শ্বেতী ও ধবল রোগের কারণ লক্ষ্মণ ও প্রতিকার (ভিডিওসহ)

দেশ বিদেশে হাজার হাজার মানুষ এ রোগে ভুগছে। এ রোগে আক্রান্ত হয়ে কেউ কেউ এক বছর থেকে দশ-পনেরো বছর পর্যন্ত বয়ে চলছেন অসুখটি। কিন্তু অনেক সময় অনেক চিকিৎসা করেও সঠিক চিকিৎসার অভাবে এবং এ বিষয়ে সঠিক জ্ঞান ও প্রয়োগের অভাবে রোগ থেকে পরিত্রাণ পাচ্ছেন না।

এই নিবন্ধে আমরা চেষ্টা করেছি সেই সঠিক তথ্যাদি আপনাদের সামনে তুলে ধরতে, যাতে আপনারা বিষয়টি সম্পর্কে সঠিকভাবে জেনে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন।  শ্বেতী রোগ আক্রান্তদের মনের কষ্ট বুঝতে পেরে তাদের সহযোগিতায় আমাদের এ ছোট্ট নিবেদন। এই প্রবন্ধের শেষের দিকে আরো কিছু রোগের কারণ ও প্রতিকারের বর্ণনা দেয়া হয়েছে। এসকল রোগ থেকে আরোগ্য লাভের নানা পন্থা সম্পর্কে বর্ণনা রয়েছে। আপনারা এ রোগ থেকে মুক্ত হন এবং অপরকে এ রোগ থেকে মুক্তি পেতে সাহায্যের জন্য সংবাদটি শেয়ার করুন-এটাই আমাদের কামনা।

চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় ত্বক সাদা হয়ে যাওয়াকে ভিটিলিগো বলে। হাত, পা, মুখ, ঠোঁট, চোখের চারপাশ সহ শরীরের বিভিন্ন অংশে এটি হতে পারে। ত্বকের এই সমস্যাটির সঠিক কারণ এখনো জানা যায়নি। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন অটোইমিউন ডিজঅর্ডারের কারণে এমন হতে পারে। যার ফলে ইমিউন সিস্টেম নিজেই মেলানিন উৎপন্নকারী কোষকে অর্থাৎ মেলানোসাইটকে আক্রমণ করে। এছাড়াও অন্য যে কারণগুলোকে দায়ী করা যায় সেগুলো হল- জিনগত প্রবণতা, স্ট্রেস, ভিটামিন বি১২ এর ঘাটতি ও সূর্যরশ্মির প্রভাব ইত্যাদি। এছাড়াও ছত্রাকের সংক্রমণ, একজিমা, সোরিয়াসিস ও ত্বকের অন্য সমস্যার কারণেও হতে পারে।

শ্বেতি রোগটি বিব্রতকর একটি রোগ যা ব্যক্তির আত্মবিশ্বাস কমিয়ে দেয়। ত্বকের সাদা দাগ দূর করা বেশ কঠিন। তবে নিরাশ হবেন না প্রাথমিক অবস্থায় শনাক্ত করা গেলে শ্বেতি নিরাময় করা সম্ভব। শ্বেতি রোগের কারণ শনাক্ত করা ও এর লক্ষণ বিশ্লেষণ করাটা গুরুত্বপূর্ণ। যেকোন বয়সের মানুষেরই ভিটিলিগো হতে পারে। তবে গাড় ত্বকের মানুষদের হওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। ত্বকের এই সমস্যাটি জীবন সংহারি নয় এবং ছোঁয়াচেও নয়।

কিছু প্রাকৃতিক উপাদানের মাধ্যমেও এই রোগটির মোকাবিলা করা যায়। আসুন তাহলে জেনে নিই সেই প্রাকৃতিক উপাদানগুলো সম্পর্কে।

