স্বরূপকাঠিতে শাশুড়ি-ননদের মারধরে তরুণী হাসপাতালে ভর্তি

স্বরূপকাঠি (পিরোজপুর) প্রতিনিধি :
স্বরূপকাঠিতে স্বামীর দাবী নিয়ে শশুর বাড়ি গিয়ে শাশুরী ও ননদের হাতে শারীরিক নির্যাতনে আহত মিতু আক্তার (২০) নামের এক তরুণী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।

গত বুধবার চিনাবুনিয়া গ্রামে প্রবাসী মজিবর মিয়ার ঘরে কথিত শাশুরী রিনাকা বেগম ও ননদ অনন্যা ওই কলেজ ছাত্রী তরুনীকে বেদম মারপিট করেন। পরে স্থানীয়রা মিতুকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন। শশুর শাশুরীর অমতে বিয়ে করার কারনে মিতুকে মারধর করেন বলে অভিযোগ করেন মিতু আক্তার। এ সময় মজিবর মিয়ার পুত্র ও মিতুর স্বামী লিমন মিয়া দুরে দাড়িয়ে থেকে মারধরে ইন্ধন জোগায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

একই গ্রামের জাহাঙ্গীরের মেয়ে মিতু পিত্রী মাতৃহীন হওয়ায় নানা বাড়ি মঠবাড়িয়ায় থেকে কলেজে পড়া লেখা করছে। মিতু অভিযোগ করেন সাত মাস আগে লিমন মিয়া তার নানা বাড়ি মঠবাড়িয়ায় গিয়ে তাকে বিয়ে করেন।

এ খবর জানার পরে লিমনের মা রিনাকা বেগম ছেলেকে নতুন করে বিয়ে করায়। স্বামী বিয়ের খবর জানতে পেয়ে মিতু বুধবার শশুর বাড়িতে আসেন। ওই সময় লিমনের মা ও বোন মিলে মিতুকে বাড়িথেকে তাড়িয়ে দিতে বেদম মারপিট করলে সে অজ্ঞান হয়ে পড়ে।

এ বিষয়ে জানার জন্য মিতুর স্বামী লিমনের ০১৭০৩৬৯৭৭০৭ নস্বরে বার বার ফোন দিলেও সে ফোন রিসিভ করেনি। এ বিষয় জানতে চাইলে দৈহারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. জাহারুল ইসলাম বলেন, মারধরের শিকার মেয়েটি তার কাছে গিয়েছিল। সে সময় মেয়েটি বিবাহের কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। রাতে মেয়েটিকে মারধরের খবর পেয়েই ওই ওয়ার্ডের মেম্বর ও চৌকিদারকে হাসপাতালে নিযে চিকিৎসা দেয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান চেয়ারম্যান।