লোভ দেখিয়ে ধর্ষণ!

সম্পাদকীয়..

লোভ দেখিয়ে ধর্ষণ করার ঘটনা সংবাদ মাধ্যমে আমরা অনেক জেনেছি। তবুও কেনো নারীরা লোভের ফাঁদ বুঝতে পারে না-সেটাই চিন্তার বিষয়। যদিও ব্যতিক্রম কিছু ঘটনা আমাদের জীবনে ঘটনা ঘটে যায়-যে ঘটনাগুলোর কোনো সমাধান আমরা খুঁজে পাই না। কাউকে বিশ্বাস করার মোটেও অন্যায় কিছু নয়। কিন্তু বিশ^াসের আড়ালে যদি লোভের ষড়যন্ত্র থাকে তাহলে সেখানে নীতির মৃত্যু হয়। আর নীতির মৃত্যু হলে লোভ দেখিয়ে আরেকজনের সর্বনাশ করার মতো মানসিকতায় কারো বিবেকে একটু বাধ সাধে না। তেমনি ঘটনা আমাদের সমাজে ঘটে চলেছে অহরহ।

প্রিয় সময়ে ‘ধামরাইয়ে কাবিনে টাকা বৃদ্ধির লোভ দেখিয়ে ধর্ষণ, কাজী গ্রেপ্তার’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি একটি মেয়ের উপর লোভের প্রতিফলন। লোভের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের ঘটনায় এবার ধরা পড়েছে একজন কাজী। ঢাকার ধামরাইয়ে পোশাক শ্রমিককে ধর্ষণের অভিযোগে এক কাজীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার কাজী ইউসুফ আলী (৪৫) ধামরাই পৌর এলাকার ধামরাই দক্ষিণ পাড়ায় দীর্ঘদিন ধরে বাসাভাড়া নিয়ে বিয়ের নিবন্ধনের কাজ করে আসছিলেন। আমরা জেনেছি, বিয়ে সম্পাদনকারী কাজী ইউসুফ আলী কাবিন নামায় দেনমোহরের টাকা বৃদ্ধি করে দেবেন বলে প্রলোভন দেখান। আর এই প্রলোভনই ঐ নারীর জন্যে কাল হয়ে দাঁড়ায়। কাবিননামায় এক লাখ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে তিন লাখ টাকা করে দেয়ার কথা বলে কাজী তার বাসায় ডেকে নেন ওই নারীকে এবং তাকে অনৈতিক কাজের প্রস্তাব দিলে রাজী না হওয়ায় জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছেন।

অতীতেও আমরা জেনেছি, চকলেটের লোভ দেখিয়ে শিশুকে ধর্ষণ!, পেয়ারা, আপেল, কমলার লোভ দেখিয়ে ধর্ষণের মতো জঘন্য ঘটনা আমাদের সমাজে হয়ে যাচ্ছে। এসবই হয় শিশুদের ক্ষেত্রে। যেহেতু তারা অবুঝ শিশু তাই তাদের লোভ হওয়াটাও স্বাভাবিক। আর এ ধরনের ঘটনা একেবারে নিজের আত্মীয়স্বজন দ্বারাই হয়ে থাকে। আর ঐ ধরনের শিশুরা সাধারণত পাঁচ বছর থেকে বার তের বছরেরও হয়ে থাকে। তবে প্রেমের ক্ষেত্রে চৌদ্দ বছরের মেয়ে থেকে শুরু চল্লিশ বছরের মহিলারাও লোভের ফাঁদে পড়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন।

লোভ দেখিয়ে ধর্ষণের শিকার হওয়ার কারণে আমরা সাবধানতা অবলম্বন করতে পারছি না। সেই সাথে যারা ধর্ষণের সাথে জড়িত তারা কোনো না কোনোভাবেই পার পেয়ে যায়। এটাই সবচেয়ে বড় দুঃখজনক। লোভ দেখিয়ে ধর্ষণগুলো সাধারণত পরিচিত জনের মধ্যেই হয়ে থাকে। কেননা শিশুরা অথবা মেয়েরা আত্মীয় পরিচিতজনদেরই বেশি বিশ^াস করে। আর সেই বিশ^াসের সুযোগটি তারা কাজে লাগায়। আর বিয়ের লোভ দেখিয়ে ধর্ষণের মতো ঘটনাই বেশি ঘটছে। এক্ষেত্রে উঠতি বয়সী মেয়েরা এর ফাঁদে বেশি পা বাড়াচ্ছে।

আমরা মনে করি, ধর্ষণের মতো ঘটনার জন্যে যদি কঠোর শাস্তি দেয়া যেতো তাহলে এভাবে দিনের পর দিন ধর্ষণ হতো না। সেই সাথে মেয়েদেরও আরো সতর্কতার সাথে থাকা উচিত বলে মনে করছি।

আমরা খবরের বস্তুনিষ্ঠতায় বিশ্বাসী, সঠিক সংবাদ পরিবেশনই আমাদের বৈশিষ্ট্য

আপডেট সময় : ১১:৩৩ এএম

০৯ নভেম্বর ২০২০ খ্রি. ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪২৭ বঙ্গাব্দ, ২৩ রবিউস সানি ১৪৪২ হিজরি, বুধবার