চার ঘণ্টা থানায় কী করলেন পরীমনি!

হুট করেই সাভার মডেল থানায় উপস্থিত হন চিত্রনায়িকা পরীমনি। ২৭ জুন দুপুর থেকে টানা ৪ ঘণ্টা থানার ভেতরে ছিলেন তিনি। পরীমনি ব্যক্তিগত গাড়িতে সাভার মডেল থানায় প্রবেশ করার পর থানার প্রধান ফটক বন্ধ করে দেয় পুলিশ। এ সময় গণমাধ্যম কর্মীদের প্রবেশ রোধ করা হয়। দীর্ঘ প্রায় চার ঘণ্টা পর সন্ধ্যা ৭টায় থানা থেকে বের হয়ে অপেক্ষমাণ গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে কথা না বলে চলে যেতে চান পরীমনি। পরে অবশ্য সবার তোপের মুখে তিনি কথা বলতে রাজি হন।

থানায় আসা প্রসঙ্গে পরীমনি বলেন, আমি আসলে মামলার অগ্রগতির জানতে এসেছি। আমার আগেই আসার কথা ছিল। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার জন্য আসতে পারিনি এতোদিন। যেহেতু লকডাউন হয়ে যাবে, তাই চিন্তা করে আজকেই এলাম। তিনি বলেন, আমি খুবই আশাবাদী। সবাই আমাকে এতো বেশি সাপোর্ট দিচ্ছেন, এতে আমি খুবই আপ্লূত।

৪ ঘণ্টা থানায় কী জিজ্ঞাসাবাদ করা হলো, এমন প্রশ্নের উত্তরে নায়িকা বলেন, ওখানে যা যা হয়েছিল সেগুলা আমাকে বলতে হয়েছে। তারাতো ওসব শোনেনি। তাদের ঘটনা শোনা উচিত। এজন্যই দেরি হয়েছে।

            এদিকে, সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী মাইনুল ইসলাম বলেন, পরীমনি নিজে থেকেই থানায় এসেছেন। আমাদের থানায় নাসির-অমির বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টা মামলার ডেভেলপমেন্ট নিয়ে তার সঙ্গে কথা হয়েছে। তবে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলবেন কী না সেটা তার ব্যক্তিগত বিষয়।

            মামলার প্রেক্ষিতে ঢাকা বোট ক্লাবের এন্টারটেইম্যান্ট অ্যান্ড কালচারাল মেম্বার ও প্রতিষ্ঠিত একজন ব্যবসায়ী মাহমুদ কুঞ্জ ডেভেলপার্স লিমিটেডের চেয়ারম্যানের নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও অমিসহ আরও তিন নারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

উল্লেখ্য, অভিজাত ঢাকা বোট ক্লাবের ভেতরে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগের ঘটনার মধ্যদিয়ে ব্যাপক আলোচনায় আসেন অভিনেত্রী পরীমনি। ঘটনার ৪ দিন পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়ে অভিযোগের বিষয়টি খোলাসা করেন তিনি। ঘটনার ৪ দিন পর ব্যবসায়ী নাসির মাহমুদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ তোলেন এ নায়িকা। পরে সাভার থানায় লিখিত একটি অভিযোগ করেন। যা পরদিন- মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়। অভিনেত্রী পরীমনিকে নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। পরীমনির বিরুদ্ধে মদ খেয়ে মাতাল অবস্থায় অসদাচরণ ও ভাঙচুরের অভিযোগও এসেছে একাধিক অভিজাত ক্লাব থেকে।

 

এএমএসএইচ