১। নারিকেল তেল
ছত্রাক, ব্যাকটেরিয়া ও ইনফ্লামেশনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে পারে নারিকেল তেল। এর পাশাপাশি মেলানিনের গঠনেও সাহায্য করে নারিকেল তেল। দুই সপ্তাহ যাবত দিনে ২-৩ দিন ব্যবহার করে দেখুন উন্নতি দেখতে পাবেন।

২। আদা
রক্ত সংবহনের উন্নতি ঘটায় আদা। এটি মেলানিনের নিঃসরণকেও উদ্দীপিত হতে সাহায্য করে। আক্রান্ত স্থানে আদার একটি টুকরা নিয়ে ঘষুন বা আদা থেঁতলে নিয়ে আদার রস কিছুক্ষণ লাগিয়ে রাখুন। লাগানো ছাড়াও দিনে দুইবার আদা চা পান করতে পারেন।

৩। কপার
কপার মেলানিনের উৎপাদন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। তামার পাত্রে পানি সারারাত সাধারণ তাপমাত্রায় রাখুন। সকালে খালি পেটে এই পানিটুকু পান করুন। মেলানিনের উৎপাদন বৃদ্ধি করার জন্য রোজ এই পানি পান করুন।

৪। লাল মাটি
লাল মাটিতে উচ্চমাত্রার কপার থাকে। আদার রসের সাথে লাল মাটি মিশিয়ে আক্রান্ত স্থানে লাগান। ভালো ফলাফল পাওয়ার আগ পর্যন্ত প্রতিদিনই এটি ব্যাবহার করুন।

৫। নিম
ত্বকের সমস্যা দূর করতে চমৎকার কাজ করে নিম। রক্তকে বিশুদ্ধ করতে এবং রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে নিম।কয়েকটি নিম পাতা থেঁতলে নিয়ে ঘোলের সাথে মিশান। এই মিশ্রণটি ত্বকের সাদা হয়ে যাওয়া অংশে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। কয়েক সপ্তাহ যাবত প্রতিদিন এটি ব্যবহার করুন।

এগুলোর পাশাপাশি আপনার খাবারের প্রতি লক্ষ্য রাখুন। যাদের শ্বেতি রোগ আছে তাদের জাম জাতীয় ফল খাওয়া এড়িয়ে যেতে পরামর্শ দেয়া হয়। কারণ এই ধরণের ফলে হাইড্রোকুইনন থাকে যা প্রাকৃতিক রঞ্জকরোধী উপাদান হিসেবে কাজ করে। ভিটামিন বি ১২, ফলিক এসিড ও জিংক সমৃদ্ধ খাবার খান। রেড মিট ও সি ফুড খাওয়া এড়িয়ে যেতে হবে।

শ্বেতী রোগ যে কারোই হতে পারে। সাধারণত শরীরের যেসব অঙ্গ খোলা অবস্থায় থাকে সেসব অঙ্গে শ্বেতী দেখা যায়। এই রোগকে গ্রামাঞ্চলে ধবল রোগ বা শ্বেতকুষ্ঠ রোগও বলা হয়ে থাকে।

শ্বেতী রোগ নিয়ে আমাদের সমাজে অনেক বিরুপ ধারনা ও কুসংস্কার রয়েছে। বিজ্ঞানীরা এই রোগের নির্দিষ্ট কারণ এখনও জানতে পারেননি। বর্তমানে সারা বিশ্বে প্রায় ১০ কোটি মানুষ এ রোগে আক্রান্ত।

অনেকেই শ্বেতী রোগ এবং কুষ্ঠ রোগ একই মনে করেন। এটা কিন্তু সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। শ্বেতী বা ধবল রোগ মোটেও ছোঁয়াচে রোগ নয় এবং বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই চিকিৎসার সাহায্যে রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ্য হয়ে যায়।

শ্বেতী রোগের কারণ
এটি কোন বিপজ্জনক রোগ নয়। শ্বেতীরোগের নির্দিষ্ট কোন কারণ এখনও নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। তবে নিম্নলিখিত কারনে এ রোগ হতে পারেঃ

