সোরিয়াসিস কি? কেন হয়, লক্ষণ ও চিকিৎসা-প্রতিরোধ

নারী-পুরুষ নির্বিশেষে যে কোনো বয়সীরা এ রোগে আক্তান্ত হতে পারে। তবে ত্রিশোর্ধ্বরা বেশি আক্রান্ত হয়।

মানুষের ত্বকের কোষ প্রতিনিয়ত একটি নির্দিষ্ট সময়ে নতুন করে তৈরি হয় এবং মারা যায়। কিন্তু সোরিয়াসিসে এই কোষ বৃদ্ধির হার অস্বাভাবিক হয়ে ওঠে। সাধারণত ত্বকের সবচেয়ে গভীরের স্তর থেকে নতুন কেরাটিনোসাইট কোষ ওপরের স্তরে আসতে স্বাভাবিকভাবে সময় নেয় ২৮ দিন, আর সোরিয়াসিস হলে এ ক্ষেত্রে তা পাঁচ থেকে সাত দিন।

সোরিয়াসিস সাধারণত হাত, পা, পিঠ, ঘাড়, মাথার ত্বক, মুখসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানের ত্বকের হয়ে থাকে।

সোরিয়াসিসের প্রকারভেদ
সাধারণত পাঁচ ধরনের সোরিয়াসিস হয়ে থাকে,

১. প্লাক সোরিয়াসিস: প্লাক সোরিয়াসিস হল সবচেয়ে সাধারণ ধরনের সোরিয়াসিস। এবং আমেরিকান একাডেমি অফ ডার্মাটোলজির তথ্য অনুযায়ী বিশ্বের ৮০-৯০ ভাগ মানুষের প্লাক সোরিয়াসিস রয়েছে।

২. গাট্টেট সোরিয়াসিস: গাট্টেট সোরিয়াসিস সাধারণত শৈশবে হয়ে থাকে। এই ধরনের চর্মরোগ বাহু বা পায়ে ছোট গোলাপি বা বেগুনি দাগ সৃষ্টি করে।

৩. পাস্টুলার সোরিয়াসিস: প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে পাস্টুলার সোরিয়াসিস বেশি দেখা যায়। এটিতে আক্রান্ত স্থানে সাদা, পুঁজ-ভরা ফোস্কার সৃষ্টি হয়। এটি সাধারণত হাত বা পায়ে ব্যাপক আকারে হতে পারে।

৪. ইনভার্স সোরিয়াসিস: ইনভার্স সোরিয়াসিস আক্রান্ত স্থানে লাল হয়ে থাকে। এটি বগল বা স্তনের নীচে, কুঁচকিতে বা যৌনাঙ্গের ত্বকের ভাঁজের চারপাশে হয়ে থাকে।

৫. এরিথ্রোডার্মিক সোরিয়াসিস: ন্যাশনাল সোরিয়াসিস ফাউন্ডেশন অনুসারে এরিথ্রোডার্মিক সোরিয়াসিস একটি গুরুতর এবং খুব বিরল ধরনের সোরিয়াসিস। এটিতে আক্রান্ত হলে জীবন হুমকিও হতে পারে।

সোরিয়াসিসের কারণ
গবেষণায় জানা যায় মূলত জেনেটিক ও দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার কারণে সোরিয়াসিস হয়ে থাকে।

দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা
সোরিয়াসিস হবার একটি কারণ হলো অটো ইমিউনিটি। সোরিয়াসিসের ক্ষেত্রে, টি কোষ নামে পরিচিত শ্বেত রক্তকণিকা ভুলবশত ত্বকের কোষকে আক্রমণ করে বসে।

বংশগত কারণ
২০১৯ সালে প্রকাশিত এক গবেষণা অনুসারে, পরিবারের কারও সোরিয়াসিস থাকলে বা বংশে পূর্বে কেউ এ রোগে আক্রান্ত হলে সোরিয়াসিস হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।

মানসিক চাপ
অস্বাভাবিকভাবে মানসিক উচ্চ চাপ সোরিয়াসিস বৃদ্ধির কারণ হয়ে দাড়াতে পারে। তাই সর্বদা মানসিক চাপ মুক্ত থাকা প্রয়োজন।

অ্যালকোহল গ্রহণ
অ্যালকোহল ব্যবহার ও সোরিয়াসিস বাড়িয়ে তোলে। অত্যাধিক মদপান সোরিয়াসিসের প্রাদুর্ভাব আরও ঘন করে তোলে।

আঘাত পাওয়া
যেকোনো ধরনের দুর্ঘটনায় ধরুন ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হলে সোরিয়াসিস বেড়ে যায়। তাই দুর্ঘটনা থেকে তাকে দূরে থাকতে হবে। ত্বককে রক্ষা করে চলতে হবে।

ওষুধ গ্রহণ
কিছু ওষুধ সোরিয়াসিস বাড়াতে ট্রিগার হিসাবে বিবেচিত হয়। এই ওষুধগুলির মধ্যে রয়েছে, লিথিয়াম, ম্যালেরিয়া প্রতিরোধী ওষুধ, উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ ইত্যাদি।

সোরিয়াসিসের লক্ষণ
সোরিয়াসিসের লক্ষণ সাধারণত ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হয় এবং সোরিয়াসিসের ধরণের উপর নির্ভর করে।

