পাপুলকে কেন এমপি পদ থেকে বহিষ্কার করা হবে না: হাইকোর্ট

লক্ষীপুর-২ আসনের এমপি মোহাম্মদ শহিদ ইসলাম পাপুলকে মানবপাচারে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় এনেছে কুয়েতের পুলিশ।

তিনি একজন সংসদ সদস্য হয়ে মানবপাচার ও অর্থপাচারের মতো আন্তর্জাতিক অপরাধ ও দুর্নীতিতে অভিযুক্ত হওয়ার ঘটনাটি বাংলাদেশের জন্য অসম্মানজনক। তার সংসদ সদস্য পদ নিয়ে হাইকোর্ট একটি রুল জারি করেছেন।

মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) হাইকোর্ট এই রুল জারি করেছেন। তাকে সংসদ সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করে তার নির্বাচনী এলাকা লক্ষীপুর-২ আসন কেন শূন্য ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

২০১৮ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে লক্ষ্মীপুর-২ (রায়পুর) আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন পাপুল। তিনি সাধারণ শ্রমিক হিসাবে কুয়েত গিয়ে বিশাল সাম্রাজ্য তুলেছেন।

নির্বাচনের সময় আওয়ামী লীগ তাদের জোটসঙ্গী জাতীয় পার্টিকে আসনটি ছেড়ে দেয় কিন্তু শেষ মুহূর্তে জাতীয় পার্টির প্রার্থী ভোট থেকে সরে দাঁড়ালে স্থানীয় আওয়ামী লীগ পাপুলের পক্ষে কাজ করেছিলেন।

উল্লেখ্য, সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদে বলা আছে যে- কোনো ব্যক্তি সংসদের সদস্য নির্বাচিত হওয়ার এবং সংসদ-সদস্য থাকার যোগ্য হবেন না, যদি-

(ক) কোনো উপযুক্ত আদালত তাকে অপ্রকৃতিস্থ ঘোষণা করে।

(খ) তিনি দেউলিয়া ঘোষিত হওয়ার পর দায় হতে অব্যাহতি না পেয়ে থাকেন।

(গ) তিনি যদি কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব অর্জন করেন কিংবা কোন বিদেশি রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য ঘোষণা বা স্বীকার করেন।

(ঘ) তিনি নৈতিক স্খলনজনিত কোনো ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে অন্যূন দুই বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন এবং মুক্তির পর পাঁচ বছর অতিবাহিত না হয়ে থাকে।