শনিবার থেকে বন্ধ থাকবে শেরপুরের সব মার্কেট

মো. জাকারিয়া খান জাহিদ, শেরপুর প্রতিনিধি :

আগামী শনিবার থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ঔষধ ও নিত্যপ্রয়োজনের দোকান ব্যতিত শেরপুরের সকল মার্কেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

(১৯ মে) বিকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষ রজনীগন্ধ্যায় করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে জেলা কমিটির এক বিশেষ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুবের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সাংসদ ও জাতীয় সংসদের হুইপ আতিউর রহমান আতিক।

বিশেষ সভায় জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে দীর্ঘ সময় মত বিনিময় করেন শেরপুরের বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা।

এসময় তারা ব্যবসার লোকসানের কথা উপস্থাপন করে আগামী শুক্রবার পর্যন্ত দোকান খোলা রাখার দাবী জানান। সরকারের সকল শর্ত মেনে দোকান পরিচালনায় ব্যর্থ হলে আইনের আওতায় আনার সুপারিশও করেন তারা।

এসময় স্থানীয় সাংসদ ও জাতীয় সংসদের হুইপ আতিউর রহমান আতিক জীবিকার চেয়ে জীবনের গুরুত্বের কথা তুলে ধরে ব্যবসায়ীদের আবারো শর্ত মেনে ব্যবসা পরিচালনা করার তাগিদ দেন।

এদিকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে দোকান খোলার ঘোষণার পর থেকেই ক্রেতার ভীড় শুরু হয় শেরপুরের বিপণীবিতান গুলোতে। সরকারের শর্ত মেনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার তেমন কোন দৃশ্যমান উদ্যোগ নেয়নি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো। যার কারণে স্বাস্থ্য ঝুঁকির কথা বিবেচনা করে দুদিন পর আবারো সব দোকান বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয় শেরপুরের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ প্রতিষ্ঠান চেম্বার অব কমার্স। কিন্তু তার একদিন পরই আবার চালু করে দেয়া হয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। ভীড় বাড়তে থাকে শহরে। সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্য বিধি না মানায় চরম সংকট মুহূর্তে শেরপুরের ব্যবসায়ীদের নিয়ে বিশেষ সভা ডাকে জেলা প্রশাসন।

জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব বলেন, প্রতিটি মার্কেট ও দোকানে নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবী রাখতে হবে। স্বেচ্ছাসেবীরাই মার্কেট ও দোকানে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করবেন। ক্রেতা ও বিক্রেতা সবাইকেই বাধ্যতামূলক মাস্ক পড়তে হবে। মাস্ক না পড়লে জরিমানা ও বিকেল চারটার পর দোকান খোলা রাখলে জেল দেয়া হবে। ঈদ বাজারে কোন শিশু যাতে না আসতে পারে বা কোন অভিভাবক যাতে শিশু নিয়ে মার্কেটে প্রবেশ করতে না পারেন তা নিশ্চিত করতে হবে। এসব শর্তসহ সরকারের সব শর্ত মেনে ব্যবসা পরিচালনা করতে হবে। কেউ যদি শর্ত মানতে না পারেন তাহলে আইনের আওতায় আনা হবে।

সভায় পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম পিপিএম, স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক (উপসচিব) এটিএম জিয়াউল ইসলাম, সিভিল সার্জন ডা. একেএম আনোয়ারুর রউফ, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, শেরপুর পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন, শেরপুর চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি আসাদুজ্জামান রওশন, শেরপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি শরিফুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মানিক দত্তসহ শেরপুরের বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।