বন্ধুর বুকে মাথা রেখে ভাইরাল গরিলার চিরবিদায়

নিউজ ডেস্ক :

সেলফি পোজের জন্য ভাইরাল মাউন্টেইন গরিলা দাকাসি আর নেই। দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর সম্প্রতি মৃত্যু হয়েছে ‘সেলফি কুইন’খ্যাত এই গরিলার। আর তার অন্তিম মুহূর্তের ছবিও এখন ভাইরাল নেট মাধ্যমে। প্রিয় বন্ধুর বুকে মাথা রেখে প্রশান্তির মৃত্যু কাঁদাচ্ছে বহু ভক্তকে।

দাকাসির দীর্ঘদিনের বাসস্থান কঙ্গোর ভিরুঙ্গা ন্যাশনাল পার্ক জানিয়েছে, মাসখানেক অসুস্থ থাকার পর মারা গেছে বিখ্যাত গরিলাটি। তার বয়স হয়েছিল ১৪ বছর।

এক বিবৃতিতে পার্ক কর্তৃপক্ষ বলেছে, অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, ভিরুঙ্গার জনপ্রিয় অনাথ গরিলা দাকাসি মারা গেছে। সে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে পার্কের সেনকওয়েকুয়ে সেন্টারের তত্ত্বাবধানে ছিল। বহুদিনের বন্ধু আন্দ্রে বাউমার বুকে মাথা রেখে গরিলাটি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করে বলেও জানানো হযেছে।

এত বছর ধরে দেখভাল করা গরিলাটির মৃত্যুতে মুষড়ে পড়েছেন বাউমা। তিনি বলেন, আমি তাকে শিশুর মতো ভালোবাসতাম। কাছে গেলেই তার উৎফুল্ল ব্যক্তিত্ব আমার মুখে এনে হাসি দিতো। ভিরুঙ্গার সবাই তাকে স্মরণ করবে। দাকাসি আমাদের জীবনে যে খুশি এনে দিয়েছিলো, তার জন্য আমরা চিরকৃতজ্ঞ।

২০১৭ সালে মাত্র দুই মাস বয়সে দাকাসিকে খুঁজে পান ভিরুঙ্গা রেঞ্জাররা। দুষ্কৃতদের গুলিতে প্রাণ হারানো মায়ের মরদেহের পাশে পড়ে ছিল গরিলাটি। এরপর তাকে তুলে নিয়ে গোমার একটি রেসকিউ সেন্টারে পাঠানো হয়। সেখানেই প্রথম বাউমার সঙ্গে দেখা হয় দাকাসির। সেদিন সারারাত শিশু দাকাসিকে বুকের ওপর রেখে মায়ার বন্ধনে আটকে ফেলেছিলেন বাউমা।

পরে সুস্থ হলে গরিলাটিকে সেনকওয়েকুয়ে সেন্টারে পাঠানো হয়। সেখানে ১১ বছর শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বসবাস করেছে সে।

দাকাসিকে বিভিন্ন টেলিভিশন শো ও ডকুমেন্টারিতে দেখা গেছে। তবে সে সবচেয়ে বেশি বিখ্যাত ২০১৯ সালে তোলা একটি ছবির কারণে। পার্কের এক তত্ত্বাবধয়াকের তোলা ওই সেলফিতে দাকাসি ও তার বন্ধু দিজেকে ‘এক্সপার্ট মডেল’দের মতো পোজ দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। এরপর দ্রুতই বিশ্বব্যাপী ভাইরাল হয় ছবিটি।

সূত্র: সিবিএস নিউজ

আরো পড়ুন : শ্বেতী রোগের কারণ, লক্ষ্মণ ও চিকিৎসা

আরো পড়ুন : যৌন রোগের কারণ ও প্রতিকার

আরো পড়ুন : ডায়াবেটিস প্রতিকার ও প্রতিরোধে শক্তিশালী ঔষধ

আরো পড়ুন : মেহ প্রমেহ ও প্রস্রাবে ক্ষয় রোগের কার্যকরী সমাধানসমূহ

আরো পড়ুন : গেজ, অশ্ব,পাইলসের সহজ চিকিৎসা

আরো পড়ুন : মলদ্বার দিয়ে রক্ত পড়ার হোমিও চিকিৎসা