বিত্ত নয় চিত্ত দিয়ে মানবসেবা করা একজন এ.বি. এম. মাজহারুল আনাম

কবির হোসেন মিজি :

কথায় আছে বিপদে নাকি বন্ধুর পরিচয় মিলে। আমার মনে হয় চিরন্তন এই সত্য কথাটির সাথে পৃথিবীর কোন মানুষই দ্বিমত পোষন করবে না। কারন জীবন চলার পথে মানুষ হয়ে প্রকৃত মানুষ চেনা বড় কঠিন বিষয়।

আমাদের সমাজে বহু রূপী অনেক মানুষ রয়েছে। যদের দেহের উপরের সৌন্দর্য দেখে ভেতরগত সৌন্দর্য যাচাই করা যায়না। মানুষের কর্মকান্ড এবং আচার আচরনের মাধ্যমেই প্রকৃত মানুষের পরিচয় উন্মোচিত হয় এবং মানুষ চেনা যায়।

gif maker

আপনার আমার বাস্তব জীবনে অঢেল টাকা পয়সা আর অর্থ সম্পদ থাকলে কি লাভ বলুন। যদি আমাদের ভেতর প্রকৃত মনুষ্যত্ববোধ না থাকে, মানুষের প্রতি মানুষের ভালোবাসাটুকুই না থাকে।

আপনার/ আমার, কোন এক কাছের মানুষ কিংবা পাড়া প্রতিবেশি বিপদে পড়েছে, কিন্তু দেখা গেলো আপনার সামর্থ থাকা সত্বেও আপনি আপনার বন্ধু কিংবা পাড়া প্রতিবেশিকে সেই বিপদ থেকে উদ্ধার করতে এগিয়ে আসেননি। কিংবা তাদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতেও নারাজ। তাইতো আবারো বলছি সত্যিই বিপদে বন্ধুর পরিচয়।

পাঠক আমার উপরে উল্লেখ্যিত কথা গুলো বলার পেছনেও একটা উদ্দেশ্য রয়েছে। কারন আমি বলেছিলাম করোনা ভাইরাস মহামাহারীতে মানবসেবায় একজন নিবেদিত প্রাণের ব্যক্তির কথা।

আর তিনি হলেন, ঢাকা উত্তর মহানগর দারুসসালাম থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ বি এম মাজহারুল আনাম। যিনি দেশের এই সংকটময় মুর্হুতে নিরবে নিভূতে সত্যিকারের একজন মানুষ হয়ে মানবসেবা করে চলেছেন।

করোনা মহামারীতে কর্মহীন ও অসহায় হয়ে পড়ে মানুষ মরুক তাতে এই শ্রদ্ধাশীল ব্যাক্তিটির কি,বা আসে যায়। তিনি তো ভালোই আছেন।

gif maker

আল্লাহপাক উনাকে ভালোই রেখেছেন। তাতে মানুষ না খেয়ে মরলে কিংবা খাদ্য সংকটে থাকলে উনার কি। এমন চিন্তা তিনি করেননি।

একজন প্রকৃত মানুষ হয়ে, মানুষের প্রতি মানুষের ভালোবাসাকে বুকে লালন করেই তিনি তার সামর্থ্য অনুযায়ী দীর্ঘদিন যাবৎ নিরবেই মানবসেবা করে চলেছেন। এখানেই আমরা একজন সত্যিকারের বন্ধু বা একজন সত্যিকারের সাদা মনের মানুষের পরিচয় পেয়েছি।

আমি যতটুকু জেনেছি করোনা ভাইরাস সংক্রমন প্রতিরোধে দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে মানুষকে ঘরে রাখতে এবং ভালো রাখতে একজন জনপ্রতিনিধি ও একজন রাজনৈনিতক নেতা হিসেবে তিনি তার নিজ এলাকায় একদিকে যেমন মানুষের মাঝে সচেতনতামূলক প্রচার প্রচারনা চালিয়েছেন। অন্যদিকে নিজ এলাকায় জীবানু ধংসকারী কীটনাশক জাতীয় ঔষধ স্প্রে করেছেন।

এর পাশাপাশি করোনা মহামারীতে কর্মহীন হয়ে পড়া গরীব অসহায় ও বিভিন্ন পেশার শ্রমজীবী মানুষদের দ্বার প্রান্তে গিয়ে বিভিন্ন দিনের বিভিন্ন সময়ে খাদ্য সামগ্রী পৌছে দিয়েছেন। আর এসব অসহায় মানুষদের মাঝে আজো সেই খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অব্যাহত রেখেছেন।

