তবুও ঘটে চলে অপ্রত্যাশিত এ ধরনের ঘটনা

সম্পাদকীয়

ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু
ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত হওয়ার ঘটনা বাংলাদেশে নতুন কোনো ঘটনা নয়। অতীতেও আমরা এ ধরনের ঘটনার কথা শুনেছি। বিশেষ করে রেলক্রসিংয়ে এ ধরনের ঘটনাগুলো বেশি ঘটে থাকে। সাধারণত নিয়ম না মানার কারণেই সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু ঘটে থাকে। তাছাড়া আত্মহত্যার মতো ঘটনাও ট্রেনে কাটাপড়ার মাধ্যমে ঘটে থাকে। আর এ ধরনের ঘটনাকে আমরা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারি না। তবুও ঘটে চলে অপ্রত্যাশিত এ ধরনের ঘটনা।

প্রিয় সময়ে প্রকাশিত ‘রাজবাড়ীতে ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত ২’ শিরোনামে ঘটনাটি আমরা জেনেছি। অত্যন্ত মর্মান্তিক এ মৃত্যু।

প্রকাশিত সংবাদের মাধ্যমে আমরা জেনেছি, ‘রাজবাড়ীর পাংশায় চলন্ত ট্রেনের ধাক্কায় মোমেনা বেগম (৬৫) নামে এক নারী ও তার নাতনী রুকাইয়ার (২) মৃত্যু হয়েছে। সোমবার দুপুরের দিকে পাংশা উপজেলার বাবুপাড়া ইউনিয়নের বালিয়াপাড়া সেনের ব্রিজ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।’ এটা পরিস্কার যে, মহিলাটি হয়তো আনমনে রেললাইনের উপর দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলো। তখন হঠাৎই পিছন দিক থেকে ট্রেন চলে আসে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই দুর্ঘটনা ঘটে যায়।

এভাবেই আমাদের দেশে প্রচুর মানুষের মৃত্যু ঘটে। অবশ্য যেসব এলাকায় মানুষের বাড়ির পাশেই রেল লাইন রয়েছে সেসব এলাকার যে কোনো মানুষই যে কোনো সময় মারা যেতে পারে। আর এ ধরনের মৃত্যু কোনোভাবেই ঠেকানো যায় না। যদি না মানুষ সতর্ক থাকে। কিন্তু মানুষ সেভাবে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে না। সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটে বয়স্ক ব্যক্তিদের। তাছাড়া যেখানে ছোট রাস্তা রয়েছে, সেখানে রেলক্রসিং দেয়ার প্রয়োজন মনে করে না। সেখানে মানুষকে নিজ দায়িত্ব নিয়েই মানুষসহ যানবাহন পারাপার করতে হয়। কোনো কোনো মানুষ অসতর্কভাবে যাতায়াত করায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে যায়।

আবার কিছু মানুষ রেললাইনের উপর দিয়ে ঘুরতে আসে। তখন বিপরীত দিক থেকে ট্রেন আসলেও তারা খেয়াল রাখতে পারে না। এভাবেই তাদের মৃত্যু হয়। তাছাড়া কিছু মানুষ রেললাইনের উপর দিয়ে জগিং করতে করতে হেঁটে যায়, অথবা ঘুরে বেড়ায়, অথবা দু’জন দুপাশ থেকে ধরাধরি করে হাঁটতে থাকে, অথবা কেউ মোবাইলে কথা বলতে বলতে হেঁটে বেড়ায়। আর তখনই তারা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।

শুধু মানুষই মারা যায় না, গরু ছাগলও রেললাইনের উপর পড়ে মারা যায়। এ ধরনের ঘটনা সংবাদে প্রকাশিত হয় না। তবে অহরহ এ ধরনের ঘটনা ঘটেই চলে। এসব ঘটনার হিসাব করে শেষ করা যাবে না।

তবে সেদিন দুপুর ১২টার দিকে রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা ফরিদপুরের ভাঙাগামী মধুমতি এক্সপ্রেস ট্রেনটি মহিলা ও শিশুটিকে পিছন থেকে ধাক্কা দেয়ায়া তাদের মৃত্যু হয়। আর এই মৃত্যুর জন্যে রাজবাড়ী রেলওয়ে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ধরনের অমৃত্যুর মামলা প্রচুর রয়েছে বলে আমরা জানি।

আমরা মনে করি, ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পেতে হলে মানুষকেই সবার আগে সচেতন হওয়া দরকার বেশি। দীর্ঘ রেললাইনের উপর দিয়ে ছোট বড় অনেক রাস্তা থাকে। এতোগুলো রাস্তায় রেল কর্তৃপক্ষের গেইট দেয়া ব্যয়বহুল বটে। রেল লাইন যেমন মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে উন্নত করেছে সেদিক চিন্তা করে রেল গেইট তৈরি করে তা নিয়ন্ত্রণ করে এতো ব্যয় করা সরকারের পক্ষে কোনোভাবেই সম্ভব নয়। সূতরাং রেল লাইনের পাশে থাকা প্রতিটি মানুষকেই আরো বেশি সতর্ক হওয়ার দরকার রয়েছে বলে আমরা মনে করি।

আরো পড়ুন : শ্বেতীর সাদা দাগ দূর করার উপায়

আরো পড়ুন : মেহ প্রমেহ ও প্রস্রাবে ক্ষয় রোগের কার্যকরী সমাধানসমূহ

আরো পড়ুন : পাইলস রোগে করণীয়

আরো পড়ুন : জেনে নিন দীর্ঘক্ষণ মিলনের ঔষধ

আরো পড়ুন : একজিমা হলে কী করবেন?