নির্বাচন বানচাল করতে ওয়ার্ড বিভাজনের কৌশল, শত শত মানুষের বিক্ষোভ

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) উপজেলা প্রতিনিধি :

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ধানখালী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ২০২৩ সালের মার্চে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। কিন্তু নির্বাচন বানচাল করতে ওই ইউনিয়নের ৭,৮,৯ এবং ২,৪ ও ৬ নং ওয়ার্ডকে বিভাজন করার লক্ষে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর পটুয়াখালীর উপপরিচালক বরাবরে আবেদন করেছে ইউনিয়ন পরিষদ। গত বছরের ২৪ আগষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রিয়াজ তালুকদার এ আবদেন করেন।

এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার(১৭ জানুয়ারি ) দুপুরে সরেজমিনে তদন্তে যায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার কর্তৃক গঠিত ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি। পরে বিভিন্ন ওযার্ড ঘুরে ওই তদন্ত কমিটি ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে গেলে ওয়ার্ড বিভাজন না করার দাবিতে বিক্ষোভে ফুসে ওঠেনা স্থানীয় জনতা। পরে থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এক পর্যায়ে জনসম্মুখ্যে স্থানীয়দের মতামত নেয় তদন্ত কমিটি।

ধানখালী ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রব বলেন, চেয়ারম্যান তার আবেদনে উল্লেখ করেছেন, ৭,৮,৯ এর কৃষি জমি সহ সকল স্থাপনা এবং ২,৪, ৬ নং ওয়ার্ডের জমি ঘর আংশিক অধিগ্রহন করা হয়েছে। অধিগ্রহনকৃত গ্রামের সকল অধিবাসীকে সরকারী আবাসনে অন্যত্র পুর্নবাসিত করা হয়েছে। এগুলো সবই ভুল তথ্য। আসলে সঠিক সময়ে নির্বাচন বানচাল করতেই চেয়ারম্যান মনগড়া তথ্য দিয়ে আবেদন জানিয়েছেন।

ধানখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি শাহাজাদ পারভেজ টিনু মৃধা জানান, চেয়ারম্যান ইউনিয়ন পরিষদে রেজুলেশন করে আবেদনে উল্লেখ করেছেন জমি অধিগ্রহনের ফলে ৩ টা ওয়ার্ড পুরোপুরি বিলুপ্ত হয়ে গেছে। এছাড়া ৩ টা ওয়ার্ড আংশিক বিলুপ্ত হয়েছে। মূলত এসব ওয়ার্ড বিলুপ্ত হয়নি। এসব ওয়ার্ডে এখনো ভোট কেন্দ্র আছে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জমি অধিগ্রহনের পর এসব এলাকার মানুষ সংসদ নির্বাচন এবং উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট দিয়েছে। মূলত ভোট স্থগিত করার লক্ষে বর্তমান চেয়ারম্যান ওয়ার্ড বিভাজনের কৌশল অবলম্বন করেছেন।

এ ব্যাপারে ধানখালী ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ রিয়াজ তালুকদার জানান, আমার ইউনিয়নে তাপ বিদ্যুতের কারনে কয়েকটি ওয়ার্ডে সমস্যা হয়েছে সেটা আমি গত এপ্রিল মাসে লিখিত আকারে উপজেলা ও জেলা প্রশাসনকে জানিয়েছি তারা ব্যাবস্হা নিবে। আমি চাই সঠিক সময় নির্বাচন হোক। ওয়ার্ড শ্রেনিবিন্যাসের সাথে নির্বাচনের সম্পর্ক কিসের। আমার প্রতিপক্ষ নির্বাচনকে সানমে রেখে অপপ্রচার চালাচ্ছে।

তদন্ত কমিটির প্রধান উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবদুর রশিদ জানান, আমরা সরেজিমেন পরিদর্শন করেছি। ওই ইউনিয়নের ওয়ার্ড বিভাজন নিয়ে এখনো তদন্ত চলছে।