বিষ প্রয়োগে মাছ নিধন!

সম্পাদকীয় …

কারো সম্পদ নষ্ট করা মানেই পরোক্ষভাবে নিজেরই ক্ষতি করা। এ বিষয়টি বুঝতে পারাটা বুদ্ধিমানের বিষয়ই বটে। তবে সে রকম বুদ্ধি থাকার মতো মানুষের বড়ই অভাব। সে কারণেই আমাদের চারিদিকে এমন নৃশংস আচরণগুলো হচ্ছে। আমাদের বোধোদয়টা যে কবে জেগে উঠবে সেটাই ভাবনার বিষয়!

প্রিয় সময়ে ‘ফরিদগঞ্জে প্রবাসীর মৎস্য খামারে বিষ প্রয়োগে প্রায় ৫ লাখ টাকার মাছ নিধন’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি কিছু মানুষের নির্মমতার পরিচয়। মানুষ যে কতোটা মুর্খ ও বোকা হতে পারে এই ঘটনার মাধ্যমে আমরা পরিস্কার বুঝতে পারি। সত্যিই, যারা এ হীন কাজ করেছে, ওদের নৈতিকতার বড়ই অভাব রয়েছে!

প্রকাশিত সংবাদের মাধ্যমে জানতে পেরেছি, ফরিদগঞ্জের লক্ষীপুরে এক প্রবাসীর ৫ একর বৃহৎ মৎস্য খামারে রাতের আধাঁরে বিষ প্রয়োগে প্রায় ৫ লক্ষ টাকার মাছ নিধন করা হয়েছে। যদিও ঐ মাছগুলো থাকতো তাহলে ফরিদগঞ্জেরই মানুষের মাছের চাহিদাপূরণ হতো। কিন্তু এমন নিন্দনীয় কাজের জন্যে এলাকাবাসীরও মনে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। চারিদিকে সমালোচনা আলোচনা ও নিন্দা মানুষের মনে দেখা গেছে। শত্রুতা করে জলাশয়ের মাছ মেরে ফেলা নিজের পায়ে নিজেরই কুড়াল দেয়া নয়কি।

অতীতেও আমরা বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে জেনেছি, শত্রুতাবশত অথবা কোনো বিষয়ে প্রতিশোধ নিতেই এমন নির্মম কাজ করা হয়।

যার ক্ষতি হয় সেই কষ্টটা ভালো বুঝতে পারে। কিন্তু দুর্বৃত্তদের কী সুখ লাভ হয় সেটাই ভাবার বিষয়। একজনের কষ্টের অর্জিত সম্পদ অন্যেরা নষ্ট করে দিলে এর চেয়ে দুঃখের আর কিছু থাকে না। অন্যকে কাঁদিয়ে যারা হাসাহাসি করে তাদের মতো নিষ্ঠুর মানুষ খুবই কম রয়েছে। এসবই নৃশংসতামূলক কাজ। আমরা মনে করি, অপরাধীরা অপরাধ করে পার পেয়ে যাচ্ছে, এ কারণে এ ধরনের অপরাধ বেড়েই চলেছে। অপরাধীদের খুঁজে বের করে শাস্তির ব্যবস্থা না করতে পারলে, তারা আরও বড় ধরনের অপরাধ সংগঠিত করবে বলে আশঙ্কা রয়েছে। এভাবেই তো সমাজে বড় বড় অপরাধমূলক কাজগুলো হয়ে যায়।

আমরা আশা করি, এ জাতীয় দুর্বৃত্তদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া উচিত। তাহলে সমাজে এ ধরনের ঘটনা আর ঘটবে না। সমাজের কারো সম্পদ এভাবে আর হারাতে হবে না।

আমরা খবরের বস্তুনিষ্ঠতায় বিশ্বাসী, সঠিক সংবাদ পরিবেশনই আমাদের বৈশিষ্ট্য

আপডেট সময় : ০৫:৪১ পিএম

১৪ নভেম্বর ২০২০ খ্রি. ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪২৭ বঙ্গাব্দ, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪২ হিজরি, সোমবার