সূর্যমুখী ফুলের হাসিতে হাসছে দেবীগঞ্জ, প্রকৃতিপ্রেমীরা ছুটছে আনন্দে

প্রিয় সময়ের নিজস্ব ‘উন্নয়ন সংবাদ’

এন এ রবিউল হাসান লিটন, পঞ্চগড় প্রতিনিধি : ভোজ্যতেলের দাম বেড়েই চলছে। তেলের দামের লাগাম টানতে হলে বিকল্প তেলের ব্যবস্থা করতে হবে। তেমনি সম্ভাবনাময় একটি তেল হলো সূর্যমুখী তেল। মাঠজুড়ে হাসছে সূর্যমুখী। সবুজ মাঠে হলুদ ফুলগুলো অপরূপ সৌন্দর্যের উৎস হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রকৃতি প্রেমীরা ছুটছে প্রকৃতির রূপ ধারণ করতে।

সেরকম একটি সূর্যমুখী ফুলের বাগন পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার প্রজনন বীজ উৎপাদন খামার। দেবীগঞ্জ-ডোমার হাইওয়ে রাস্তা থেকে আধা কিলোমিটার দক্ষিণ পার্শ্বে সূর্যমুখী খামারবাড়ীটি।

খামারের মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডঃ মহিউদ্দিন জানান, বীজের জন্য খামারে গত বছর থেকে সূর্যমুখীর চাষ শুরু করেছি। এবার ১২ বিঘা জমিতে চাষ করা হয়েছে। এ বছর সূর্যমুখী বারী-৩ খাট জাত চাষ করেছি। দেবীগঞ্জ প্রজনন বীজ উৎপাদন কেন্দ্র থেকে সূর্যমুখীর বীজ বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান গুলোতে দিয়ে থাকি। পুরো মাঠজুড়ে ফুলে ভরে যাওয়াতে দৃষ্টিনন্দন পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এখন সব শ্রেণির মানুষ ফটো তোলার জন্য ভিড় করছেন। মানুষের উপস্থিতি ভালো লাগছে। কিন্তু কিছু নারী-পুরুষ গাছ দুমড়ে-মুচড়ে ভেতরে গিয়ে ছবি তুলছেন; যা ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। লোকবল দিয়েও জমির মাঝে যাওয়া ঠেকানো যাচ্ছে না।

এরি মধ্যে জেলা জুড়ে সূর্যমুখী ফুলের বাগান ফুলে ফুলে ভোড়ে উঠার খবর সোসাল মিডিয়ার মাধ্যমে জেনে যাওয়ার সব শ্রেণীর মানুষ ভিড় জমাচ্ছে। অনেকে ছবি তুলছে ফুলের বাগানে ঢুকে। কেও আবার ফুলের গাছ হাতদিয়ে ধোরে ছবি তুলছে। এতে বিপাকে পরতে হচ্ছে খামারের লোকজনদের। ফুলের গাছ এতে নষ্ট করছে অনেকে।

সূর্যমুখী শুধু দেখতে দৃষ্টিনন্দন নয়, গুণেও অনন্য। বাংলাদেশের আবহাওয়া, পানি ও মাটি সূর্যমুখী চাষের উপযোগী। সূর্যমুখী বীজের তেল স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। অন্যান্য তেলবীজে যেসব ক্ষতিকারক উপাদান থাকে, সূর্যমুখীর তেলে তেমন নেই। বিশেষ করে এই তেল ক্ষতিকর কোলেস্টেরলমুক্ত। তাই দেশে তেলের ঘাটতি মেটাতে ব্যাপক ভাবে সূর্যমুখী চাষের উদ্যোগ নেওয়া উচিত। ব্যাপক আবাদের মাধ্যমে সূর্যমুখী একদিন দেশের ভোজ্যতেলের ঘাটতি মেটিয়ে বিদেশে রফতানি করা যাবে।