নিরীহ সাংবাদিককে হত্যা, কি অপরাধ ছিল তার?

সম্পাদকীয়

নোয়াখালীর কোম্পানিগঞ্জে দু’মতবাদের অনুসারিদের গোলাগুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন একজন সাংবাদিক। তার নাম বোরহান উদ্দিন মুজাক্কির।

শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) চাপরাশিরহাট আছরের নামাজের পর একটি মতবিনিয়ম সভার আয়োজন করা হয়।

প্রথাগতভাবেই তিনি সংবাদ সংগ্রহের জন্যে সমাবেশস্থলে গিয়েছিলেন। কিন্তু কারও কারও অপরাজনীতির বলির পাঁঠা হয়ে একজন মায়ের আদরের সন্তানের নির্মম মৃত্যু হলো।

এখন এ নিয়ে চলছে এক অশুভ রাজনীতি। একপক্ষ বলছে খুন করেছে অপরপক্ষ। আর অপরপক্ষ বলছে খুন করেছে অপরপক্ষ। কেউ দায় দায়িত্ব নিচ্ছে না।

এভাবেই চলছে খেলা? কি দোষ ছিলো ওই সাংবাদিকের। সাংবাদিক মরলে কেউ কেউ খুশি হয়। কারণ জীবিত থাকাকালে ওই সাংবাদিক হয়তো কারো কারো হাড়ির খবর বের করে সংবাদ শিরোনাম করে দিতেন। তাই সাংবাদিকরা দু’পক্ষের রোষাণলেই পড়ে। সাংবাদিকদের ঘাড়ে সব সময়েই খড়গ ঝুলে থাকে।

এখনকার সমাজ অন্ধ হয়ে গেছে মদ-মাদক আর টাকার নেশায়। ক্ষমতার নেশায়। ক্ষমতা করায়ত্ত্ব করতে গিয়ে সামনে যাকে পাবে, তাকেই শেষ করে দিবে।

এভাবে সমাজ চলতে পারে না, এভাবে মুজাক্কিরদের মৃত্যু মেনে নেওয়া যায় না। এর বিচার হতেই হবে। তা না হলে সমাজে ঘুণপোকারা কিলবিল করে সবার মাথা খাবে। তখন কেউ পালাতে পারবে না। সুতরাং সাধু সাবধান!