চরভদ্রাসন উপজেলার রাস্তাঘাটের বেহাল দশা দেখার কেউ নেই

ফরিদপুর প্রতিনিধি

বাংলাদেশের অন্যান্য জেলা উপজেলা যেখানে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে সেখানে পিছিয়ে পড়ছে ফরিদপুর জেলার চরভদ্রাসন উপজেলার উন্নয়ন।

চরভদ্রাসন উপজেলার রাস্তাঘাটের বেহাল দশা দেখার কেও নেই। চরভদ্রাসন উপজেলা ৩টি ইউনিয়ন চরভদ্রাসন,গাজিরটেক ও চরহরিরামপুর ইউনিয়নের অংশ ঘুরে রাস্তাঘাট ঘুরে যা দেখা গেলো রাস্তাঘাটের অবস্থা খুবই নাজেহাল অবস্থা।চরভদ্রাসন সদর ইউনিয়ন থেকে কাশেমের দোকানের(মধু শিকদার ডাঙ্গী)দুরত্ব প্রায় ৩ কি:মি:।

এই রাস্তা দিয়ে ২/৩গ্রামের মানুষ আসা যাওয়া করে।এই রাস্তায় ৪/৫ জায়গায় এতটায় বেহাল দশা প্রায়সময় দুর্ঘটনা ঘটছে।নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক এক বাসিন্দা বলেন,দীর্ঘদিন ধরে এই রাস্তা মেরামত না হওয়ায় রাস্তা ভেঙ্গে কয়েক জায়গায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়।কিছুদিন আগে মাটি দিয়ে গর্ত মেরামত করে।কিন্তুু বৃষ্টির পানিতে মাটি এতটায় কেদা হয়ে যায় গাড়ি নিয়ে যাতায়াত করা খুবই কষ্টের। মাঝে মাঝে দুর্ঘটনা ঘটে।

চরভদ্রাসন সদর ইউনিয়নের আরেকটি রাস্তা ম্যাজিষ্ট্রেট বাজার হতে সর্দার বাড়ি প্রায় ২ কিঃমিঃ রাস্তা খুবই নাজেহাল অবস্থা। ম্যাজিষ্ট্রেট বাজারের তানভীর নামক এক বাসিন্দা খুব কষ্টের সাথে বলেন, এই রাস্তা দিয়ে এখন রিক্সা নিয়ে যাতায়াত করা মানে ভালো মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হওয়া। রাস্তা এতটাই ভেঙ্গে গেছে যা রিক্সা করে গেলে মাজার হাড্ডি ভেঙ্গে যাওয়ার উপক্রম হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার বাসিন্দা বলেন, কে এম ডাঙ্গী জামে মসজিদের সামনে গতবার বৃষ্টিতে রাস্তা ধসে যায়।চেয়ারম্যান তার লোকজন দিয়ে সাময়িক ভাবে মেরামত করে চলাচলের উপযোগী করে দিয়ে যায়। কিন্তু এখন আবার আগের মতই অবস্থা।এখানে বৃষ্টি নামলে চলাচল করা খুবই কষ্টকর।

কে এম ডাঙ্গী ও মধু শিকদার ডাঙ্গী এই ২ এলাকার মানুষ এই রাস্তা দিয়ে ফরিদপুর যাওয়া আসা করে।অসুস্থ রোগিকে নিয়ে এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করা খুবই কষ্টের।

এই রাস্তার পাশে আরেকটি রাস্তা সুপারিবাগান হতে কে এম ডাঙ্গী বাজার প্রায় ২কিঃমিঃ ইটের রাস্তা। দীর্ঘদিন ধরে মেরামত না হওয়ায় রাস্তার বিভিন্ন যায়গায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।

সুপারিবাগান নিবাসী আঃ রহিম বলেন, অনেকদিন ধরে এই রাস্তায় কাজ না হওয়ায় একটু বৃষ্টি নামলেই এই রাস্তা দিয়ে হাটাচলা করা সম্ভব হয় না।রাস্তা কাজের জন্য মেম্বারকে আমরা বলছিলাম। মেম্বার বলছে কাজ খুব তাড়াতাড়ি শুরু হবে।এখন কবে হবে তাতো আমরা জানি না।আমি সরকারের কাছে অনুরোধ করছি আমাদের রাস্তাটা যেনো ঠিক করে দেয়।যাতে আমরা একটু শান্তিতে চলাচল করতে পারি।

এছাড়া চরহরিরামপুরের জাকেরের সূরা থেকে গাজিরটেকের বেপারীর দোকান পর্যন্ত প্রায় ২.৫০ কিঃমিঃ রাস্তা। এই রাস্তা দিয়ে চরহরিরামপুর ইউনিয়নের জনগন ফরিদপুর যাতায়াত করে। জাকেরের সুরা নিবাসী জহির বলেন,রাস্তা ৫/৬ ধরে নতুন দিছে।এখন রাস্তার যে অবস্থা সত্যকার ভঙ্গুর অবস্থা। চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ছে।এই রাস্তা দিয়ে মাটি নেওয়ার বড় বড় ট্রাক চলে।রাস্তা এমনি ছোট তার উপরে ভঙ্গুর অবস্থা। ট্রাক গেলে মনে হয় একটা বালুর ঝড় শুরু হয়েছে।এই রাস্তা মেরামত করা খুবিই জরুরি।

নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক চরভদ্রাসনের এক বাসিন্দা বলেন, আমরা চরভদ্রাসনবাসী অন্য এলাকার উন্নয়ন নিয়ে খুশি থাকি কিন্তু নিজের এলাকার উন্নয়নের কি অবস্থা তানিয়ে মাথাব্যাথা নেই।

চরভদ্রাসনের রাস্তাঘাট,খেলার মাঠের যে অবস্থা তা দেখে বুঝা যায় চরভদ্রাসনের কোন উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি। বর্তমানে চরভদ্রাসনে অনেক সামাজিক সংগঠন বের হয়েছে কেওই চরভদ্রাসনবাসীর দুর্দশার চিত্র গুলো তুলে ধরেতে দেখলাম না।আমার শেষ কথা সরকারের কাছে সবিনয় অনুরোধ করছি, চরভদ্রাসনের রাস্তাগুলোকে সংস্কার করে চরভদ্রাসনবাসীকে কষ্ট থেকে মুক্তি দেয়।