চাঁদপুরে কোভিট-১৯ সংক্রমণ প্রতিরোধে আইসিডিডিআরবি‘র ৫ দিনব্যাপী কর্মশালা

স্টাফ রির্পোটার :
কোভিট -১৯ সংক্রামন প্রতিরোধে বাংলাদেশ আইসি ডিডি আরবি,র আয়োজনে ৫ দিনব্যাপী প্রশিক্ষন কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল ২৬ সেপ্টেম্বর শনিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় চাঁদপুর সিভিল সার্জন কার্যালয়ের হলরুমে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এই কর্মশালা চলবে ২৬ সেপ্টেম্বর  থেকে ১ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে।
কর্মশালার প্রথম দিন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ সাখাওয়াত উল্ল্যাহ। উপস্থিত ছিলেন, চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আর এমও) জেলা করোনা ফোকাল পার্সন  চিকিৎসক ডাঃ সুজাউদৌলা রুবেল।
কর্মশালায় প্রশিক্ষক হিসেবে কোভিট ১৯ এর ওপর বিভিন্ন দিক নির্দেশনা মূলক প্রশিক্ষন প্রদান করেন, আইসিডিডিআরবি,র ডাঃ লুভাবা শাহিন, ডাঃ মনিরা শারমিন, ডাঃ আইরিন পারভিন, ডাঃ মাহমুদা আক্তার, ডাঃ সায়েম।
এছাড়াও কর্মশালায় অংশ নেন চাঁদপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা  কর্মকর্তা ডাঃ সাজেদা পলিন, সরকারি হাসপাতালের কর্মরত চিকিৎসক ডাঃ নোমান হোসেন, পীযুষ সাহা, ডাঃ শরমিস্টা দে, ডাঃ নুরে আলম।
আইসিডিডিআরবি,র ডাঃ লুভাবা শাহিন কর্মশালায় অংশ নেয়া চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে বলেন, বাংলাদেশ আইসিডিডিআরবি,র প্রথম লক্ষ্য ছিলো কোভিট ১৯ সংক্রমন থেকে হাসপাতালের স্টাফদের রক্ষা করা এবং তার জন্য একটি ইউনিটও খোলা হয়েছিলো। পরবর্তীতে ডাইরিয়ায় আক্রান্তদের মধ্যে যারা কোভিট ১৯ এ আক্রান্ত হয়েছে তাদেরকে এই সংক্রমন থেকে রক্ষা করতে আরো ৪ টি করোনা ইউনিট খোলা হয়।
তিনি বলেন, আমরা দেখেছি করোনায়  কম বয়সীরা যতটা না আক্রান্ত হয়েছে তার চেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে বৃদ্ধরা। চিকিৎসার ক্ষেত্রে দেখা গেছে যাদের বয়স কম তারা আক্রান্ত হলে প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা দিয়ে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠালে তারা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠে। কিন্তু যাদের বয়স বেশি তারা আক্রান্ত হলে প্রাথমিক চিকিৎসেবায় তারা কম সুস্থ হয়ে থাকে এবং তাদের মৃত্যু ঝুঁকি থাকে বেশি। তিনি আরো বলেন, একটি কক্ষে যদি কোন সভা হয়,  আর সেখানে যদি কোন একজন করোনায় আক্রান্ত রোগী থাকে,  সে সভাটি যদি অন্তত আধাঘন্টা চলে, আর সেখানে যদি সকলে মাস্ক পড়াও থাকে তাহলেও সবাই করোনায় আক্রান্তের সম্ভবনা থাকে। তাই আমাদের সকলকে সর্তক এবং সচেতনতার সাথে চলতে হবে।
উল্লেখ্য, কর্মশালার প্রথম দিন এবং ২য় দিন চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতাল ও চাঁদপুর সদর উপজেলার চিকিৎসকদের নিয়ে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।  একই ভাবে কর্মশালার ৩য় ও ৪র্থ দিন হাসপাতাল এবং সদর উপজেলার নার্সদের নিয়ে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হবে। কর্মশালার ৫ দিন পরিছন্ন কর্মী এবং আয়াদের প্রশিক্ষনের মধ্য দিয়ে ৫ দিনব্যাপী কর্মশালার সমাপ্তি করা হবে।