জনস্বার্থে ভোক্তা অধিকার অভিযান সারাদেশেই করা উচিত

 

প্রকাশিত : ২২ আগস্ট ২০২০ খ্রিস্টাব্দ, ০৬ ভাদ্র ১৪২৭ বঙ্গাব্দ, ০২ মুহররম ১৪৪২ হিজরি, শনিবার

 

সম্পাদকীয়

 

দোকানে দোকানে নিম্নমানের মাল রাখা ও বিক্রি করার অভ্যাস নতুন কিছু নয়। আবার মেয়াদোত্তীর্ণ মাল রাখাও বেশ পুরোনো। কিন্তু ক্রেতারা যদি একটু সচেতন হতো তাহলে দোকানীরা এ ধরনের মাল রাখতে সাহস পেতো না। ক্রেতারাই তো তেমন সচেতন নয়। আর তাই দোকানীরাও বোকা ক্রেতা পেয়ে তাদের বাজারের ব্যাগে ঢুকিয়ে দেয় নিম্নমানের মাল ও মেয়াদোত্তীর্ণ মাল। তারাও বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সকলকে সেগুলো খাওয়াচ্ছে। দীর্ঘদিন দোকানে পড়ে থেকে মেয়াদ পার হয়ে গেলেও দোকানী সেই মাল বিক্রি করে ফেলেন। কারণ, ক্রেতাদের অত কিছু দেখার সময় নাই, অসচেতন।

এমন অনেক ক্রেতা রয়েছেন যারা নিম্নমানের মাল এবং মেয়াদোত্তীর্ণ মাল কোনগুলো সেগুলো তার বুঝেই না। কেননা তাদের এসব নিয়ে ভাবার সময় নেই। দেখতে চকচকে প্যাকেট হলেই বুঝি সবই ভালো, কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু ক্রেতাদের এমন দুর্বলতার সুযোগ দোকানীরাই বা কেনো নেবে! প্রশ্নটা সেখানেই!

গত ১৮ আগস্ট প্রিয় সময়ে প্রকাশিত ‘পঞ্চগড়ে ৩ প্রতিষ্ঠানকে ৮ হাজার টাকা জরিমানা’ শিরোনামে সংবাদটি পাঠকের চোখে পড়েছে। আমরা প্রকাশিত সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারলাম, পঞ্চগড় সদর উপজেলার মীরগর বাজারে এক অভিযান চালিয়ে ঐ তিন প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। যদি এভাবে দেশের সর্বত্র বাজারগুলোতে জরিমানা করা হয় তাহলে দোকানীরা সতর্ক হবে। বিশেষ করে গ্রামকেন্দ্রীক বাজারগুলোতে এ ধরনের দোকান বেশি রয়েছে বলে আমরা মনে করছি। কেননা দরিদ্র, অসহায় ও অসচেতন মানুষগুলো দিনের পর দিন ঠকেই যাচ্ছে।

অতীতেও অনেকবার জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের পরিচালনায় অনেকবার দোকানগুলোতে অভিযান চালিয়ে জরিমানা করেছিলো। কিন্তু তবুও দোকানীরা গোপনে গোপনে এসব অপকর্ম চালিয়ে তারা তাদের দুঃসাহসের পরিচয় দিয়ে চলেছে।

এটা সত্য যে, নিম্নমানের খাদ্য ও মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্য খেয়ে মানুষ অসুস্থ হচ্ছে। এসব খাবার খেয়ে তারা বিভিন্ন শারীরিকভাবে অসুস্থতায় ভুগছে দিনের পর দিন। মানুষের স্বাস্থ্যের দারুণ ক্ষতি হচ্ছে।

বাজারগুলোর যে সমস্ত দোকান রয়েছে, তাদের উচিত নয় মেয়াদোত্তীর্ণ মালামাল ও নিম্নমানের মালামাল দোকানে রাখা। এতে ভোক্তাদের সাথে প্রতারণা করা হয়। বিশেষ করে অসাধু ব্যবসায়ীরা দিনের পর দিন কম দামে নিম্নমানের মাল এনে দোকানে রাখে। আর বেশি লাভে ভোক্তাদের কাছে বিক্রি করে। যদি বাজারগুলোতে এভাবে অভিযান পরিচালনা করা হয় তাহলে দোকানীরা সতর্ক হবে বলে আমরা প্রত্যাশা করি।

আমরা আরো প্রত্যাশা করি যে, জনস্বার্থে এ অভিযান সারাদেশেই করা উচিত। তাহলে একযোগে নিম্নমানের মালামাল ও মেয়াদোত্তীর্ণ মালামাল ধ্বংস হবে। এতে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিসম্মুখীন হয়ে শাস্তি পাবে। সেই সাথে জনগণও সচেতন হবে দ্রুতগতি।

 

প্রকাশিত : ২২ আগস্ট ২০২০ খ্রিস্টাব্দ, ০৬ ভাদ্র ১৪২৭ বঙ্গাব্দ, ০২ মুহররম ১৪৪২ হিজরি, শনিবার