লিমনের সখের পাঁখি ও কবুতরের ব্যবসায় হানা দিলো করোনা

জহিরুল ইসলাম জয় :
চলতি বছরের শুরুতে সখ করে বিভিন্ন প্রজাতির পাঁখি ও কবুতরের ব্যবসায় জড়িত হন ফরিদগঞ্জের গল্লাক ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি নূরে আলম লিমন। স্থানীয় গল্লাক বাজারে জুবায়ের পোল্ট্রি এন্ড পাঁখি হাউজ নামে প্রচার প্রচারণার অনেকটা সাড়া পেয়েছেন। যার সুবাদে তিনি বিভিন্ন প্রজাতির পাঁখি, কবুতর, পাঁখির খাচা, খাদ্য, পাত্র ও একোরিয়াম এবং একোরিয়ামের মাছ দোকানে সুন্দর ভাবে তুলে সাজিয়েছেন।

আর এসব সখের পাঁখি কবতুর ক্রয় করতে দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসতেন পাঁখি প্রেমীরা।

কিন্তু হঠাৎকরে গত কয়েক মাসে দেশে চলমান করোনার প্রাদুর্ভাবে যেন সখের ব্যবসার গতি থামিয়ে দিল।

সরেজমিনে গল্লাক বাজারের জুবায়ের পোল্ট্রি এন্ড পাঁখি হাউজে গিয়ে দেখা যায় চির চেনা কিচিরমিচির পাখিদের শব্দ।

দেখা যায় তার এখানে রয়েছে কবুতর জাতের মধ্যে সিরাজ, গ্রীরিভাজ, ছিলা, কিং, ময়ূর এবং পাঁখির জাতের মধ্যে রয়েছে বাজিগর, মুনিয়া, কোয়েল, টিয়া, গুগু, ময়নাসহ ১০/১২ জাতের পাঁখি। আর এখানে এক এক জোড়া কবুতর বিক্রি হচ্ছে সর্বচ্চো ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা করে যা সর্বনিম্ন ৭/৮ শ টাকা পর্যন্ত রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন প্রজাতির পাঁখির জোড়া বিক্রি হচ্ছে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা। এতো টাকা ধরে সখের বসত এসব পাখি প্রেমিরা বাসা বাড়ীতে পালনের জন্য ক্রয় করে।

তরুণ এ উদ্যাক্তা নূরে আলম লিমন জানান, গত প্রায় ৬ মাস পূর্বে সখের এ ব্যবসায় নেমেছেন। প্রচার প্রচারনায় দূর দূরান্ত তথায়, ফরিদগঞ্জ, হাজীগঞ্জ ও রামগঞ্জ উপজেলা থেকে মানুষ এখান থেকে পাঁখি ও কবতুর ক্রয় করেছে। বর্তমানে চলমান লকডাউনে সখের ব্যবসা হাসিমূখে করতে পারছিনা। আমি প্রথমে বিভিন্ন খামারীদের কাছ থেকে কবতুর ক্রয় করেছি এবং পাখিগুলো ঢাকা থেকে সরাসরি এখানে এনে সাজানো হয়। এসব পাঁখি কিচিরমিচির কলোরবেই এখন দিন পার করছি।