মাদারীপুরের শিবচরে গত ২ দিন ধরে সূর্যের দেখা নেই

মাজহারুল ইসলাম (রুবেল) :

গত দুইদিন ধরে সূর্যের দেখা মিলছেনা মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার আকাশে। প্রচন্ড কুয়াশা আর শীতের তীব্রতা সঙ্গে উত্তরের হিমেল হাওয়ার কাপুনিতে জবুথবু শিবচরের প্রান্তিক জনপদের মানুষ। গত মঙ্গলবার সকাল থেকে ও বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টা পর্যন্ত সূর্যের দেখা মেলেনি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত দুইদিন ধরে উপজেলার সর্বত সকাল থেকে রাত পর্যন্ত শীতের তীব্রতা থাকায় বিপাকে পড়ছেন কর্মজীবীসহ নিন্ম আয়ের মানুষ। জেলার চরাঞ্চলের মানুষ আরো বেশি দূর্ভোগে পড়েছেন। শীতের দাপটে সন্ধ্যার পরে জেলার বিভিন্ন বাজার শূন্য হয়ে যায়। এতে দৈনন্দিন খেটে খাওয়া মানুষ পড়েছেন চরম ভোগান্তি চরমে।অতি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না সাধারণ মানুষ।

এদিকে দুইদিন ধরে শীতের কারণে মাঠ-ঘাটে ও ফসলের ক্ষেতে তেমন একটা দেখা যায়নি দিনমজুরদের। তাছাড়া জেলার বিভিন্ন আঞ্চলিক সড়কে রিকশাভ্যান-ইজিবাইকের সংখ্যাও কমে গেছে। এদিকে শীতের কারণে উপজেলায় শিশুদের ঠাণ্ডাজনিত রোগ বেড়েছে। ফলে বেড়েছে শিশুদের ঠাণ্ডাজনিত রোগের ঔষুধ বিক্রি।

শিবচর উপজেলার পৌরবাজারের শিবচর স্কয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক সিয়াম হাওলাদার বলনে, গত দুইদিন ধরে শীতের কারনে গ্রাম থেকে কোন রোগী আসেনি। ২/ ১ জন রোগী এসেছে। সকাল থেকেই প্রচুর শীত। ঠাণ্ডায় বাজারে বসে থাকা কষ্টকর। তাই গতকাল সন্ধ্যার আগেই বাসায় চলে এসেছি।

উপজেলার পৌর বাজারে ভ্রাম্যমান চপ, পিয়াজু বিক্রেতা দেলোয়ার হোসেন মোল্লা বলেন , যেভাবে শীত জেগেছে তাতে আমার বেচাকেনার একেবারেই কমে গেছে । প্রতিদিন প্রায় ৩ হাজার ৫ শত থেকে ৪ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। গত ২ দিনে ২ হাজার টাকাও বিক্রি করতে পারিনি।

উপজেলার মাদবরেরচর এলাকার মস্তাকিম মিরবহর নামে এক কৃষক বলেন, গত কয়েকদিন ধরেই প্রচুর শীত। গতকাল (৪ জানুয়ারি) সকাল থেকে শীত বেশি। সাথে আবার বাতাস। আজও শীতে কাপুনি বেড়েছে।

উপজেলার বন্দরখোলা এলাকায় থেকে বাচ্চু শিকদার বলেন, গত দুইদিন যেমন শীত,তেমন বাতাস। বাতাসের কারণে শীত বেড়েছে। শহরে মানুষের চলাচল কমে গেছে। অনেকেই প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না।

শিবচরের বাশকান্দি এলাকার কৃষক ইকবাল মাদবর বলেন, এমন শীত পড়ছে। ঘরেই থাকা কষ্ট। তাই কয়েকদিন ধরে ক্ষেতে যেতে পারছিনা। আমাদের মতো বয়স্কদের কাছে শীত বেশি মনে হয়। হাত-পা ঠাণ্ডা হয়ে আসে।

পৌর বাজারের ঔষদের দোকানি ও পল্লী চিকিৎসক সুমন মোল্লা বলেন, বিকেল হলেই দোকানে শিশুদের ঠাণ্ডা-কাঁশির ঔষুধ নিতে ভিড় পড়ে যায় তাদের অভিভাবকদের গত কয়েক দিনে ঠাণ্ডাজনিত রোগের ঔষুধ বিক্রি বেড়েছে।