যে- ঘর বানাবে তুমি শূন্যেরও মাঝার

যুবক অনার্য :

চিমনির মতো যেভাবে
যাচ্ছি জ্বলে আমি
তুমিও সেভাবে জ্বলতে এসো না,
জ্বলে গেলে একদম নিভে যাবে তুমি।
মেঠো পথ থেকে প্রেমিক
নদী থেকে অলৌকিক ইস্টিমার
আসবে না ছুটে
আসবে না ফায়ার ব্রিগেড
নিয়ে ব্যারল সম জল
পাবে না পাথরে কলস ভর্তি করা
সেই বুদ্ধিমান কাক।
নগরে বন্দরে ঘুরছে লুম্পেন
সুযোগ পেলেই ওড়না গলিয়ে
ঢুকিয়ে দেবে হাতের পাঁচটি আঙুল
স্পষ্ট ভঙিমায়
কেউ টু শব্দটিও করবে না-
ঝাঁকের কৈ কাজ শেষে
মিশে যাবে ঝাঁকে।
কতো কেউ বেড়াচ্ছে ঘুরে
ক্ষমতার কারাগারে
তোমাকে প্রকাশ্য দিবালোকে
তুলে নেবে ভক্সওয়াগনে
পাঁজা কোল ক’রে;
সামনে দিয়েই টহল দিয়ে যাবে
আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী গাড়ি
তোমাকে আর সেই ভক্সওয়াগন
দেখেও দেখবে না!
তুমি হয়তো নিচ্ছো ভেবেই-
এতোটা ভীরু এতোটা কাপুরুষ হ’লে কীভাবে চলবে জীবন!
তুমি অই শঙ্খচিলের মতো
আকাশ জুড়ে রূপালি মেলায়
ঘুরে উড়ে হতে চাইবে দিব্য প্রতিভাস
নিমগ্ন মাঝি হয়ে উজানে ভাসাবে নাও!
না হয় হলেই তুমি কিশোরী বধুর মতো
সুরক্ষিত রাজপ্রাসাদের কোনো রাণী,
সেখানেও আছে ভয়-
ঘটে তো যেতেই পারে সামরিক ক্যু –
যেরকম হয়েই আসছে
ধরে বহমান কাল।

তাহলে তুমি হে নারী আজ
দাঁড়াবে কোথায়!
দাঁড়াও তবে শূন্যতার পাটাতনে
যেখানে জানলে দাঁড়িয়ে থাকা –
রাষ্ট্রযন্ত্রেরও সম্ভব নয়
তোমাকে পেড়ে ফেলা।