চাঁদপুরে বিলুপ্তির পথে বুদ্ধিমান বাবুই পাখির দৃষ্টিনন্দন বাসা

সাইদ হোসেন অপু চৌধুরী, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট :

গ্রাম বাংলার পল্লী অঞ্চলে আগের মতো বাবুই পাখির দৃষ্টিনন্দন বাসা এখন আর চোখে পড়ে না। কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে আবহমান বাংলার সেই নিপুণ বাসা তৈরির কারিগর বাবুই পাখিও। এক সময় চাঁদপুরের গ্রামাঞ্চলে অবাধ বিচরণ ছিল তাদের। মন মাতানো কিচিরমিচির সুরেলা শব্দ আগের মত শোনা যায় না এখন আর। তেমন চোখেও পড়েনা বুদ্ধিমান বাবুই পাখি ও তাদের দৃষ্টিনন্দন বাসা।

এক সময় চাঁদপুরের গ্রামঞ্চলে বাবুই পাখি দেখা যেত। দেশি বাবুই, দাগি বাবুই ও বাংলা বাবুই। তবে বাংলা ও দাগি বাবুই এখন বিলুপ্তির পথে। বর্তমানে কিছু দেশি বাবুই দেখা যায়। বাসা তৈরির জন্য বাবুই পাখির প্রথম পছন্দ তাল গাছ। এরপর নারিকেল, সুপারি ও খেজুর গাছ। এরা খড়ের ফালি, ধানের পাতা, তালের কচিপাতা, ঝাউ ও কাশবন দিয়ে বাসা বাঁধে। বাসার গঠনও বেশ জটিল, তবে আকৃতি খুব সুন্দর। বাসা যেমন দৃষ্টিনন্দন, তেমনি মজবুত। প্রবল ঝড়ে বাতাসে টিকে থাকে তাদের বাসা। বাবুই পাখির শক্তবুননের এ বাসা টেনেও ছেড়া কঠিন।

চাঁদপুর সদর উপজেলা বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা হাফেজ কবিরাজ ও দুলাল মিজি প্রিয় সময়কে জানান, এক সময় এ ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় চোখে পড়তো দৃষ্টিনন্দন বাবুই পাখির বাসা। বর্ষা মৌসুমেও নিজ বাসায় নিরাপদে থাকে এই পাখি। গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিতে হালকা হাওয়ায় উঁচু তালগাছে দোল খায় বাবুই পাখির বাসা। এখন গ্রামীণ পল্লীতেও হারিয়ে গেছে এসব প্রাকৃৃতিক দৃশ্য।