নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে আ’লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ৩, আটক ৩

 

নিউজ ডেস্ক :
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার আমান উল্যাহপুর ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, সংঘর্ষ ও গুলির ঘটনা ঘটেছে।

সংঘর্ষে ৩ জন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ৮ জন আহত হয়েছেন। ভাঙচুর করা হয়েছে কয়েকটি মোটরসাইকেল। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৩ জনকে আটক করেছে।

সোমবার (২৫ মে) রাত ৯টার দিকে পলোয়ানপুল এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

গুলিবিদ্ধরা হলেন- আইয়ুবপুর গ্রামের সফি উল্যার ছেলে মিজানুর রহমান পলাশ (৩০), পশ্চিম জয়নারায়নপুর গ্রামের আবু ছায়েদের ছেলে মো. হৃদয় (১৯) ও মহেষপুর গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে পারভেজ (২৭)। অপর আহতদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।

আটককৃতরা হচ্ছেন, কালা রতন, জাবেদ ও রুবেল।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঈদ উপলক্ষে রাত সাড়ে ৮টার দিকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নূরুল হুদা খোকনের সমর্থকরা ১৫-১৬টি মোটরসাইকেল নিয়ে একটি শোডাউন বের করে। শোডাউনটি পলোয়ানপুল এলাকায় পৌঁছালে আমান উল্যাহপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সভাপতির সমর্থকরা তাতে বাধা দেয়।

এতে সাধারণ সম্পাদক খোকনের লোকজনের সাথে তাদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এসময় খোকনের লোকজন এলোপাতাড়ি গুলি করলে আরিফের তিন সমর্থক গুলিবিদ্ধ ও সংঘর্ষে উভয় পক্ষের আরও ৫ জন আহত হয়। ভাঙচুর করা হয় ৩-৪টি মোটরসাইকেল। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসার আগেই সংঘর্ষকারীরা সরে পড়ে।

বেগমগঞ্জ মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন, ঘটনার পর অভিযান চালিয়ে খোকনের তিন সমর্থককে আটক করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত অন্যদের আটকের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গুলিবিদ্ধ তিনজন চেয়ারম্যান আরিফের সমর্থক। তারা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

তিনি আরও বলেন, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আরিফ ও খোকন গ্রুপ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে। তবে কোনো পক্ষ থেকে এখনো অভিযোগ আসেনি। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।