মেম্বারের সাথে যোগসাজসে ছেলের নামে ভুয়া প্রতিবন্ধি কার্ড, অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ

মোঃ মাসুদুল আলম অপু, স্বরূপকাঠী প্রতিনিধি :
সমুদয়কাঠি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সোহেল পারভেজ এর সাথে যোগসাজসে ভূয়া মেডিকেল সনদ ও জন্ম নিববন্ধন দিয়ে অন্য এক জনের ছবি লাগিয়ে মনিরুজ্জামানের ৯১৫) প্রতিবন্ধিকার্ড বানিয়েছেন মা শান্তা আক্তার। জুলুহার গ্রামের মনিরুজ্জামান তার বাবার সাথে ঢাকায় থাকেন। মনিরুজ্জামানের মা শান্তা আক্তার এবং ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সোহেল পারভেজ মধ্যে অনৈতিক সম্পর্ক আছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ ।

৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মনিরুজ্জামান এর নামে প্রতিবন্ধি কার্ড করা হলেও তা জানেন না ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য গৌতমপাল এবং তার কোন স্বাক্ষরও নেই। মনিরুজ্জামান (মনির) বলেন আমি প্রতিবন্ধিনই আমার শারীরিক কোন সমস্য নেই। মনিরুজ্জামানের বক্তব্য হলো সে প্রতিবন্ধি হওয়ার জন্য কখনো ডাক্তারের কাছে যায়নি। অপরদিকে সোহেল পারভেজের সাথে শান্তা আক্তারের গভীর সম্পর্কেও বিষয়টি এলাকায় ওপেনসিক্রেট। সে কারনে শান্তার স্বামী ফারুক হোসেনের সাথে টানাপোড়েন দীর্ঘ দিনের।

প্রতিবন্ধি কার্ডের মালিক মনিরুজ্জামানের (মনির) বাবা ফারুক হোসেন জানান,আমার ছেলে মনির সর্ম্পূণ সুস্থ সবল। সে দশম শ্রেনীর ছাত্র। সোহেল মেম্বারের সাথে আমার স্ত্রী শান্তার গভীর সম্পর্কের কারনে ওই দুজনে মিলে ভূয়া জন্ম নিবন্ধন মেডিকেল সনদ, ছবি এবং নামের কিছুটা পরিবর্তন করে প্রতিবন্ধি ভাতার জন্য কার্ড বানিয়েছে। আমি বিষয়টি সমাজ সেবা কর্মকর্তাকে জানিয়েছি। আমি ওই কার্ড বাতিল সহ এর সাথে যারা জড়িত তাদেরকে শাস্তির আওতার দাবী জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য গৌতম পাল বলনে, আমি মনিরের নামে কোন প্রতিবন্ধী করাইনি। কে বা কারা করিয়েছে তা আমি জানিনা। ৪নং ওয়ার্ডেও ইউপিসদস্য সোহেল পারভেজ বলেন, মনির সত্যিকারের প্রতিবন্ধি।

তার মেডিকেল সার্টিফিকেট আছে। অন্য ওয়ার্ডেও মানুষের জন্য সুপারিশ কেন করেছে, এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, এক জনের জন্ম নিবন্ধন ৪/৫ টিও থাকতে পারে। অন্য ওয়ার্ডেও কার্ড কেন করালেন এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন চেয়ারম্যান করেছেন আমি করিনি।