ঈদকে সামনে রেখে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সুবিধাবাদী হয়ে যায়

মঙ্গলবার
২৮ জুলাই ২০২০ খ্রিস্টাব্দ
১৩ শ্রাবণ ১৪২৭ বঙ্গাব্দ
০৬ জ্বিলহজ্ব ১৪৪১ হিজরি

সম্পাদকীয় …

‘দোহারে ঈদকে সামনে রেখে স্বাস্থ্যসম্মত পশু নিশ্চিত করতে প্রশাসনের অভিযান’

প্রায় বছরই ঈদকে সামনে রেখে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সুবিধাবাদী হয়ে যায়। টাকা কামাইয়ের লোভ তারা আর সামলাতে পারে না, অবৈধ পথ বেছে নেয়। এসব দুষ্ট ব্যবসায়ীদের হাতে জিম্মি হয়ে যায় সাধারণ জনগণ। সাধারণ মানুষের জীবন তখন হয়ে পড়ে দুর্বিষহ। কিন্তু ঈদের আনন্দে মেতে থাকার কারণে সাধারণ মানুষরা যে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সেদিকে তারা মোটেও ভ্রুক্ষেপ করার ফুসরত পায় না।

আমরা মনে করি, সেসব দুষ্ট ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। গত ২২ জুলাই প্রিয় সময়ে প্রকাশিত ‘দোহারে ঈদকে সামনে রেখে স্বাস্থ্যসম্মত পশু নিশ্চিত করতে প্রশাসনের অভিযান’ শিরোনাম সংবাদের মাধ্যমে নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয় একটি উদ্যোগের বিষয়ে জানা গেছে। ব্যবসায়ীরা গরু মোটাতাজাকরণ করতে গিয়ে মানুষের সুস্থ থাকার কথা একেবারে ভুলেই যায়। অপরদিকে মানুষজন সেসব চিন্তা না করে গরু মোটাতাজা দেখলেই সেই গরুর দিকে দৃষ্টি দেয় ও দাম হাঁকা শুরু করে। যেন তাদের সেই মোটা গরু কিনতেই হবে। অনেকটা প্রতিযোগিতায় নেমে যায় ক্রেতারা।

প্রকাশিত সংবাদের মাধ্যমে আমরা জেনেছি, ভ্রাম্যমান আদালত ঈদকে সামানে রেখে নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত পশু জবাই নিশ্চিত করতে গবাদিপশু চিকিৎসা ও ঔষধের দোকানগুলোতে খোঁজ-খবর নিচ্ছেন। অনেক সময় দোকানগুলোতে ক্ষতিকর ও ভেজাল ও মেয়াদোত্তীর্ণ পশুখাদ্য উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিপণন থাকতেও পারে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। তিনি তিন জন ব্যবসায়ীকে ভেজাল ঔষধ, মেয়াদহীন ভ্যাক্সিন রাখার দায়ে আর্থিক জরিমানাও করেছেন।

তাছাড়া প্রকাশিত সংবাদের মাধ্যমে জানা গেছে যে, সেদিন তিনি স্বাস্থ্য বিধি অমান্য করে মাস্কবিহীন বাজার এলাকায় ঘোরাঘুরি করার সময় পনের জনকেও জরিমানা করেছেন। এটিও যথোপযুক্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলেও আমরা মনে করি। সরকারি নির্দেশ আমাদের সকলেরই মান্য করা উচিত। অমান্যে শাস্তি প্রয়োগ আইনের প্রতি শ্রদ্ধানিবেদন বলে আমরা জানি। সুতরাং এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আমরা আশা করছি।

যে ব্যবসায়ীরা ঈদকে সামনে রেখে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যের দাম বাড়িয়েছে তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। সে অসাধু ব্যবসায়ীরা হু হু করে বিভিন্ন জিনিস যেমন-আলু, পেঁয়াজ, কাচা মরিবসহ অন্যান্য দ্রব্যের দাম বাড়িয়ে দেয়। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির লাগাম টেনে না ধরলে এই করোনাকালে দরিদ্র মানুষের সীমাহীন কষ্টের অন্ত থাকবে না। আমরা আশা করবো, প্রশাসন এ দিকে বিশেষ নজর প্রদান করবেন।