১. শরীরে যেখানে সোরিয়াসিস হয় সেখানের ত্বকের রং লাল বা বাদামী রং ধারণ করে।

২. শুষ্ক ত্বকে এই সমস্যা দিলে ত্বকের আক্রান্ত স্থানে ফাটল দেখা দিতে পারে এবং রক্তপাত হতে পারে

৩. আক্রান্ত স্থানে চারপাশে ব্যথা থাকতে পারে

৪. আক্রান্ত স্থানের চারপাশে চুলকানি এবং জ্বলন্ত অনুভূতি হয়।

৫. শরীরে হাড়ের সংযোগস্থল গুলি ফুলে যায় এবং ব্যথা অনুভূত হয়।

সোরিয়াসিসের প্রতিকার বা চিকিৎসা
আধুনিক পৃথিবীতে এখন সোরিয়াসিসের প্রতিকার আছে। এর মাত্রা কমাতে, ব্যথা কমাতে এবং ত্বকের কোষের বৃদ্ধি ধীর করতে চিকিৎসা করা হয়। তাই নিম্নোক্ত চিকিৎসকের সাথে যোগাযাগ করুন।

১. আক্রান্ত স্থানে সরাসরি ক্রিম বা মলম প্রয়োগ হালকা থেকে মাঝারি সোরিয়াসিস কমাতে সহায়ক হতে পারে।

২. মাঝারি থেকে গুরুতর সোরিয়াসিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের, যারা অন্যান্য ধরনের চিকিৎসায় ভালোভাবে সাড়া দেয়নি, তাদের মুখে খাবার ওষুধ বা ইনজেকশন ব্যবহার করতে হতে পারে।

৩. মাঝারি ধরনের সোরিয়াসিসের ক্ষেত্রে ক্রিম ও খাওয়ার ঔষধ সেবন করে সক্রিয় শ্বেত রক্তকণিকাকে মেরে ফেলা হয় যা সুস্থ ত্বকের কোষকে আক্রমণ করে এবং দ্রুত কোষের বৃদ্ধি ঘটায়। এতে উভয়ই হালকা থেকে মাঝারি সোরিয়াসিস কমাতে সহায়ক।

৪. সোরিয়াসিস রোগীদের ক্ষেত্রে খাবার এই রোগের নিরাময় বা চিকিৎসা করতে পারে না। তবে চিকিৎসকরা বলে থাকেন পুষ্টি সমৃদ্ধ খাদ্য এই রোগের মাত্রা কমিয়ে দেয়।

সোরিয়াসিস প্রতিরোধ
১. সব সময় পুষ্টি সমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণ সোরিয়াসিস থেকে দূরে রাখতে পারে। এমন সব খাবার খাওয়া উচিত যা রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা বৃদ্ধি করে। এতে করে এই রোগ থেকে দূরে থাকা যাবে।

২. সোরিয়াসিস থেকে দূরে থাকার আরেকটি কৌশল হল ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা। অতিরিক্ত ওজন থাকলে নানা ধরনের রোগ শরীরে বাসা বাঁধে। এতে করে এ ধরনের চর্ম রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়। তাই সর্বদা ওজন বডি মাস অনুযায়ী রাখা উচিত।

৩. সোরিয়াসিস প্রতিরোধ করতে হলে স্যাচুরেটেড ফ্যাট, যা প্রাণীজ পণ্যে পাওয়া যায় যেমন মাংস এবং দুগ্ধজাত খাবার খাওয়া কমানো উচিত।

৪. স্যামন, সার্ডিন এবং চিংড়ির মতো সামুদ্রিক মাছ যা ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ধারণকারী ফ্যাটহীন প্রোটিন খাওয়া বাড়ানো উচিত।

৫. এ ছাড়া উদ্ভিদ-ভিত্তিক ফ্যাট যেমন আখরোট, শণের বীজ এবং সয়াবিনসহ ওমেগা-৩ এর উদ্ভিদ উৎসগুলিও সোরিয়াসিস প্রতিরোধে সহায়ক।

৬. সোরিয়াসিস বৃদ্ধি করে এমন সব খাবার যেমন, লাল মাংস, পরিশোধিত চিনি, উচ্চ প্রক্রিয়াজাত খাবার, অ্যালকোহল পান করা থেকে বিরত থাকা উচিত।

৭. সাধারণত খাবার থেকে ভিটামিন পাওয়া গেলেও কিছু কিছু চিকিৎসক এ ধরনের রোগ প্রতিরোধে সাপ্লিমেন্ট আকারে ভিটামিন গ্রহণের পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে বিশ্বস্ততার সাথে ঔষধ ডেলিভারী দেওয়া হয়।

ঔষধ পেতে যোগাযোগ করুন :

সরকারি নিবন্ধনপ্রাপ্ত চিকিৎসক।

গভ. রেজি নং ৩৫৪৬/ এ

হাকীম মো. মিজানুর রহমান

(বিএসএস, ডিইউএমএস)
ইবনে সিনা হেলথ কেয়ার, হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর।
একটি বিশ্বস্ত অনলাইন স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান।

মুঠোফোন : »(ইমো/হোয়াটস অ্যাপ)

(চিকিৎসক) :  01762240650 

মুঠোফোন : 01960288007 

(সকাল দশটা থেকে বিকেল ৫টা)

ই-মেইল : ibnsinahealthcare@gmail.com

সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসে ঔষধ পাঠানো হয়।

শ্বেতীরোগ একজিমাযৌনরোগ, পাইলস (ফিস্টুলা) ও ডায়াবেটিসের চিকিৎসক।