পেয়ারা চাষীদের সমস্যা সমাধানে বিভাগীয় কমিশনারের আশ্বাস

স্বরূপকাঠি (পিরোজপুর) প্রতিনিধি :
স্বরূপকাঠিতে কুড়িয়ানার পেয়ারা বাগান পরিদর্শন কালে বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার মো. সাইফুল হাসান বাদল বলেছেন, পেয়ারা চাষীদের যত প্রকার সংকট আছে তা সমাধানকল্পে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রোববার বিকেলে বিভাগীয় কমিশনার আদমকাঠির ফ্লটিং পেয়ারা পার্কে কুড়িয়ানার পেয়ারা চাষীদের সমস্যার কথা শুনেন।

এসময় পেয়ারা চাষী শৈশব রায়,অতনু হালদার, মনোজ মন্ডল, সুশান্ত হালদারের সাথে কথা বলেন। এসময় চাষীরা জানান, কুড়িয়ানা কেবল পেয়ারাই নয় এখানে আমড়া, লেবু, বছর ভরে নানা প্রকারের সব্জির আবাদ হয় । কিন্তু বেচা কেনা করার জন্য তেমন কোন স্থায়ী ব্যবস্থা নেই। ঝড় বৃষ্টি রোদ উপেক্ষা করে খোলা আকাশের নিচে কেনা বেচা করতে হয়। কাঁচা মাল কেনা বেচার জন্য শেড নির্মান করা দরকার। সাভাবিক সময়ে প্রতিবছর ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে এখানে হাজার হাজার পর্যটক আসেন। তাদের আশ্রয় নেওয়া, বসার বা বিশ্রাম নেওয়ার কোন ব্যবস্থা নেই। অনেক বিদেশী নাগরীকরা আসেন।

প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দেওয়ার জন্য কোন ওয়াশ রুম বা সৌচাগারের ব্যবস্থা না থাকায় চরম বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয় নারী পুরুষ সকলকে। আটঘর কুড়িয়ানা ইউনিয়ন পরিষদের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান মিঠুন হালদার চাষীদের নানা সমস্যার বিষয়গুলো বর্ননা করে বলেন, আটঘর কুড়িয়ানার পেয়ারা ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন বিভিন্ন বিক্রি মোকামে নেওয়ার জন্য বড় ট্রাকগুলো আটঘর এলাকায় প্রবেশ করতে পারে না। কিন্তু ভিমরুলীতে অনেক আগে থেকে ট্রাক ঢুকতে পারায় ওই হাটে বেপারী বেশি আসেন। সেকারনে ভিমরুলি ভাসমান হাটটি গুরুত্ব বেড়েছে। ওই হাটে আটঘর কুড়িয়ানার দক্ষিনাঞ্চলের বেশ ক’টি এলাকার পেয়ারা ভিমরুলি ভাসমান হাটে বিক্রি হয়।

আদমকাঠি থেকে রাজাপুর হয়ে ভিমরুলি যাওয়ার সহজ খালটি অত্যান্ত গুরুত্বপুর্ন। খালটি ভরাট হয়ে যাওয়ায় ভাটার সময় ছোট ছোট নৌকাও চলাচল করতে পারেনা। এ খালটি খনন করা জরুরী।

এ ছাড়াও পেয়ারা চাষীদের নানা সমস্য রয়েছে। দ্রæত পচনশীল এ ফল সংরক্ষনের কোন ব্যবস্থা না থাকায় প্রতিবছর লাখ লাখ টাকার ফসল পঁচে যায়। ফলে চাষী ও বেপারীরা লোকশানের মুখে পড়েন। এসব বিষয়গুলো পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেন কমিশনারকে বুঝিয়ে বলেন। কথা শুনে বিভাগীয় কমিশনার আদমকাঠি এলাকায় একটি উন্নতমানের ওয়াশরুম করে দেওয়ার আশ^াস দেন। খালটি খননের লক্ষে পানি উন্নয় বোর্ডের সাথে আলোচনা করে দ্রæত ব্যবস্থা নিবেন। এ ছাড়া অন্যান্য সমস্যা গুলো সমাধারে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ^াস দেন। এর আগে ভিাগীয় কমিশনার কুড়িয়ানায় পৌছিলে আটঘর কুড়িয়ানা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিঠুন হালদার তাকে ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানান।

তিনি কুড়িয়ানার ুমুজিব বর্ষের ঘর পাওয়া মানুষের ঘরে ঘরে গিয়ে তাদের সাথে কথা বলে সমস্যা ও অনুভূতি সমুহ শুনেন।

আশ্রয় পাওয়া মানুষের সামান্য টুকিটাকি সমস্যা সমাধানের জন্য তাৎক্ষনিকভাবে জেলা প্রশাসক ও ইউএনওকে নির্দেশ প্রদান করেন।

এসময় তার সাথে ছিলেন পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক আবু আলী মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, ডিডিএলজি পিরোজপুর চৌধুরী রওশন ইসলাম, উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হক, ইউএনও মো. মোশারেফ হোসেন, পৌরসভার মেয়র মো. গোলাম কবির, সহকারী কমিশনার (ভূমি)মো. বশির গাজী, ওসি আবীর মোহাম্মদ হোসেন প্রমুখ। পরে তিনি ঝালকাঠি হয়ে বরিশাল ফিরেন।