দোহারের পদ্মানদীর ড্রেজিং সংরক্ষণ বাঁধ পরিদর্শন করলেন সালমান ফজলুল রহমান

মাকসুমুল মুকিম, দোহার প্রতিনিধি :

ঢাকা জেলার দোহার উপজেলায় পদ্মা নদীর তীর রক্ষায় জরুরি বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা ঢাকা-১ আসনের সাংসদ সালমান ফজলুর রহমান।

বৈঠকে তিনি বলেন, দোহারে পদ্মা নদীর তীর ঘেসে তৈরি হবে মেরিন ড্রাইভ। শনিবার (২৯ মে) সকাল ১০ টায় উপজেলার মুকসুদপুর ইউনিয়নের পদ্মা সরকারি কলেজের সভাকক্ষে এ জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে পদ্মা নদীর দোহারের অংশে নদী শাসন ও তীর রক্ষা বাঁধ প্রকল্পের বিভিন্ন দিকনির্দেশনা ও পরিকল্পনার বিষয়ে আলোচনা হয়। এসময় পদ্মা নদী শাসন ও তীর রক্ষা বাঁধ প্রকল্পের কাজে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের আগামী ২০২২ সালের জুন মাসের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য নির্দেশনা দেন সালমান এফ রহমান।

জানা যায়, দোহার উপজেলার বিলাসপুর ইউনিয়নের পদ্মা নদীর তীরবর্তী মাঝির চর এলাকা হয়ে মুকসুদপুর ইউনিয়ন পর্যন্ত পদ্মা নদীর ড্রেজিং ও বামতীর সংরক্ষণ বাঁধ পরিদর্শনে আসেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা ঢাকা-১ (দোহার-নবাবগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য সালমান এফ রহমান। উপজেলার পদ্মা সরকারি কলেজে সকাল সাড়ে ৯টায় হেলিক্যাপ্টারযোগে উপস্থিত হন তিনি।

এসময়ে তাকে ঢাকা জেলা পুলিশ ও স্কাউট দল কুচকাওয়াজের মাধ্যমে সশস্ত্র সালাম প্রদর্শন করে। পরে সকাল ১০ টায় সরকারি পদ্মা কলেজের সভাকক্ষে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সচিব, প্রকৌশলী, পদ্মা বাঁধ রক্ষা প্রকল্পে দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা, দোহার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেন তনি। বৈঠকে পদ্মা রক্ষা বাঁধ প্রকল্পের ১ হাজার ৪’শ তিরাশি কোটি ২৬ লাখ টাকা ব্যয়ের কাজটি বাস্তবায়নের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।

বৈঠকে সালমান এফ রহমান বলেন, সর্ব প্রথমে পদ্মা নদীতে ক্যাপিটাল ড্রেজিং করে দোহারের নদীর তীরবর্তী সীমানার ২০ বর্গ কিলোমিটার নিচু জমির উন্নয়ন করতে হবে। তাহলে পদ্মা নদীর দোহারের তীরবর্তী অংশ রক্ষা করে ৬ থেকে ৭ হাজার কিলোমিটার জমি উদ্ধার করা সম্ভম হবে। এসকল জমি দোহার উপজেলার অর্থনৈতিক উন্নয়নের কাজে ব্যবহার করা যাবে। পরবর্তীতে এখানে গড়ে উঠবে পর্যটন নগরী। পদ্মা নদীর তীর ঘেসে তৈরি মেরিন ড্রাইভ।

এসময়ে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কেন্দ্রীয় শাখার প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল মতিন সরকার, নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আয়নুল হক, দোহার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আলমগীর হোসেন, দোহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ.এফ.এম ফিরোজ মাহমুদ, নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালাহউদ্দিন মঞ্জু, দোহার উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র, দোহার-নবাবগঞ্জ সার্কেল এএসপি জহিরুল ইসলাম, দোহার ও নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাবৃন্দ প্রমুখ।