চাঁদপুর রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নে সন্ত্রাসী হামলায় লোকমান গাজী ৯ দিন পর মৃত্যু

সাইদ হোসেন অপু চৌধুরী, (চাঁদপুর) :
চাঁদপুর সদর উপজেলার ১৪ নং রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নে সন্ত্রাসী হামলায় আহত লোকমান গাজী ৯ দিন ঢাকা সরোয়ারদী হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৫ ই জুন রাতে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে মৃত্যুবরণ করেছেন।

নিহত লোকমান গাজী ইউনিয়রের লগ্নীরচর গ্রামের মৃত হাজী ইদ্দিস আলী গাজীর পুত্র।

গত ২৮ মে বিকেলে তার উপর সন্ত্রাসীরা আতর্কিতভাগে হামলা চালিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করেন। ৬ জুন রাতে এ্যাম্বুলেন্সযোগে নিহতের লাশ চাঁদপুর বড়স্টেশন মোলহেডে আনা হয়। খবর পেয়ে চাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ নাসিম উদ্দিনসহ পুলিশ সদস্যরা ছুটে আসেন। সোমবার সকালে তার লাশ দাফন করা হয়।


নিহত লোকমান গাজীর পরিবার জানায়, রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নের লগ্নিরচর গ্রামের গাজি, মিজি এবং মাঝি বাড়ির লোকেদের সাথে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ২৮ মে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে এই ঘটনা সংর্ঘসে রুপ নেয়। ঘটনার রেস ধরেই ওইদিন বিকেল ৪টায় ১নং ওর্য়াডের মেম্বার আলী আহম্মেদ বকাউল, স্থানীয় ইমান বকাউল এবং মোহাম্মদ বকাউলসহ একদল পাশ্ববর্তি চিরারচর থেকে আম পেরে ফেরার পথে ঈর্ষান্বিত ভাবে লোকমান গাজীর উপর আতর্কিত হামলা করে। তারা রাম দা, চাপাটিসহ দেশিয় অস্ত্র দিয়ে লোকমান গাজীর উপরে হামলা চালায় । তার আত্মচিৎকারে এলাকার লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তার অবস্থা অশংঙ্খাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত ডাক্তার দ্রুত ঢাকায় রেফার করে। পরে ঢাকার সরোয়ারদি হাসপাতালের আইসিওতে ৯ দিন থাকার পর চিকিৎসাধিন অবস্থায় ৫ জুন তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

এইদিকে এই ঘটনায় ২৯ মে ছানাউল্লাহ মিজি বাদি হয়ে চাঁদপুর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

লোকমান গাজীর নিহতের ঘটনা শুনে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। লোকমান গাজীর লাশ দেখার জন্য শত শত নারী পুরুষ ভিড় জমায়।