আন্তর্জাতিক ফুটবল নিয়ে কে এই প্রতারক আতিকুর রহমান?

আন্তর্জাতিক প্রতিবেদকঃ

আন্তর্জাতিক ফুটবল খেলার নামে চক্রান্ত ও আতিকুর রহমান নামে এক ঠগবাজের কাহিনি।
ফ্লোরিডা প্রবাসী এই আতিকুর রহমান বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ভাবে মানুষকে ধোকা দিয়ে বোকা বানিয়ে টুপাইস কামিয়ে নিয়েছে।

গত বছর সে ফোবানা নাম বেআইনি ভাবে ব্যাবহার করে, ক্যলির্ফোনিয়ার বারব্যাংক শহরে ম্যারিয়ট হোটেলে একটি প্রতারনা মূলক সম্মেলনের আয়োজন করে, উল্লেখ্য যে, আতিকুর রহমান সহ বেশ কয়েকজনকে এধরণের অবৈধ ও অনৈতিক কর্মকান্ডের জন্য ফোবানা থেকে বহিষ্কার করা হয়। প্রতারক আতিকুর রহমান মিথ্যা বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ব্যাবহার করে লস এঞ্জেলস শহরের কতিপয় ব্যাক্তিবর্গকে ফোবানা নামে সম্মেলন আয়োজন করতে উৎসাহিত করেন এবং মিথ্যা আর্থিক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে তাদের নাম হোটেলের চুক্তিতে ব্যাবহার করেন, অতঃপর আতিকুর রহমান সম্মেলনের নামে বিভিন্ন স্পনসরদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করে হোটেলের বিল বাকী রেখে কেটে পড়েন। অবশেষে লস এঞ্জেলস এর ব্যাক্তিগন যারা হোটেলের চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিল তারা হোটেল কতৃপক্ষের মামলার সম্মুখীন হন ও পরে আপোষ মিমাংসা করে মাসিক কিস্তিতে হোটেলের পাওনা পরিশোধ করছেন বলে জানা যায়।

এবার আতিক সাহেব আরেকটি মিশন নিয়ে মাঠে নেমেছেন বলে জানা গেছে, এবার তিনি আন্তর্জাতিক চক্রান্ত ও টার্গেট নিয়ে কাজ শুরু করেছেন যার পরিমাণ ৬ (ছয়) মিলিয়ন ডলার। জানা গেছে উনি বাংলাদেশে এসেছেন নতুন এক প্রতারণার প্রজেক্ট নিয়ে। উনি চেম্বার অফ কমার্স নামে একটি নাম সর্বস্ব ভূয়া কোম্পানি রেজিষ্ট্রেশন করে বিভিন্ন স্যোস্যাল মিডিয়াতে প্রচার, প্রচারনা করে আসছেন, যদিও এই প্রতিষ্ঠানের কোন কার্যকলাপ নেই।

এবার ঐ কোম্পানি ব্যাবহার করে আর্জেন্টিনায় বসবাস রত এক বাংলাদেশী আলীম আল রাজী নামক ব্যাক্তিকে সাথে নিয়ে, আর্জেন্টিনার কিছু সাধারণ মানের ফুটবল খেলোয়াড় নিয়ে টিম গঠন করেন ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) এর সাথে চুক্তি করে ঐ ফুটবল টিম বাংলাদেশে এনে বাংলাদেশের জাতীয় ফুটবল টিম এর সাথে প্রীতি ম্যাচ খেলার ব্যাবস্হা করে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নয়ার পরিকল্পনা করেছেন। আতিকুর রহমান এধরনের প্রতারনার ফাঁদ পেতে বড়, বড় স্পনসর জোগাড় করে বিশাল অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে কেটে পড়েন। আদম ব্যাবসা ও নতুন নতুন পার্টনার যোগাড় করে প্রতারনা করায় তিনি বিশেষভাবে দক্ষ।

আমরা মনে করি যে আর্জেন্টিনা ও বাংলাদেশের মধ্যে প্রীতি ফুটবল খেলা তো আনন্দের ব্যাপার, বাংলাদেশ ক্রীড়া মন্ত্রনালয় এবং বাংলাদেশ এম্বাসীর পরিকল্পনার মাধ্যমে দুদেশের সরকারি পর্যায়ে আলাপ আলোচনার ভিত্তিতে এই সফর হওয়া উচিত। অথচ এই আতিক সাহেব বলেছেন যে উনি নাকি বাফুফের বর্তমান প্রসিডেন্ট জনাব, কাজী সালাউদ্দিন ও ভাইস প্রেসিডেন্ট জনাব, সালাম মুর্শেদীর সাথে সরাসরি কাজ করছেন বিষয়টি নিয়ে, আমাদের বিশ্বাস জনাব, কাজী সালাউদ্দিন ও সালাম মুর্শেদীর মত সম্মানিত ব্যাক্তিবর্গ সঠিক খোঁজ খবর না নিয়ে এধরণের প্রতারকদের খপ্পরে পড়বেন না এবং ওনারা নিশ্চয়ই ঢাকা আর্জেন্টিনা দূতাবাসের সাথে এবিষয়ে যোগাযোগ করবেন।