বিদ্যুৎ বিলের নামে জনগণের পকেট কাটা বন্ধ করুন : এশিয়া মানবাধিকার সংস্থা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট :

করোনা’র দূর্যোগে যখন মানুষের পেটের ভাতের সন্ধান মিলছে না তখন বিদ্যুৎ নামে গজব পত্র জনগণের উপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। এটা কি করে সম্ভব মাত্র এক মাসের ব্যবধানে তিন শত টাকার বিদ্যুৎ বিল বার শত টাকা হতে পারে?

নেতৃবৃন্দ বলেন, বাজেটের ঘাটতি দূর্নীতিবাজ আমলাদের পকেট থেকে পূরণ করুন। জনগণের পকেট কাটার চেষ্টা করবেন না।বিদ্যুৎ বিলের নামে জনগণের পকেট কাটা বন্ধ করুন। নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, আগামী ৩০ জুনের মধ্যে বিদ্যুৎ বিলের বকেয়া পরিশোধের সরকারি হুকুম তামিল করা মানবাধিকার লংঘন। কারণ দেশে প্রায় ৩ মাসের অধিক লকডাউন চলছে। এমতাবস্থায় জনগণের আর্থিক দুরাবস্থার মধ্যে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করা সম্ভব নয়।

নেতৃবৃন্দ বলেন, দূর্নীতির ভয়াবহ ছোঁবল এখন স্বাস্থ্য খাতে। মাস্ক নিয়ে দূর্নীতির দায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় এড়াতে পারেন না। মনে রাখবেন চিকিৎসা সেবা জনগণের মৌলিক অধিকার সুতরাং হাসপাতাল গুলো জনগণের সু-চিকিৎসা দিচ্ছে না।

সভাপতির বক্তব্যে বাবু সুরঞ্জন ঘোষ অব্যবস্থাপনা ও দূর্নীতির কারণে হাসপাতাল গুলো এখন মৃত লাশের ঘর এবং রোগীরা জীবন্ত লাশের প্রতিচ্ছবি হয়ে দাঁড়িয়ে আছে এমন মন্তব্য করে বলেন রাস্তায় নারীর সন্তান প্রসব, কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীরা চিকিৎসা অভাবে মারা যাচ্ছে এবং হাসপাতালের বাহির রাতের আঁধারে অবুঝ শিশুর চিকিৎসা সেবার নির্মম দৃশ্য দেখার জন্য বাংলাদেশের জন্ম হয় নাই।

সংগঠনের ভাইস চেয়ারম্যান বাবু সুরঞ্জন ঘোষের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব নজরুল ইসলাম বাবলু’র পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের ভাইস চেয়ারম্যান মো. হাসমত উল্লাহ, আবু মোজাফফর মো. আনাছ, হুমায়ুন কবির বেপারী, আলহাজ্ব সালমান ওমর রুবেল, যুগ্ম মহাসচিব রাইসুল ইসলাম চন্দন, সিলেট বিভাগীয় প্রধান সমন্বয়কারী আবুল হাসেম, সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান আক্তার, আশিকুর রহমান আশিক, রোকনুজ্জামান রোকন, মো. বেলাল, মো. কাউসার প্রমুখ।

আজ বিকাল ৩.৩০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জনগণের সুচিকিৎসার দাবিতে ও গ্রাহকদের বিদ্যুৎ-বিলের অনিয়ম দুর্নীতির প্রতিবাদে এশিয়া মানবাধিকার সংস্থা আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা এসব কথা বলেন।