চান্দিনায় সৎ মা কর্তৃক শিশু হত্যা

টি. আর. দিদার, চান্দিনা থেকে :

কুমিল্লার চান্দিনায় আরাফাত হোসাইন (৮) নামে এক শিশুকে গলাটিপে হত্যা করেছে সৎ মা। মরদেহ গোপন করতে বাড়ির গোয়াল ঘরে খড়কুটো দিয়ে ঢেকে রাখার ১০ ঘন্টা পর নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে নিহতের পিতা ও সৎমাকে আটক করা হয়েছে।

৩১ মে রোববার রাত ১১টায় চান্দিনা উপজেলার তীরচর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত শিশু আরাফাত চান্দিনা উপজেলার বাতাঘাসি ইউনিয়নের তীরচর গ্রামের মো. ফরিদ মিয়ার ছেলে। সে তীরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্র।

নিহতের মা ফেরদৌসী বেগম প্রিয় সময়কে জানান, রবিবার দুপুর ১২টার পর থেকে আরাফাতকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। বাড়ি ও আশপাশের এলাকা খুঁজে কোথাও না পেয়ে এলাকায় মাইকিং করাও হয়।

রাত ৯টার পর এলাকার লোকজন সৎমায়ের আচরণ সন্দেহজনক দেখে পুরো বাড়িতে তল্লাশি চালায়। পরে গোয়াল ঘরে শিশুর নিথর দেহ পরে থাকতে দেখে পুলিশ খবর দেয়।

এদিকে, শিশু আরাফাতের মরদেহ পাওয়ায় পর সৎ মা সুমী আক্তার পালিয়ে যাওয়ার সময় এলাকার লোকজন তাকে আটক করে।

চান্দিনা থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) মো. আবুল ফয়সল প্রিয় সময়কে জানান, ফরিদ মিয়ার প্রথম স্ত্রীর তিন মেয়ে ও একটি মাত্র ছেলে আরাফাত। আর দ্বিতীয় স্ত্রী সুমী আক্তারের ছোট একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাবাসাবাদে আটক সৎ মা সুমী আক্তার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, প্রথম স্ত্রীর সন্তানকে সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করার জন্যই পরিকল্পিতভাবে শিশু আরাফাতকে শ্বাসরূদ্ধ করে হত্যা করে। মরদেহ গোপন করার জন্য গোয়াল ঘরে খড়কুটো দিয়ে ঢেকে রাখে।

ওসি আরও জানান, ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা পর ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে নিহতের পিতা ফরিদ মিয়া ও সৎ মা সুমী আক্তারকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হচ্ছে।