  • বংশগত কারণে কারো কারো ক্ষেত্রে এই রোগ হতে পারে। আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে কয়েক প্রজন্ম পরেও এ রোগ হতে দেখা যায়।
  • প্রসাধনী সামগ্রীতে ব্যবহৃত ক্যামিক্যাল বা সিন্থেটিক জাতীয় জিনিস থেকে এলার্জিক প্রতিক্রিয়ায় শ্বেতী হতে পারে।
  • চশমার ফ্রেম বেশি আঁটসাঁট হলে তা থেকে নাকের দু’পাশে বা কানের কাছে সাদা হতে পারে।
  • শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ঘাটতি থাকলে হতে পারে।
  • রোদে ত্বক পুড়ে যাওয়া অথবা মানসিক চাপ থেকে হতে পারে।
  • অনেক ক্ষেত্রে কপালে পড়ার সিন্থেটিক টিপ থেকেও শ্বেতীর শুরু হতে পারে।
  • দীর্ঘ দিন ধরে প্লাস্টিক বা রাবারের জুতা, ঘড়ি প্রভৃতি ব্যবহারের ফলেও শ্বেতী বা অন্যান্য চামড়ার সমস্যা হতে পারে।

লক্ষণ ও উপসর্গসমূহ
শ্বেতী বা ধবল রোগের লক্ষণ ও উপসর্গ দেখে সহজেই এই রোগের উপস্থিতি সম্পর্কে ধারনা পাওয়া যায়। যেমন- ত্বকের উপর সাদা দাগ পড়বে, অল্প বয়সে মাথার চুল, চোখের পাপড়ি, ভ্রু অথবা দাড়ি সাদা বা ধূসর হয়ে যাবে, মুখের ভিতরের কলাগুলো বর্ণহীন হবে অথবা চোখের ভিতরের অংশে রংয়ের পরিবর্তন হলে বা রংহীণ হলে ধরে নিতে হবে ঐ ব্যক্তি ধবল রোগে আক্রান্ত হতে পারেন।

প্রয়োজনীয় পরীক্ষা নিরীক্ষা
চিকিৎসক রোগের ইতিহাস এবং বংশের রোগের ইতিহাস জেনে সিদ্ধান্ত দিতে পারেন। সাধারণত কোনো ল্যাবরেটরি পরীক্ষা ছাড়াই শুধু রোগের লক্ষণ দেখে এই রোগ নির্ণয় করা হয়। আবার চিকিৎসক প্রয়োজন মনে করলে ত্বকের বায়োপসি, রক্তের পরীক্ষা কিংবা চোখের পরীক্ষা করাতে পারেন।

চিকিৎসা
শ্বেতী রোগের চিকিৎসা অনেক সময়সাপেক্ষ আবার পুরোপুরি নাও সারতে পারে। সাধারণভাবে ৫০ থেকে ৭৫ শতাংশ রোগীর চিকিৎসার মাধ্যমে এ রোগ সম্পূর্ণ ভাল হয়ে যায়। শ্বেতীর চিকিৎসায় সেরে উঠার জন্য রোগীকে দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষা করতে হয়। দেহের লোমশ অংশের চিকিৎসা অনেক ক্ষেত্রেই সফল হয় কিন্তু যেসব অংশে লোম থাকে না, যেমন আঙুল, ঠোঁট ইত্যাদির চিকিৎসায় দীর্ঘসময় লেগে যেতে পারে। আবার অনেক ক্ষেত্রে রোগী নিজে নিজেই সেরে যেতে পারে।

