নাসিমের মৃত্যু নিয়ে কটূক্তি : বেরোবির সেই শিক্ষক বরখাস্ত

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

সদ্যপ্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমকে নিয়ে কটূক্তি করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ায় ডিজিটাল আইনের মামলায় গ্রেফতার বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষক সিরাজাম মুনিরাকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বুধবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা দফতরের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহর নির্দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু হেনা মুস্তাফা কামাল স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই আদেশ জারি করা হয়। প্রভাষক সিরাজাম মনিরাকে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর আইন-২০০৯ এর ধারা ৪৭-এর (৬) অনুযায়ী এবং সরকারি চাকরি বিধির (পার্ট-১) বিধি ৭৩ নোট (২) অনুসারে চাকরি হতে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়। তার এই বরখাস্তের আদেশ গ্রেফতারের দিন (১৪ জুন) তারিখ থেকে কার্যকর হবে।

উল্লেখ্য, শনিবার (১৩ জুন) লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম মারা যান। তার মৃত্যু নিয়ে ওই শিক্ষিকা ‘যোগ্য নেতৃত্বে দেশ নাসিম্যা মুক্ত হলো’ লিখে পোস্ট দেন।

কিছুক্ষণের মধ্যে বিষয়টি সবার নজরে এলে পোস্টটি মুছে দেন তিনি। কিন্তু ততক্ষণে পোস্টের স্ক্রিনশট ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ, বঙ্গবন্ধু পরিষদসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা পাল্টা স্ট্যাটাস দিয়ে শিক্ষিকার শাস্তি দাবি করেন।

এ অবস্থায় ফেসবুকে আরেকটি পোস্ট দিয়ে আগের পোস্টের জন্য ক্ষমা চান প্রভাষক সিরাজাম মুনিরা। সেই সঙ্গে এমন পোস্টের জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত ও অনুতপ্ত তিনি।

পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘একজন সিনিয়র রাজনীতিবিদের মৃত্যু সম্পর্কে ভিন্নভাবে অভিমত ব্যক্ত করা ঠিক নয়। কর্মফল যাই হোক না কেন; মৃত্যু সবসময় বেদনাদায়ক ও মর্মান্তিক। এটি অনুধাবনের পরপরই আমি আমার বক্তব্য থেকে সরে এসেছি। সেই সঙ্গে আমার আগের দেয়া পোস্ট সরিয়ে নিয়েছি। তারপরও যারা আমার পোস্টে আঘাত পেয়েছেন; তাদের কাছে আমি আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী।’

একইদিন রাতে ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু হেনা মুস্তফা কামালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় শনিবার রাত ১২টার দিকে ওই শিক্ষিকাকে গ্রেফতার করে তাজহাট থানা পুলিশ।