পুত্রবধূকে বিকৃত লালসায় ধর্ষণ, শ্বশুর গ্রেফতার

আমরা সংবাদের বস্তুনিষ্ঠতায় বিশ্বাসী, প্রিয় সময় গুজব প্রচার করে না

 

নিউজ ডেস্ক :
রাজধানীর পল্লবীতে নিজের ছেলের স্ত্রীকে ধর্ষণ করার অভিযোগে শ্বশুরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) পল্লবী থেকে ৭০ বছর বয়সী ওই বৃদ্ধকে পল্লবী থানা পুলিশ গ্রেফতার করে।

পল্লবী থানার উপপরিদর্শক সাইফুর রহমান জানান, রোববার দুপুরে ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ নিজেই পুলিশের হেল্প লাইন ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ জানান। পরে পল্লবী থানা পুলিশ ঘটনাস্থল মিরপুরে অভিযোগকারীর বাসায় যায়।

সেখানে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে শ্বশুরকে গ্রেফতার করে। অভিযুক্ত বৃদ্ধ একজন অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা। নিজের বাড়িতেই তিনি তার প্রতিবন্ধী ছেলে ও পুত্রবধূকে নিয়ে বসবাস করতেন বলে জানায় পুলিশ।

ভুক্তভোগী ওই নারী জানান, তার স্বামী প্রতিবন্ধী হওয়ার সুযোগ নিয়ে শ্বশুর তাকে ধর্ষণ করেছে। ৪ থেকে ৫ মাস আগে তার শাশুড়ি মারা গেছেন বলেও জানান তিনি।

এ ঘটনায় শ্বশুরকে আসামি করে পল্লবী থানায় মামলা প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছে থানার উপ পরিদর্শক সাইফুর রহমান।

বন্দীর স্ত্রীকে নিয়ে ‘পালালেন’ কারারক্ষী

রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের এক কারারক্ষীর বিরুদ্ধে মাদক মামলায় কিছুদিন বন্দী থাকা এক ব্যক্তির স্ত্রীকে ভাগিয়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। কারারক্ষীর নাম মামুন হোসেন। গত ৫ বছর ধরে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে কর্মরত তিনি। মামুন সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ এলাকার বাসিন্দা। বিবাহিত ওই কারারক্ষী কারাগারের ব্যারাকে একাই থাকেন।

অন্যদিকে ওই নারীর স্বামী মোহাম্মদ আকাশ মহানগরীর ষষ্ঠীতলা এলাকার বাসিন্দা। তার আট বছর বয়সী এক ছেলে সন্তান রয়েছে। তার স্ত্রীর নাম পারভীন আক্তার (২৮)। তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর পৌর এলাকার রহমতপাড়া মহল্লার নাসির উদ্দিনের মেয়ে। ১৪ বছর আগে রাজশাহী নগরীর বাসিন্দা আকাশের সঙ্গে পরিবারের সম্মতিতে পারভীনের বিয়ে হয়।

পারভীন আক্তারের বড় বোন শিরিন আক্তার জানান, আকাশ জেলে যাওয়ার পর ওই কারারক্ষীর সঙ্গে পারভীনের মোবাইলে যোগাযোগ হয়। এরপর তারা পরকীয়ায় জড়িয়ে যান। গত কোরবানির ঈদের তিন দিন আগে ওই কারারক্ষীর সঙ্গে পারভীন নিরুদ্দেশ হন।

তিনি বলেন, আমরা ধরেই নিয়েছিলাম পারভীন স্বেচ্ছায় বাড়ি ছেড়েছে। কিন্তু পরে ফোন করে আমাদের জানিয়েছে ওই ছেলে তাকে জিম্মি করে বাড়ি ছাড়তে বাধ্য করেছেন। তাকে বিয়ে না করেই স্বামী-স্ত্রীর মতো বসবাস করছেন।

এই তথ্য পেয়ে তারা তাকে উদ্ধারের চেষ্টা করেন। কিন্তু উদ্ধার করতে পারেননি। এ নিয়ে তারা মামলা দায়েরের কথা ভাবছেন। একই ভাষ্য পারভীনের স্বামী আকাশেরও।

তিনি বলেন, তিনি ব্যাংকের সিকিউরিটি গার্ডের কাজ করতেন। সেখান থেকে ফেরার পথে নগর ডিবি পুলিশ তাকে সন্দেহভাজন মাদক কারবারি হিসেবে তুলে নিয়ে যায়। ওই সময় তার কাছে টাকা দাবি করে পুলিশের ওই দলটি। কিন্তু তিনি সেই দাবি পূরণ করতে পারেননি। পরে তাকে জেলহাজতে পাঠিয়ে দেয়। কারাবন্দী থাকাকালীন কারারক্ষী মামুন হোসেনের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। তিনি স্ত্রীর মোবাইল নম্বর দিয়ে ওই কারারক্ষীকে তার সঙ্গে যোগাযোগ করে খোঁজ দেয়ার অনুরোধ করেন।

তিনি আরও বলেন, এরপর পারভীনের সঙ্গে ওই কারারক্ষী পরকীয়া শুরু করেন। এক পর্যায়ে অন্তরঙ্গ মুহূর্তের গোপন ভিডিও ধারণ করে তাকে জিম্মি করেন কারারক্ষী। তার স্বামীর মাদক মামলায় যাবজ্জীবন হবে জানিয়ে তাকে বাড়ি থেকে ভাগিয়ে নিয়ে যান। পরে স্বামীকে তালাক দিতে বাধ্য করেন।

আকাশ অভিযোগ করেন, গত কয়েকদিন ধরে বিষয়টি জানাজানি হয়েছে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মাদক মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দিয়েছেন ওই কারারক্ষী। তিনি নগরীর নিউ মার্কেটের সামনে ফুটপাতে দোকান করেন। সেই দোকানে মাদক রেখে ফাঁসানোর হুমকি দেয়া হয়েছে। এরপর থেকে তিনি দোকান বন্ধ রেখে আত্মগোপনে রয়েছেন। এই ঘটনার প্রতিকার ও জড়িতদের শাস্তি দাবি করেন ভুক্তভোগী আকাশ।

এদিকে ওই নারীর সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগের বিষয়টি স্বীকার করেন কারারক্ষী মামুন হোসেন। তিনি দাবি করেন, ওই নারীর সঙ্গে তার কোনো অনৈতিক সম্পর্ক নেই। তিনি বিবাহিত। তার সংসার আছে। তিনি এমনটি করতেই পারেন না। ওই নারীকে স্বামীর কাছ থেকে ভাগিয়ে নেয়ার অভিযোগও অস্বীকার করেন কারারক্ষী মামুন হোসেন।

এ বিষয়ে জানতে কয়েক দফা চেষ্টা করেও রাজশাহীর সিনিয়র জেল সুপার গিয়াস উদ্দিন ও জেলার মাসুদুর রহমানের মোবাইলে সংযোগ পাওয়া যায়নি। ফলে এ নিয়ে তাদের মন্তব্য পাওয়া যায়নি।