সঠিক চিকিৎসার ক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী মলম, ওষুধ গ্রহণ করতে হবে। সবার ক্ষেত্রে সব চিকিৎসা পদ্ধতি একরকম ফল দেয় না। চিকিৎসা পদ্ধতি বাছাই করার ক্ষেত্রে রোগীর বয়স, রোগের স্থান এবং ব্যাপ্তি দেখে নির্ধারণ করা হয়। শ্বেতী চিকিৎসার জন্য যে সব ওষুধ ব্যবহার করা হয় তা বাংলাদেশে পাওয়া যায়।

প্রয়োজনে রোগীর বয়স, রোগের সময়কাল, রোগের স্থান এবং ব্যাপ্তিভেদে চিকিৎসা পদ্ধতি বাছাই করা হয়। সেক্ষেত্রে এ রোগ হলে প্রাথমিক অবস্থায়  Recap ক্রিম, Vitiligo Natural, Vitiligo Natural Harbs সহ ডাক্তার নির্দেশনামতে আরো কিছু ঔষধ নিয়মিতভাবে সেবন করতে হয়। এ চিকিৎসায় ধীরে ধীরে শ্বেতী থেকে আরোগ্য লাভ করা সম্ভব এবং সারাদেশে প্রায় এক হাজারেরও বেশি রোগী আরোগ্য লাভ করেছেন।

শ্বেতী রোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রে নিজে সরাসরি গিয়ে ঔষধ গ্রহণ করতে পারলে তা হবে পারফেক্ট। তবে যদি কোনো কারণে তা সম্ভব না হয় তবে বাংলাদেশের যে কোনো জেলায় কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমেও দু’ থেকে তিন দিনের মধ্যেই ঔষধ গ্রহণ করতে পারবেন।

শ্বেতী রোগের ফলে যেসব সমস্যা হতে পারে
শ্বেতী রোগের ফলে শুধু স্কিনের স্বাভাবিক বর্ণ নষ্ট হয় কিন্তু এতে স্বাস্থ্যের অন্য কোন ক্ষতি হয়না। এই রোগে মৃত্যুঝুঁকিও নেই। তবে রোগী সাধারণভাবে রোদ বা আগুনের তাপ সহ্য করতে পারে না। এ রোগ হলে প্রথমে ছোট ছোট সাদা দাগ দেখা যায় এবং পরবর্তীতে দাগগুলো মিলে বৃহদাকার ধারণ করে। কখনো কখনো মায়ের গর্ভ থেকেও শিশু এ রোগ নিয়ে জন্মগ্রহণ করতে পারে। সমাজে এ রোগ নিয়ে অনেক ভুল ধারনা এবং কুসংস্কার প্রচলিত আছে। তাই অনেক ক্ষেত্রেই এ রোগে রোগীকে প্রচন্ড মানসিক সমস্যায় পড়তে হয়।

সবশেষে
শ্বেতী রোগে ত্বকের বিভিন্ন জায়গা সাদা হয়ে যায়। এটি কোন ছোঁয়াচে রোগ নয়। এই রোগে শরীরে তেমন কোনো সমস্যা না হলেও রোগীকে সামাজিক ক্ষেত্রে অনেক সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। যেমন- পরিচিত মানুষ বাদ দিয়ে, কোনো জায়গায় গেলে তাঁকে একটা হলেও এ বিষয়ে প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। এই প্রশ্নের ভয়ে অনেকে নিজেকে গুটিয়ে ফেলেন। আবার বিয়েশাদীর ক্ষেত্রেও নানা সমস্যা হয়। অনেকেই ধবল রোগীর সঙ্গে হাত মেলাতে চান না, কোলাকুলি করতে চান না বা বিয়ে দিতে চান না এই পরিবারে। আবার অনেকে ধবল বা শ্বেতী রোগকে কুষ্ঠ রোগ মনে করেন। যদিও এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারনা। এই রোগের বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে।

করণীয় :

কোষ্ঠকাঠিন্য দোষ থাকলে দূর করতে হবে। দুধ, ছানা, মাখন, স্নেহজাতীয়, ফলের রস ও অন্যান্য পুষ্টিকর খাদ্য বেশি বেশি খাবেন। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা ভালো।

