কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কোটিপতি কর্মচারী আবুল খায়েরের দুর্নীতির যতো কথা

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরও অসহায় তার কাছে!

ধারাবাহিক প্রতিবেদন।। পর্ব-০১

বিশেষ প্রতিবেদক:

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কোটিপতি ড্রাইভারের পর এবার আরেক কোটিপতি কর্মচারীর গল্প তুলে ধরতে চাই আপনারে সামনে। তবে আজকের গল্প কিন্তু রাজধানীর নয়, মফস্বলের এক হাসপাতালের। মফস্বলে থেকেও কি করে কোটি টাকার পাহাড় গড়া যায়, তারই এক জ্বলন্ত উদাহরণ আজকের গল্পের এই খলনায়ক।

তিনি আর কেউ নন, কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের টেলিফোন অপারেটর আবুল খায়ের।

কর্মচারী হলেও বিলাসী জীবন তার। রয়েছে বাড়ি-গাড়িসহ অঢেল সম্পদ। হাসপাতাল অভ্যন্তরে স্ত্রীর নামে রোগীদের খাবার সরবরাহের ঠিকাদারী, দালাল সিন্ডিকেট তৈরী, ভুয়া জখমী সনদ বিক্রি, ক্লিনিকে রোগী পাঠিয়ে কমিশন আদায়, কর্মচারী ও নার্সদের বদলী ও অন্যান্য সুবিধা দেয়ার নামে টাকা হাতিয়ে নেয়াসহ সীমাহীন অনিয়ম ও দুনীতি! যার মাধমে কোটি কোটি অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন তিনি।

এরই মধ্যে তার বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য বিভাগের একাধিক তদন্তে অনিয় ও দুর্নীতির প্রমাণ মিলেছে। আর তাই স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে একাধিকবার তাকে অন্যত্র বদলীসহ তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করাহয়।

কিন্তু তাতে কী? এতো কিছুর পরও তার ভীত এতোটাই শক্ত যে, কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে তাকে দূরে সরায় এমন সাধ্য কার!

রহস্যময় এক খুটির জুড়ে দীর্ঘ দিনেও বাস্তবায়ন হয়নি তার বদলি। বছরের পর বছর ফাইলে আটকে আছে বদলির আশেগুলো! খায়ের বহাল তবিয়তে আছেন এখানেই! হাসপাতালের পাশের গ্রামেই তার পৈত্রিক বাড়ি হওয়ায়, তার দাপটের কারণে সাধারণ কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ডাক্তারা মুখ খোলার সাহস পাচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।

দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যানসহ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর এসব তথ্য বারবার উপস্থাপন করার পরও সে বাহাল তবিয়তে! শুধু তাই নয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে তার নামে কেউ টু শব্দটি করলেও তাৎক্ষণিক ভাবে চলে আসে তার কানে। কে তার নামে কি অভিযোগ করলো তা’ও সে জেনে যায় কুমিল্লায় বসেই। আর জানা মাত্রই যেখানে যা করা করার সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেন। অপ্রিয় হলেও সত্য যে খোদ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরও যেন তার কাছে অসহায়।

এমনও জানা যায়, কিছু নামাধারী সাংবাদিককেও সে মসোহারা দিয়ে লালন করেন। খায়েরকে নিয়ে কেউ মুখ খুললে উল্টো ওই ব্যক্তির মানসম্মান ক্ষুন্ন করে, আজেবাজে গল্প রচনা করে, তা অখ্যাত সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করান। খায়ের সম্পর্কে এমনসব চমকপ্রদ কাহিনী তথ্য প্রমাণসহ তুলে ধরবো আমাদের ধারাবাহিক পর্বগুলোতে। আমারে সাথেই থাকুন, চোখ রাখুন পরের পর্বগুলোতে।

আমরা সংবাদের বস্তুনিষ্ঠতায় বিশ্বাসী, প্রিয় সময় গুজব প্রচার করে না

২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ খ্রি. ১৩ আশ্বিন ১৪২৭ বঙ্গাব্দ, ১০ সফর ১৪৪২ হিজরি, সোমবার