চলছে ঢাকা উত্তর সিটিতে চিরুনি অভিযান

নিউজ ডেস্ক :

করোনা পরিস্থিতিতে বন্ধ হওয়া নির্মাণাধীন ভবন ও বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে জমে থাকা পানিই এডিস যুদ্ধে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ঢাকা উত্তর সিটির এডিস বিরোধী চিরুনি অভিযানের দ্বিতীয় দিনে বেশ কয়েকটি নির্মাণাধীন ভবন মালিককে জরিমানা ও সতর্ক করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ধ্বংস করা হয় মশার প্রজনন ক্ষেত্র।

কয়েকদিনের জমে থাকা স্বচ্ছ পানিতে বংশবিস্তার করে ডেঙ্গুর বাহক এডিস। কিন্তু এমন দৃশ্য দেখে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক, মশার কামড়ে নাজেহাল নগরবাসীর কতটুকু মনে আছে এই তথ্য।

রোববার (১৭ মে) সকালে রাজধানীর উত্তর সিটির পাঁচটি অঞ্চলে একযোগে শুরু হয় এডিস বিরোধী চিরুনি অভিযান। অভিযানে নির্মাণাধীন ভবনে একে একে খোঁজ মেলে মশার প্রজননক্ষেত্র। বাড়ির বেজমেন্ট এবং লিফট স্থাপনের জন্য রেখে দেয়া ফাঁকা জায়গাতে পাওয়া যায় সবথেকে ভয়াবহ অবস্থা।

নগর কর্তৃপক্ষ বলছে, করোনা প্রাদুর্ভাবের পর বন্ধ হয়ে যাওয়া আবাসিক ভবন ও উন্নয়ন প্রকল্পের জমে থাকা পানি পরিস্কার রাখাই বড় চ্যালেঞ্জ।

স্বাস্থ্য কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম মোস্তফা সারওয়ার বলেন, আমরা এতদিন ভ্রাম্যমাণ আদালত করেছি, এখন চিরুনি অভিযান শুরু করেছি।

অভিযানে গাফিলতির দায়ে কয়েকটি বাড়ির মালিককে জরিমানা ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চলমান রাখার নির্দেশ দেয়া হয়।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শরিফুল ইসলাম বলেন, অনেক জায়গাতেই কেয়ারটেকার পাওয়া যাচ্ছে না। তালা ভেঙে এসব জায়গায় প্রবেশ করে বিকাশের মাধ্যমে জরিমানা করা হয়েছে।

সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এস এম ওয়াসিমুল ইসলাম বলেন, পানি নিষ্কাশনের জন্য পর্যাপ্ত লোক নেই। সে কারণেই আমাদের মোবাইল কোর্ট ও চিরুনি অভিযান করা হবে।

এডিস থেকে বাঁচতে চিরুনি অভিযানের পাশাপাশি ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানও পরিচালনা করছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন।