ছুটি শেষে বাড়ছে যানবাহন ও মানুষের উপস্থিতি : করোনার চরম ঝুঁকিতে চাঁদপুর

কবির হোসেন মিজি :

সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটি শেষে প্রায় আড়াই মাস অতিবাহিত হওয়ার পর রবিবার ৩১ মে থেকে চাঁদপুর শহরে ব্যাপক হারে বাড়ছে বিভিন্ন যানবাহন ও মানুষের উপস্থিতি। খোলা হয়েছে বিভিন্ন ব্যববসা প্রতিষ্ঠান।

এতে করে করোনা সংক্রমনে চরম ঝুঁকিতে রয়েছে চাঁদপুর জেলা শহর। বাংলাদেশ জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয় ঘোষিত ১ জুন থেকে সবকিছু সীমিত আকারে বহাল রাখার ঘোষনা দিলেও বাস্তবে দেখা গেছে ৩১ মে থেকেই সবস্থানেই সবকিছু বহাল করে দিয়েছেন সাধারণ মানুষ।

৩১ মে রবিবার সকাল থেকে চাঁদপুর শহরের সরজমিনে দেখা গেছে শহরের বিভিন্নস্থানে ব্যাপক হারে বাড়ছে যানবাহন ও মানুষের উপস্থিতি। খোলা হয়েছে বিভিন্ন দোকান, পাট ও বিভিন্ন প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান।

শহরের বাস্তব চিত্র দেখলে মনে হয় দেশে কোন প্রকার মহামারী নেই। করোনা ভাইরাসের প্রভাব কেটে গিয়ে সবকিছু যেনো আগের মতো স্বাভাবিক হয়ে গেছে।

তাই স্বাভাবিক সময়ের মতোই শহরের চলছে যানবাহন এবং মানুষের উপস্থিতি। অনেক লোকজনকে মাস্ক ছাড়াও চলাফেরা করতে দেখা যায়।

রবিবার সকাল থেকে দেখা গেছে চাঁদপুর শহরের শপত চত্বর কালী বাড়ি, বাসস্ট্যান্ট, ছায়াবানী মোড়, নতুন বাজার, পুরান বাজার, মিশন রোড, চিত্রলেখা মোড়, চেয়ারম্যান ঘাটা, ওয়্যারলেস সহ শহরের বিভিন্ন সড়কে ট্রাক পিকআপ ভ্যান, রিক্সা অটোরিক্সা সহ বিভিন্ন যানবাহন সড়কে চলচল করছে।

একই সাথে শহরে সাধারণ মানুষের উপস্থিতি সহ খোলা হয়েছে বিভিন্ন দোকান পাট সহ বিভিন্ন প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান গুলো। এ কারনে দেশের এই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও শহরের শপথ চত্বর সহ কয়েকটিস্থানে যানজট সৃষ্টি হতে দেখা যায়।

জানাযায়, মহামারী করোনা ভাইরাস সংক্রমন প্রতিরোধে গত ২৬ মার্চ থেকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য সরকারি ছুটি ঘোষনা করা হয়।

কিন্তু বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকায়, সরকার ২য় দফায় সাধারণ ছুটি ঘোষনা করেন। তার আগে থেকে বিভিন্ন জেলায় চলতে থাকে অনির্দিষ্ট কালের লকডাউন।

যা চাঁদপুরেও বহাল ছিলো। করোনা প্রতিরোধে সরকারি ছুটি এবং লকডাউন ঘোষনার পর চাঁদপুরের সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, স্কুল, কলেজ, সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়।

একই সাথে শহর কিংবা গ্রামে প্রত্যেক স্থানে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে গন জমায়েত, এরাতে বিভিন্ন দোকান পাট, ও যানবাহন চলাচল না করার নির্দেশ প্রদান করেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসন।

এর পর গত ২৬ মার্চ থেকে এপ্রিল এবং মে, এ দুই মাস অতিবাহিত হওয়ার পর ৩১ জুন থেকে সাধারণ ছুটির মেয়াদ শেষে ১ জুন থেকে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান সহ সবকিছু সীমিতি আকারে বহাল রাখার ঘোষনা দেন বাংলাদেশ জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়।

কিন্তু বাস্তবে তার একদিন আগে থেকেই চাঁদপুর শহরে একদিকে যেমন বেড়েছে ছোট বড় বিভিন্ন যানবাহন, অন্যদিকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলায় ব্যাপক হারে বাড়ছে মানুষের উপস্থিতি।

বর্তমান সময়ে শহরে মানুষের এমন উপস্থিতি বেড়ে যাওয়ার কারনে করোনা সংক্রমে চরম ঝুঁকিতে পড়েছে চাঁদপুর শহর। এমনটাই মনে করছেন সচেতন মহল।