণ ও চিকিৎসা

আরো পড়ুন : যৌন রোগের শতভাগ কার্যকরী ঔষধ

আরও পড়ুন: বীর্যমনি ফল বা মিরছিদানার উপকারিতা

আরো পড়ুন : অর্শ গেজ পাইলস বা ফিস্টুলা রোগের চিকিৎসা

আরো পড়ুন :  নারী-পুরুষের যৌন দুর্বলতা এবং চিকিৎসা

আরো পড়ুন : ডায়াবেটিস প্রতিকারে শক্তিশালী ভেষজ ঔষধ

আরো পড়ুন : দীর্ঘস্থায়ী সহবাস করার উপায়