যা বেশি বেশি খাবেন :

খুরমা খেজুর, সবুজ মটরশুটি, শালগম, পালং শাক, এপ্রিকট, মেথি, ডুমুর, সবুজ শাকশবজি, আম, পেয়াজ, পেস্তা, আলু, পিউর ঘি, মুলা, লাল মরিচ, শাকসবজি, আখরোট, গম

যা একদম খাবেন না :

জাম, অরেঞ্জ, ব্লু বেরিজ, অ্যালকোহল, মাখন, কাজুবাদাম, চকোলেট, সামুদ্রিক মাছ, রসুন, আঙ্গুর, পেয়ারা, লেবু, সামুদ্রিক তৈলজাত খাবার, পেপে, নাশপাতি, বরই, গরুর গোস্ত,  সোডা জাতীয় যে কোনো কোমল পানীয় (যেমন পেপসি, কোকাকোলা, সেভেন আপ ইত্যাদি) , টমেটো, তরমুজ। ধূমপান, এলকোহল সেবন, উগ্রমশলাযুক্ত খাবার বর্জনীয়।

লাইফস্টাইল সম্পর্কিত :

টাইট ফিটিং, যা ত্বকে দাগ দিতে, মত স্থিতিস্থাপক অবশ্যই এড়িয়ে চলতে হবে যা ত্বক রক্তসংবহন সমস্যার সৃষ্টি করে। প্রারম্ভিক, চুলকানি অবশ্যই এড়িয়ে চলতে হবে। কোন আঘাত নতুন প্যাচ বৃদ্ধি দিতে হবে। প্লাস্টিক ও রাবার পরিধান এড়িয়ে চলা উচিত। প্লাস্টিক অলঙ্কার, Bindi বা ত্বকে কোন স্টিকার এড়িয়ে চলা উচিত।

অনুগ্রহ করে লক্ষ্য করুন যে, এই খাদ্য নিষেধাজ্ঞা শুধুমাত্র আমাদের চিকিৎসার স্বার্থে । চিকিৎসা শেষ হলে আবার তা নিয়মিত খেতে পারবেন।

সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে বিশ্বস্ততার সাথে ঔষধ ডেলিভারী দেওয়া হয়।

ঔষধ পেতে যোগাযোগ করুন :

হাকীম ডা. মিজানুর রহমান

(বিএসএস, ডিইউএমএস)

হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর।

ইবনে সিনা হেলথ কেয়ার

একটি বিশ্বস্ত অনলাইন স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান।

চিকিৎসকের মুঠোফোন : 

01762240650

( ইমো, হোয়াটস অ্যাপ)

ই-মেইল : ibnsinahealthcare@gmail.com

সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসে ঔষধ পাঠানো হয়।

শ্বেতীরোগ একজিমাযৌনরোগ, পাইলস (ফিস্টুলা) ও ডায়াবেটিসের চিকিৎসক।

আরো পড়ুন : শ্বেতী রোগের কারণ, লক্ষ্মণ ও চিকিৎসা

আরো পড়ুন : মেহ-প্রমেহ ও প্রস্রাবে ক্ষয় রোগের প্রতিকার

আরো পড়ুন : অর্শ গেজ পাইলস বা ফিস্টুলা রোগের চিকিৎসা

আরো পড়ুন : ডায়াবেটিস প্রতিকারে শক্তিশালী ভেষজ ঔষধ

আরো পড়ুন : যৌন রোগের শতভাগ কার্যকরী ঔষধ

আরো পড়ুন :  নারী-পুরুষের যৌন দুর্বলতা এবং চিকিৎসা

আরো পড়ুন : দীর্ঘস্থায়ী সহবাস করার উপায়

আরও পড়ুন: বীর্যমনি ফল বা মিরছিদানার উপকারিতা