পাঠক আমি বলছিনা অগ্রজ এই ব্যক্তিটির আহা মরি ধন ধৌলত রয়েছে। বিশাল বিশাল অট্টালিকা কিংবা জমিদারি এবং অঢেল টাকা, পয়সা ও সম্পদ রয়েছে। তার যতটুকু সামর্থ্যই থাকুক না কেনো।

 

মানুষের মনটা হচ্ছে সবচেয়ে বড় বিষয়। আমার জায়গা থেকে আমি বলবো প্রচুর অর্থ সম্পদ আর টাকা পয়সার মধ্যে সুখ নেই।

মনের সুখই হচ্ছে প্রকৃত সুখ। আর তিনি সেই মনের সুখটুকুর জন্য এবং নিজের আত্মতৃপ্তির জন্যই তার সামর্থ্য অনুযায়ী নিরবেই এমন মানবসেবা করে চলেছেন। আমরা যদি যাচাই করে দেখি।

তাহলে পরিশেষে দেখবো সমাজে অনেক বিত্তবান লোক রয়েছে কিন্তু তাদের চিত্ত নেই। কাউকে দান বা সহযোগিতা করতে হলে সামর্থ্যের পাশাপাশি বিশাল চিত্তের প্রয়োজন হয়। যেমন বিশাল চিত্ত ও মনের পরিচয় দিয়েছেন এবি এম মাজহারুল আনাম। তিনি তার সামর্থ্য মতো নিজের ব্যাক্তিগত অর্থ ব্যয় করে যেমন মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন।

তেমনি তার পাশাপাশি চেষ্টা করছেন অন্যদের কাছ থেকেও সহায়তা নিয়ে এ দুর্সময়ে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে। তাইতো তাকে আরো বেশি উৎসাহ ও সহযোগিতা করতে মানুষকে খাদ্য সহায়তা দিতে তার সাথে যুক্ত হয়েছেন ঢাকার নাজ মিউজিক সেন্টারের এম ডি অ্যাড. নাজমা আক্তার সহ আরো ক,জন ব্যক্তি।

এবি এম মাজহারুল আনাম জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের নীতি ও আর্দশকে বুকে লালন করে তিনি বহুবছর পূর্বে রাজনৈতিকের সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত করেছেন। তার পর থেকেই ধাপে ধাপে বিভিন্ন সামাজিক মূলক কর্মকান্ডের মধ্য দিয়ে রাজনৈতিকে শুরু হয় তার পথচলা।

 

তিনি দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও আওয়ামীলীগের বিভিন্ন অংগ ও সহযোগী সংগঠনে বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।

বর্তমানে তিনি ঢাকা উত্তর মহানগর দারুসসালাম থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

একজন জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক ব্যক্তির মাঝে যে ন্যায় পরায়ন এবং নীতি আর্দশ ও দায়িত্ববোধ থাকা দরকার এবি এম মাজহারুল আনামের মাঝে তার সবটুকু গুনই খুঁজে পেয়ে ঢাকা উত্তর মহানগর থানা বাসি।

দেশের এই সংকটময় মুহুর্তে অসহায় দুঃস্থদের মাঝে খাদ্য সহায়তা দিয়ে পাশে দাঁড়ানো ব্যক্তিটিকে আমরা সহযোগিতা করতে না পারি কিন্তু অন্তত তাকে শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা দিয়ে তো আরো বেশি উৎসাহ প্রদান করতে পারি।

এমন একজন সমাজসেবক দেশের বর্তমান সংকটময় মুহুর্তে মানবতার সেবায় নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে সত্যি বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।

 

আমরা তার সুস্বাস্থ্য এবং দীর্ঘায়ু কামনা করছি। আগামীতে যেনো এমনি ভাবে তিনি মানবতার সেবায় নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারেন।

ধনী গরীব ভেদাভেদ ভুলে যেনো বিপদে মানুষকে সহানুভূতি ও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে সত্যিকারের মানুষ এবং সত্যিকারের বন্ধু হয়েই বেঁচে থাকেন।

বেঁচে থাকুক মানবতা, বেঁচে থাকুক মানুষের প্রতি মানুষের ভালোবাসা। আল্লাহ তার মঙ্গল করুক।