করোনাকালে নিজ গ্রামে ঘুড়ি উড়িয়ে সময় পার করছেন সংগীত পরিচালক আল-আমিন খান

কবির হোসেন মিজি, চাঁদপুর প্রতিনিধি :

ছোট্ট বেলার সেই দিনগুলি, মার্বেল ঘুড়ি আর ডাংগুলি। পাঠশালা ফাঁকি দিয়ে, কুলতিলা টিম নিয়ে হই, চই ছুটাছুটি দিন ভরে। মনে পড়ে শুধু মনে পড়ে, পাবো কি আর সেই দিন ফিরে…..। শৈশবের স্মৃতি জড়ানো এমন শ্রুতিমধুর গানের কথার মতোই আর কখনো কোনদিন শৈশবে ফিরে যাওয়া সম্ভব হবেনা জেনেও করোনাকালে ঘরবন্দী হয়ে ঘুড়ি উড়িয়ে সেই শৈশবে ফেরার ব্যর্থ চেষ্টা করছেন বর্তমান সময়ের সুনামধন্য প্রতিষ্ঠান রংধনু স্টুডিও এবং রংধনু মিউজিকের কর্ণধার সংগীত পরিচালক আল-আমিন খান।


মহামারী করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে নিজ নিজ কর্মের দীর্ঘ বিরতীতে রয়েছেন নানা পেশার মানুষের সাথে সংগীত পরিচালক আল-আমিন খানও। লকডাউন শেষ হলেও করোনা সংক্রমনের ভয়ে ঘর থেকে বের হচ্ছেন না অনেকেই। তাইতো করোনাকালে চাঁদপুরে মতলব উপজেলার নিজ গ্রামে ঘুড়ি উড়িয়ে অবসর সময় পার করছেন এই সংস্কৃতিপ্রেমী মানুষটি।

করোনার ভয়াবহতা বদলে দিয়েছে বাংলাদেশের দৃশ্যপট। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ছুটে চলা মানুষ এখন গৃহবন্দি। নিরাপদে থাকতে স্কুল-কলেজসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। সেই সঙ্গে বন্ধ রয়েছে সব আউটডোর খেলাধুলা। আর এই লম্বা ছুটিতে বাঙালির ঐতিহ্য রঙিন ঘুড়ি নিয়ে মেতে আছেন চাঁদপুরের বিভিন্ন গ্রাম অঞ্চলের তরুণ প্রজন্মসহ বিভিন্ন বয়সি মানুষ। শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ। অনেকেই একসঙ্গে খোলা মাঠ, বিল, ঝীল কিংবা বাড়ির ছাদে বিভিন্ন প্রজাতির ঘুড়ি উড়াতে দেখা যায়। বিকাল হলেই দেখা যায় আকাশে ঘুড়ির মেলা।

ঘুড়ি উড়ানো দেখতে দেখতেই পার করে দিচ্ছেন অবসর সময়। আর চাঁদপুরের শিশু কিশোর ও মধ্যবয়সীদের সাথে থেমে নেই আল আমিন খানও। তিনিও অবসর সময় পার করতে সুস্থ বিনোদনে যোগ দিয়েছেন। গাঁয়ের মনোমুগ্ধকর পরিবেশে খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে প্রতিদিন বিকেল হলেই ছোট বড়দের সঙ্গে করে মেতে উঠছেন ঘুড়ি উড়ানোর খেলায়। এ বিনোদনে যেনো ছেলে বেলায় দোলা দিয়ে যায় তার মনে।


সংগীত পরিচালক আল-আমিন খান বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে সারা বাংলাদেশে দীর্ঘ দিন ধরে চলছে লকডাউন। তাই লকডাউনে আমার মিউজিক কোম্পানীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ থাকায় অনেক দিন ধরে গ্রামে সময় পার করছি। কাজের মানুষ হওয়াতে বেশি অবসর থাকতে ভালো লাগেনি। তাইতো ঘরবন্দীর এই অবসর সময়ে ঘুড়ি উড়িয়ে সময় পার করার চেষ্টা। এতে করে একদিকে যেমন আমার অবসর সময়গুলো খুব দ্রæত পার হচ্ছে, অন্যদিকে শৈশবের স্মৃতি জড়ানো এই সুস্থ বিনোদনে ছেলে বেলায় হারিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি। গাঁয়ের মনোরম পরিবেশে খোলা আকাশে ঘুড়ি উড়িয়ে বেশ ভালোই লাগছে।