শেখ রাসেল মেমোরিয়াল সমাজ কল্যাণ সংস্থার সেক্রেটারি আবুল হাসেমকে অবাঞ্চিত ঘোষণা

নিজস্ব প্রতিবেদক :

শেখ রাসেল মেমোরিয়াল সমাজ কল্যাণ সংস্থার কার্যনির্বাহী কমিটির এক জরুরি সভায় সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদককে অবাঞ্চিত ঘোষণা করা হয়। এর আগে অন্য এক জরুরি সভায় তার প্রতি অনাস্থা এনেছেন সদস্যরা।

২৩ জুলাই অনুষ্ঠিত এক জরুরি সভায় সংগঠনের কার্যনির্বাহী পরিষদের বর্তমান ১২জন সদস্যের মধ্যে ৮ জনের উপস্থিতিতে সংগঠনের জেনারেল সেক্রেটারি আবুল হাসেম এর সেচ্ছাচারিতা, সংগঠন বিরোধী কার্যক্রম, সদস্যদের অর্থ আত্মসাৎ, অসামাজিক কার্যকলাপ, সংগঠন অফিসসহ মূল্যবান কাগজপত্র এবং জিনিসপত্র কুক্ষিগত করে রাখার অভিযোগ নিয়ে সবাই তীব্র নিন্দা এবং ক্ষোভ প্রকাশ করে। আলোচনায় তার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে তার সকল কার্যক্রম স্থগিত করে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়।

পরবর্তীতে আবুল হাসেম সমঝোতার প্রস্তাব নিয়ে ৬ আগষ্ট মালিবাগে একটি রেষ্টুরেন্টে জরুরি মিটিং তলব করেন। কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যরা ২৩ জুলাই অনুষ্ঠিত জরুরি সভায় নেওয়া সিদ্ধান্ত ৬ আগস্ট পর্যন্ত স্থগিত রেখে এই সভায় অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

৬ই আগষ্ট সভায় উক্ত সভায় যোগদান করতে উপস্থিত হয় সদস্যরা দেখতে পান জেনারেল সেক্রেটারি আবুল হাসেম পূর্ব থেকেই প্রচুর সংখ্যক বহিরাগত নারী ও পুরুষ নিয়ে সেখানে উপস্থিত আছেন। এই পরিস্থিতিতে সভার সুষ্ঠু কার্যক্রম নিয়ে শঙ্কিত হলেও কার্যনির্বাহী কমিটির প্রায় সকলে অংশ নেন। আলোচনার শুরুতেই আবুল হাসেম বহিরাগত সবাইকে শেখ রাসেল মেমোরিয়াল সমাজ কল্যাণ সংস্থার সদস্য হিসেবে ঘোষণা করলে তাৎক্ষণিক তুমুল প্রতিবাদ ও হট্টগোল শুরু হয়। তখন কার্যনির্বাহী পরিষদের দপ্তর সম্পাদক মঈনুদ্দিন কাজী মুরাদ , কোষাধ্যক্ষ মোঃ রুবেল শিকদার, জয়েন্ট সেক্রেটারি শাহাদাত হোসেন মোল্লা গঠনতন্ত্রের বিভিন্ন ধারা উপধারার ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন সদস্য পদ নির্ধারণ এ কার্যনির্বাহী পরিষদকে পাশ কাটিয়ে কাউকে সদস্য ঘোষণা করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং অবৈধ। এই পরিস্থিতিতে দপ্তর সম্পাদক মঈনুদ্দিন কাজী মুরাদ গত ২৩ জুলাই অনুষ্ঠিত জরুরি সভার রেজুলেশন সবার উদ্দেশ্য পড়ে শোনালে আবুল হাসেমের আমন্ত্রিত বহিরাগতরা হট্টগোল এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। এক পর্যায়ে কিছু সংখ্যক দুশ্চরিত্র এবং সন্ত্রাসী ভাবাপন্ন নারী-পুরুষ দপ্তর সম্পাদক মঈনুদ্দিন কাজী মুরাদের উপর আক্রমনাত্মক হয়ে উঠে এবং তার হাতে থাকা সংগঠন ও তার ব্যাক্তিগত অতীব জরুরী মূল্যবান কাগজপত্র জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেয়।

এমন পরিস্থিতিতে কার্যনির্বাহী পরিষদের সকল সদস্য চেয়ারম্যান মমতাজ বেগম এর নেতৃত্বে সভাস্থল ত্যাগ করেন। পরবর্তীতে চেয়ারম্যান মমতাজ বেগম এর বাসায় সবাই মিলিত হয়ে জরুরি সভায় বসেন। সেক্রেটারি আবুল হাসেম এর আহবানকৃত সভায় এই ধরণের অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ায় তার সাথে সমঝোতার আর কোন পথ খোলা রইলো না বলে সবাই মতামত দেন এবং অনতিবিলম্বে ২৩ই জুলাই অনুষ্ঠিত সভার সকল সিদ্ধান্ত কার্যকর করে আবুল হাসেমকে সংগঠন থেকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করে এবং তার সকল কার্যক্রম স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরবর্তীতে যে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ও অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে তার সঙ্গে কোন প্রকার সাংগঠনিক যোগাযোগ না করার জন্য সবাইকে আহবান করা হয়। এ বিষয়ে সংস্থার পক্ষ থেকে শাহজাহানপুর থানায় একটি জিডি ও রমনা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন সংগঠনটির দপ্তর সম্পাদক মঈন উদ্দিন কাজী মুরাদ ও চেয়ারম্যান মমতাজ বেগম।